সকাল ৬:২৭
সোমবার
২৫ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
১০ ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১ লা রবিউল-আউয়াল ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বেনজীর আহমেদের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তির যোগ্যতা পূরণ না করেও অনিয়মের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করার সত্যতা পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।

বেনজীর আহমেদের ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন নিয়ে উচ্চতর তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ওই কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের ভর্তি ফরমে নথির ক্রমিক নম্বর ৫৪-এ নীল কালিতে ফরম পূরণ করা হয়; কিন্তু তাঁর শিক্ষাগত ডিগ্রি বিএ (পাস) ঘরে কালো কালিতে মোট নম্বর লিপিবদ্ধ করা হয়। অনুচিত সুবিধা নেওয়ার জন্য বেনজীর ফরমে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে তথ্যানুসন্ধান কমিটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডিবিএ রুলস অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েটে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক; কিন্তু বেনজীর আহমেদের সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় ভর্তির যোগ্যতা পূরণে ব্যর্থ হন তিনি।

 
এআর-০৪/০১/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠক নিয়ে চলছে তদন্ত, আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তার শঙ্কা নেই: পুলিশ

ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠকের রহস্য উদঘাটন এবং এর পেছনে জড়িতদের বের করতে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৮ আগস্ট ঘিরে নানা হুমকির বিষয়ে পুলিশ বলছে, আগস্টকেন্দ্রিক কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।

গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠকের’ ঘটনায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বৈঠকে মেজর সাদিকুল হক নামের এক সেনা কর্মকর্তার বৈঠকে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাকে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী।

বৈঠক ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা এলাকায় কে বি কনভেনশন হলে একটা বৈঠক নিয়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল।

কনভেনশন হলটি শামীমা নাসরিন শম্পা নামে একজন ব্যক্তি ভাড়া নেন। সে সময় তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে একটা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছিলেন। যেখানে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয় বলেও জানান তিনি।

তালেবুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এরই মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনার অন্যকোনো দিক আছে কি না, এর প্রকৃত রহস্য কী এবং কারা এর পেছনে রয়েছে?

ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত শিগগিরই উন্মোচন করার আশাপ্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বৈঠক এবং ৮ আগস্টের বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ‘হুমকির’ আলোচনা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তালেবুর রহমান বলেন, আমরা গত একটা বছরে বিভিন্ন সময় দেখেছি, নানা সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম অনেকেই করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সজাগ রয়েছি।

গত ১ বছর থেকে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন ‘উন্নতির দিকে’ যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে আগস্টকেন্দ্রিক কোনো রকমের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখছি না। আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা রয়েছে।

এআর-০২/০১/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা দেশের জন্য ভালো খবর : মির্জা ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ওপর সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারন ‘দেশের জন্য ভালো খবর’ অবহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১ আগস্ট) জুলাই শহীদদের স্মরণে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে বিএনপির সমাবেশে বক্তৃতা করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ কমিয়ে আনতে উপদেষ্টাদের প্রচেষ্টার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা একটি বড় অর্জন।’

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদিও সরকার পুরোপুরি সেটা করতে পারেনি, তবে উদ্যোগ নিয়েছে—এ জন্যও ধন্যবাদ জানাই।’

ফখরুল বলেন, ‘মানুষ এখন আর স্লোগান দেখতে চায় না, মানুষ দেখতে চায় সঠিক কাজটা হচ্ছে কি না। বাংলাদেশের ভালোর জন্য কাজ করছে কি না।’

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এমন একটি গণতন্ত্র চাই, যেখানে মানুষ মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে, নিজেদের প্রতিনিধি নিজেরাই নির্বাচিত করতে পারবে। দিনের ভোট রাতে, ডামি ভোট, ইচ্ছেমতো ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংক লুটের রাজনীতি আর চাই না।’

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে বিএনপি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে। ‘নির্বাচনটি আমরা চাই। দেশের মানুষও চায়। আমাদের একটি সংসদ দরকার, যেখানে জনগণের কথা বলা যাবে,’ বলেন ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা বিরাট ভয়ংকর একটা ফ্যাসিবাদের হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। এই মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন তাদেরকে আমরা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারব।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা লুটপাট করে, যারা ব্যাংক লুট করে, চাঁদাবাজি করে, যারা মানুষের সম্পত্তি দখল করে নিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রকমের আপস থাকবে না। তাদেরকে আমরা কখনোই স্বীকার করব না এবং তাদেরকে কোনো মতেই সামনে আসতে দেব না।

