রাত ১১:১৬
শনিবার
১৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
১ লা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

ট্রাম্পকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও তারা পারল না: প্রধান উপদেষ্টা

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীতে আমাদের একটা বড় রকম সমর্থন গড়ে উঠেছে। যে কারণে অপরপক্ষ সুবিধা করতে পারছে না। পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে। বহু গল্প করছে, গল্প টেকাতে পারছে না। শেষমেশ তো ট্রাম্পকে নিয়ে গল্প, সে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও পারল না।’

শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছোট রাষ্ট্র, বড় রাষ্ট্র, মাঝারি রাষ্ট্র, ধনী রাষ্ট্র, সবাই মিলে সমর্থন দিয়েছে, কেউ কোনোরকম দ্বিধা করেনি। তাঁদের ভাষা শুনলে আমি অবাক হই। আমরা যখন বসি, বিস্তারিত জানার আগে বলে, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। এ পর্যন্ত তাঁরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন এবং ক্রমাগতভাবে তাঁদের সমর্থন বাড়ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এই যে দুই সমর্থন, অভ্যন্তরীণ একটা সমর্থন, আন্তর্জাতিক একটা সমর্থন; এই দুই সমর্থনের ভেতর দিয়ে আমরা যদি এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে না পারি। এটা আমাদের কর্মের দোষ ছাড়া আর কী বলব। আমরা এই সুযোগ ছাড়তে চাই না।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলেও আমাদের জিজ্ঞাসা করে, তোমাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা সাহায্য করতে পারি কি না। সংস্কারের ব্যাপারেও আমরা সাহায্য করব, তোমাদের কী দরকার। এই জন্য মনে করিয়ে দিই তোমাদের এই সংস্কারটা দরকার। তা না হলে এই যে পরিবর্তন, এটা টিকিয়ে রাখা যাবে না।’

আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন, সহযোগিতা এবং শুভেচ্ছা আমাদের জন্য একটা মস্তবড় সম্পদ বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাদের বলি, আমাদের এই স্বপ্ন, আমরা এই করতে চাই, ওই করতে চাই। তারা বলে, তোমরা করতে পার, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে। একটা ট্রান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে, কেউ জিতিয়ে দিয়েছে। এত ট্রান্সপারেন্ট কেউ সন্দেহ করবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যে খেলা চলতেছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে, কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে, সেটা আমরা ভুলে গেছি।’

এআর-০৩/১৫/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আশা মির্জা ফখরুলের

ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, খুব দ্রুত এই সংস্কারের বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেটার ওপর ভিত্তি করে অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

শনিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এরআগে বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভািতিত্বে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই বৈঠক হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে হতে হবে বলে আবার বিএনপির অবস্থানের কথা বৈঠকে তাঁরা তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে। তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেছেন। দলগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, সংস্কারের যে প্রতিবেদনগুলো বিভিন্ন কমিশন জমা দিয়েছে, সেগুলোর ওপর আলাপ-আলোচনা হবে। দলগুলো এ নিয়ে কমিশনগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটা ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেটাই মূল কথা। আজ প্রাথমিক আলোচনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন কথা বলেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম বৈঠকটি ছিল মূলত পরিচিতিমূলক, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত উপস্থাপন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ও গঠনমূলক আলোচনা হয়নি।

এআর-০২/১৫/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন।

গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সার্থক করতে ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবো, তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সে সুযোগ পেয়েছি।

এদিকে আসরের নামাজের বিরতি চলাকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রস্তুতিমূলক সভা। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ নেতা অংশ নিচ্ছেন।

এআর-০১/১৫/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারাদেশে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ৩৯২৪

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ নতুন করে আরও ৫০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ নিয়ে শনিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সাত দিনে সারা দেশে এই অভিযানে মোট ৩ হাজার ৯২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আজ বিকেল) এই অভিযানের সময় ৫০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি কার্তুজ, ১০টি রামদা, ২টি ছুরি, ২টি চাপাতি।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্টের বাইরে বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এআর-০১/১৪/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা

ভারতের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দিল্লির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা জানান।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিনই তিনি পালিয়ে ভারতে যান। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ঢাকা প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিল্লিতে পাঠিয়েছে। শেখ হাসিনা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভারতে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম প্রতিপালন করা হবে কি না, সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের আলোচনার বিষয়।

এদিকে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন রফিকুল আলম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদনটি যেকোনো মানুষের বিবেককে নাড়া দেবে। প্রতিবেশী ভারতও বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখপাত্র।

এআর-০২/১৩/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

বিশ্ব বেতার দিবসে ওয়েবিনার: জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় রেডিওর আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান

জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় রেডিও’র আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে এক ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানান বক্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) সহায়তায় এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘রেডিও ও জলবায়ু পরিবর্তন’।

সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনেসকো ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেক্টর লিড নূরে জান্নাত প্রমা।

ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুজান ভাইজ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘রেডিও সমাজের সবস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর সর্বাধিক বিস্তৃত এবং কার্যকর মাধ্যম। রেডিওর জন্য ইন্টারনেট, ব্যয়বহুল ডিভাইস বা এমনকি সাক্ষরতার প্রয়োজন নেই। এ কারণেই রেডিও এত কার্যকর। এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে পারি।’

দিবসের প্রতিপাদ্যের ওপর উপস্থাপনা করেন সমষ্টির গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হক। এরপর সাংবাদিক, কমিউনিটি রেডিওকর্মীসহ অন্যরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলো তাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জরুরি ইস্যুগুলো নীতিনির্ধারকদের নজরে আনতে এবং জলবায়ু ন্যায্যতার বিষয়ে জনপরিসরে আলোচনা তৈরিতে মতামত গঠন ও নীতি প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ তৈরিতে কমিউনিটি রেডিওগুলো প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে পারে।

ওয়েবিনারে কমিউনিটি রেডিওকর্মী, মিডিয়া পেশাজীবী, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এআর-০১/১৩/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। স্বৈরাচারী সরকার নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে যুক্ত করে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সরকার। মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ১১৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ওই সময়ের নৃশংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিগত সরকার ও শাসক দল আওয়ামী লীগকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআরের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনটি বুধবার জেনেভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদনের খসড়া দিয়েছিল। কোনো মতামত থাকলে তাতে যুক্ত করার জন্য সময়সীমা দেয় ওএইচসিএইচআর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি), পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের মতো সংস্থাগুলো আন্দোলনকারীদের সহিংসভাবে দমনের মাধ্যমে সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি হিসাবের পাশাপাশি অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত মারণাস্ত্র ও শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছেন। হাজারো মানুষ গুরুতর ও চিরতরে আহত হয়েছেন। ১১ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু। পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ‘টার্গেট কিলিং’, ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, অমানুষিক নির্যাতন ও নানাভাবে বল প্রয়োগ করেছে। আন্দোলনের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা নারীদের ওপর হামলা করেছেন। এগুলো যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ছিল। এগুলোকে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা বলেছে জাতিসংঘ।

এআর-০২/১২/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৯১

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে এক হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৯১ জন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

ইনামুল হক সাগর বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৯১ জন। এছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৯৫ জনকে।

২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি চায়নিজ রাইফেল (পুলিশের কাছ থেকে লুটকৃত অস্ত্র), দুটি এলজি, চারটি ওয়ান শুটারগান, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২০টি ককটেল, ৬টি ছুরি, একটি তলোয়ার, একটি হাতুড়ি, একটি গুটি রেঞ্জ, একটি প্লাস, একটি সেলাই রেঞ্জ, লোহার দুটি পাইপ, একটি কাটার এবং তিনটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

এআর-০১/১২/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে গ্রেপ্তার আরও ৬০৭

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ অভিযানে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি পাইপগান, ২টি গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ অভিযান শুরুর পর শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২ হাজার ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযান সম্পর্কে এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, দেশ ডেভিলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলবে।

 
এআর-০২/১১/০২ (জাতীয় ডেস্ক)

আকাশপথের ভাড়া নিয়ে পরিপত্র জারি করলো বিমান মন্ত্রণালয়

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আকাশপথের যাত্রীদের প্রকৃত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নতুন পরিপত্র জারি করেছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সিএ-২ অধিশাখা থেকে জারি করা এই পরিপত্রে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব রুমানা ইয়াসমিন।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, গ্রুপ-টিকিট বুকিংসহ যেকোনো টিকিট বুকিংকালে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিং প্রদানের তিন দিনের মধ্যে যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হলে, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিট বাতিল করবে। গ্রুপ-বুকিংয়ের মাধ্যমে ব্লককৃত টিকিট সাত দিনের মধ্যে বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় তিন দিনের মধ্যে টিকিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

গ্রুপ-বুকিংয়ের ক্ষেত্রে টিকিটের প্রকৃত বিক্রয়মূল্য বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে এবং মন্ত্রণালয় তা জনগণকে জানাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সব প্রকার এয়ার টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করতে হবে এবং টিকিটের মূল্য টিকিটের গায়ে প্রদর্শিত থাকতে হবে। এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিসমূহকে ‘ট্যারিফ ফিলিং’ বিধান মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অনুমোদিত ভাড়া বেবিচকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যাত্রীকে এয়ারলাইন্স থেকে প্রাপ্ত মূল্যসম্বলিত টিকিট ও বিক্রয়ের রসিদ প্রদান করবে।

মন্ত্রণালয় ওই নির্দেশনায় আরও জানায়, চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুদ করে অন্য এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রির ফলে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ স্থগিত/বাতিল করা হবে।

বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক/কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী কর্মীদের টিকিট ভাড়া কমানোর জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ সব এয়ারলাইন্স ও বোর্ড অব এয়ারলাইন্স রিপ্রেজেন্টেটিভস (বিএআর) পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয় পরিপত্রে।

এআর-০১/১১/০২ (জাতীয় ডেস্ক)