বিকাল ৫:৩০
বুধবার
১ লা মে ২০২৪ ইংরেজি
১৮ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ভারত সফর স্থগিত করে চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিতের কয়েকদিন পর হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন। টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবে রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ভারতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনের মাঝেই ২১ এপ্রিল ভারত সফরে আসার কথা ছিল তার। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।’’

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।

মার্কিন এই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চার বছর আগে অটোপাইলট সফ্টওয়্যারের সবচেয়ে উন্নত স্বচালিত সংস্করণ এফএসডি বাজারে আনে। গ্রাহকরা চীনে এটা চালু করার বিষয়ে অনুরোধ জানালেও টেসলা এখনও তা করতে পারেনি।

এসএ-০৯/২৮/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ঢাকায় পা রাখল জিম্বাবুয়ে দল

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পা রেখেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আজ রোববার বিকেলে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জজাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছায় সিকান্দার রাজার দল। আজ রাতেই অবশ্য তাদের চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

এই সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে দুই দলই। প্রথম ৩ ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম

প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। দেশের ফিরে ডিপিএলে এক-দুইটা ম্যাচ খেলবেন তিনি। এরপর এই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেন তিনি। আর আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় প্রথম তিন ম্যাচে নেই মুস্তাফিজ। ২ মে দেশে ফিরবেন এই পেসার। শেষ দুই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা আছে তারও।

এদিকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রধান্য দিয়ে দল গড়েছে রোডেশিয়ানরা। তবে আছে এক নতুন মুখও। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জনাথন ক্যাম্পবেল জায়গা পেয়েছেন এই স্কোয়াডে। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে না থাকা তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও ফারাজ আকরামকে আবারও ফেরানো হয়েছে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড-
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে দল-
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও শন উইলিয়ামস।

এসএ-০৮/২৮/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

জ্যোতির ফিফটির পরও হারল বাংলাদেশ

ভারত নারী দলকে দেড়শর আগে আটকে রেখেছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের বোলাররা। সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লক্ষ্যটা ছিল মাঝারি মানের। সেটা তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয় টাইগ্রেসদের। সেখান থেকে নিগার সুলতানা জ্যোতির ফিফটির পরও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৫ রানের ব্যবধানে জিতেছে ভারত।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তুলে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

জবাবে খেলতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন জ্যোতি। তাছাড়া মুর্শিদা করেছেন ১৩ রান।

১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন দিলারা আক্তার। তবে ইনিংসে সেটাই তার প্রথম ও শেষ বাউন্ডারি। পরের বলেই ফিরেছেন সাজঘরে। সেই থেকে শুরু। টাইগ্রসদের আসা-যাওয়ার মিছিল আর থামেনি।

৩০ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। শঙ্কা দেখা দেয় অলআউটের। তবে অধিনায়ক জ্যোতি এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানেন। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি কেউই। শেষ পর্যন্ত তার ৫১ রানের ইনিংসে কোনরকমে একশ পার করে বাংলাদেশ।

এর আগে ভারতের ইনিংসে নতুন বলে মারুফার ওপরই আস্থা রেখেছিলেন জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা।

সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্র এনে দেন। তার করা অদ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এডজে বোল্ড হয়েছেন স্মৃতি। তবে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভর্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন এই ওপেনার।

ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান। চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান।

বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।

এসএ-০৭/২৮/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

‘রামায়ণ’-এ রণবীরের লুক ফাঁস! পল্লবীর সঙ্গে রসায়ন নিয়ে সংশয়

‘রামায়ণ’-এ রণবীর কাপুরের লুক ফাঁস হয়েছে! রামের চরিত্রে রণবীরকে দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন দর্শকরা।

শনিবার নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবির সেট থেকে রাম-সীতার লুক প্রকাশ্যে আসে। অযোধ্যার যুবরাজের বেশে রণবীর কাপুর। পাশে সাই পল্লবী, স্মিত হাসি লেগে রয়েছে মুখে। সাই পল্লবীর সঙ্গে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন রণবীর।

এদিকে রাজকীয় সাজে দেখা মিলেছে তাদের। এ জুটির পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর অলঙ্কারের সম্ভার। ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

রামের চরিত্রে রণবীরকে দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন দর্শক। সীতার চরিত্রে সাই পল্লবীর সাজ দেখেও এক প্রকার মুগ্ধ তারা। কিন্তু পর্দায় জুটির রসায়ন নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকেই।