এআর-০১/০১/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করতে সরকার বৃহস্পতিবার থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে। বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য মূলত সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে জরুরি অবস্থা জারি করে। এর ফলে দেশজুড়ে এক বহুমাত্রিক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

জরুরি অবস্থার আওতায় জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নির্বাহী, বিচার, আইন বিভাগসহ রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। তবে সম্প্রতি তিনি সংঘাত নিরসনের উপায় হিসেবে নির্বাচনের কথা বলে আসছেন।

সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া সাবেক আইনপ্রণেতাসহ দেশটির বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ গত মাসে এই নির্বাচনকে ‘প্রতারণামূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এর লক্ষ্য হলো সেনাশাসনের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা।

জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন সাংবাদিকদের কাছে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে বলেন, আজই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলো, যাতে দেশটি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে পারে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন হলেও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং প্রেসিডেন্ট কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে থেকে যাবেন এবং সেই পদ থেকেই বাস্তবে দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবেন।

এরই মধ্যে একাধিক ঘোষণার মাধ্যমে একটি নতুন ‘ইউনিয়ন সরকার’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশন’ গঠনের কথা জানানো হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকি করবে। এগুলোর নেতৃত্বে থাকবেন মিন অং হ্লাইং নিজেই। তিনি আপাতত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় সামরিক প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানে মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে প্রথম অধ্যায় অতিক্রম করেছি। এখন দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছি।’

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানায়, জান্তাপ্রধান আরও বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সব যোগ্য নাগরিক যেন ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।

যদিও এখনো ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন চলছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।

এআর-০৪/৩১/০৭ (তথ্যসূত্র: এএফপি)

নির্বাচনের ঘোষণা কিছুদিনের মধ্যেই শুনবেন : আইন উপদেষ্টা

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ভোট দিতে সবাই পারবেন। আমাদের হেন উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হচ্ছে না। ভোটাধিকারের কথা বলছেন? ক্লাসে যখন যেতাম। জিজ্ঞেস করতাম ছাত্রদের- তোমাদের মধ্যে কে কে ভোট দিয়েছো? তারা হাসাহাসি শুরু করত। কেউ কেউ বলতো স্যার ভোট দিয়েছি, তবে দশ বারোটা। ৯০ শতাংশ বলতো তারা ভোট দেয়নি। যা হোক আমাদের সেই দুঃখ ঘুচবে। আমরা ১৮ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি।

কবে আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে— জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় তো… জাস্ট ওয়েট করেন, কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই- এর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকরা আছেন, কাজ করেন, অনেক ভয়াবহ তথ্য পাবেন ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে।

উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের নিয়তের কথা আপনাদেরকে বলতে পারি। আমাদের নিয়ত আছে বাংলাদেশের ইতিহাসে বেস্ট ইলেকশন দেওয়ার, এটা স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের সবসময় বলেন।

এআর-০৩/৩১/০৭ (জাতীয় ডেস্ক)

আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

আগামী কয়েকদিন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আগামী পাঁচ-ছয় দিন সরকারের জন্য খুবই ক্রুশিয়াল (গুরুত্বপূর্ণ) টাইম। পাঁচ-সাত দিনে বোঝা যাবে, আমরা কোথায় যাচ্ছি।’

তবে নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ের কথা বলেছেন, তার মধ্যেই হবে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান।’

জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসাই ছিল বড় লক্ষ্য। এই সরকার সেটি করতে পেরেছে।’

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অপরাধকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়ে বর্তমান সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। প্রমাণ পেলে যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এআর-০২/৩১/০৭ (জাতীয় ডেস্ক)

নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিন দেরি হবে না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী চার–পাঁচটা দিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য একটি ক্রুশিয়াল সময়। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে কাজ হচ্ছে। ৫ আগস্ট জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি। সেটা সামনে রেখে কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী পাঁচ–ছয়টা দিনে বুঝব যে আমরা সামনে কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত থাকবেন, নির্বাচন দেরি হবে না। নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিনও দেরি হবে না।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে বলেছিলেন এপ্রিলে হবে। পরে লন্ডনে বলা হয়েছে যদি অনেকগুলো সংস্কার হয়, তাহলে সেটা ফেব্রুয়ারিতে হবে।

এআর-০১/৩১/০৭ (জাতীয় ডেস্ক)

ব্যাংক–আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

দেশের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এস. এম. তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই সতর্কতা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে। দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হতে পারে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক—
১. সার্ভার, ডেটাবেইস ও আইটি সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
২. অপ্রয়োজনীয় পোর্ট বন্ধ এবং কমপক্ষে অনুমতি-ভিত্তিক এক্সেস নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সংরক্ষিত ডেটার গুরুত্ব অনুযায়ী নিয়মিত ব্যাকআপ ও রিস্টোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৩-২-১ ব্যাকআপ কৌশল অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়েছে।
৪. ডেটা স্থানান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে এনক্রিপশন বাধ্যতামূলক।
৫. গুরুত্বপূর্ণ সব সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) চালু করতে বলা হয়েছে।
৬. নিরাপত্তা নজরদারির জন্য এবং অন্যান্য সিকিউরিটি টুলস ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
৭. এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (ইডিআর), অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি সফটওয়্যারের হালনাগাদ এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
৮. সম্ভাব্য হামলার ঘটনা মোকাবিলায় ইনসিডেন্ট রেসপন্স প্ল্যান এবং বিশেষায়িত টিম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
৯. সন্দেহজনক লগইন, ফাইল পরিবর্তন বা এক্সটারনাল সংযোগ মনিটর করতে এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
১০. রিমোট এক্সেস, ভিপিএন ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টস নিয়মিত রিভিউ করে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১১. সাইবার হামলার কোনও লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।
১২. ২৪/৭ বেসিসে নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
১৩. সিস্টেমের উচ্চ সক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে লোড ব্যালেন্সার স্থাপন ও বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৪. প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কনটিনিউটিপ্ল্রান অ্যান্ড ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান হালনাগাদ করে তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই চিঠিটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এআর-০৩/৩০/০৭ (জাতীয় ডেস্ক)

ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি এ ঘোষণা দেন। আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতের পণ্যে নতুন এ শুল্কনীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প আরও বলেছেন, ১ আগস্ট থেকে ভারত একটি ‘অনির্দিষ্ট’ দণ্ডের মুখোমুখি হবে। তবে কী ধরনের দণ্ড কিংবা কেন দণ্ড দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ কথা লেখেন। এতে তিনি আরও লেখেন, ‘ভারত যদিও আমাদের বন্ধু, তবে বিগত বছরগুলোতে তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে আমরা কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অনেক বেশি, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে কঠোর ও বিরক্তিকর অশুল্ক বাধা ব্যবহার করে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা (ভারত) সব সময় সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে থাকে। সবাই যখন চায়, রাশিয়া যেন ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ করে, ঠিক সে সময়ে চীনের মতো তারাও রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা—এসব ভালো লক্ষণ নয়!’

এআর-০২/৩০/০৭ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

রাজশাহীতে ‘কেসকেশন সিজন ২’-এর নিবন্ধন শুরু

রাজশাহীতে বিজনেস কেস সলভিং প্রতিযোগিতা ‘কেসকেশন সিজন-২’ এর নিবন্ধন শুরু হয়েছে। দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ৫১০ টাকা নিবন্ধন ফি দিয়ে এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিবন্ধন চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবের আয়োজনে ও নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। এরআগে ২০২১ সালে প্রথম আয়োজন করা হয় বিজনেস কেস সলভিং প্রতিযোগিতা।

আয়োজকরা জানান, প্রথম রাউন্ডটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী রাউন্ড ও গ্র্যান্ড ফিনালের সময়সূচি শিঘ্রই প্রকাশিত হবে। আয়োজনে প্রাইজমানি হিসেবে থাকছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবের ফেসবুক পেজ ও ইভেন্ট থেকে জানা যাবে।

এআর-০১/৩০/০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)