পরিচালক হিসাবে নীতেশ অত্যন্ত কড়া। ছবির স্বার্থে কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করতে রাজি নন তিনি। সিনেমার শুটিং শুরু হওয়ার আগে তাই খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ে নজর তার। রামের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিরামিষ ডায়েট আর নিয়মিত কঠোর শরীরচর্চা করেছেন রণবীর।

পরিচালক থেকে অভিনেতা এবং প্রযোজক, চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এ যজ্ঞে নেমেছেন কুশীলবরাও। রাজা দশরথের চরিত্রে অভিনয় করবেন অরুণ গোভিল এবং কৈকেয়ীর ভূমিকায় লারা দত্ত।

অন্য দিকে, ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিকের রাবণের চরিত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন যশ। অভিনয় না করলেও নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এর সহ-প্রযোজক তিনি।

এসএ-০৬/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

শান্তনুর সঙ্গে বিচ্ছেদ শ্রুতি হাসানের

দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও চিত্রশিল্পী শান্তনু হাজারিকার সঙ্গে ভেঙে গেছে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শ্রুতি হাসানের প্রেমের সম্পর্ক! বর্তমানে আর একসঙ্গে নেই এই জুটি। দুজনে হেঁটেছেন ভিন্ন ভিন্ন পথে।

সম্প্রতি একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করলে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, গুঞ্জন নয় সত্যিই প্রেম ভেঙেছে এই জুটির।

জানা গেছে, গত মাসে বিচ্ছেদ হয় এই জুটির, তাদের ব্যক্তিগত একটি সূত্র এমনটাই জানায়। শ্রুতি ও শান্তুনুর ব্যক্তিগত বহু মত পার্থক্য ছিল, তাই তারা বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যদিও এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থেকে শ্রুতি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অভিনেত্রী। তবে এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে আলাদা থাকছেন শ্রুতি ও হাজারিকা। তবে ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করার পর থেকেই তাদের আলাদা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি শ্রুতি তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সমস্ত ছবিও মুছে ফেলেন। যার পরেই তাদের প্রেম ভাঙার খবর চাউর হয়েছে।

এসএ-০৫/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বিয়ে করছেন শাকিব, জানা গেল পাত্রীর ঠিকানা

পরিবারের পছন্দে বিয়ে করবেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান- খবরটি পুরোনো হলেও নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব এখন পরিবারের ওপর। তারাই খুঁজে বের করছেন নায়কের জন্য পাত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শাকিবের জীবনে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী সাবেক হওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে। সেই মোতাবেক তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শাকিব পরিবারের ইচ্ছেতেই এবার বিয়ে করতে চান। কারণ, আগে দুইবার নিজ পছন্দে বিয়ে করে জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। সে ভুলটি আর করতে চান না এই চিত্রনায়ক।

সম্প্রতি জানা গেছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। বছর কয়েক আগে, গণমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছিলেন, বউ হিসেবে ডাক্তার মেয়ে তার পছন্দ।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

শাকিবের পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতি ঈদে সিনেমা মুক্তির আগে শাকিবকে টেনে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বুবলী। নিজের সিনেমায় যাতে প্রভাব না পড়ে, এ কারণে শাকিব কিছু বলেন না। তবে গত ঈদে বুবলী যা যা বলেছেন, এতে শাকিব রাগ করেছেন। কলকাতায় গিয়েও বুবলী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শাকিব তার সিনেমার কাজে খুশি, যা পুরোপুরি মিথ্যাচার।

বুবলীর সম্প্রতি মিথ্যাচারের বিরক্ত হয়ে তাকে কড়াকড়িভাবে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন শাকিব ও তার পরিবার। এ-ও বলে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদ এলে যেন বুবলীর সঙ্গে নয়, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আসে।

পারিবারিক ওই সূত্র আরও জানায়, শাকিবের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সম্পর্ক বহু আগেই শেষ। শুধু আব্রামের মা হিসেবে শাকিব তার যথাযথ সম্মান করেন। তাই সন্তানদেরকে শুধু নিজের বাসায় আসতে দেওয়ার পক্ষে শাকিব।

এসএ-০৪/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

শিম্পাঞ্জির সঙ্গে ছবি তুলে কটাক্ষের শিকার নুসরাত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ব্যক্তিগত জীবনের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকেন তিনি। সম্প্রতি একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে ছবি তুলে আরও একবার সংবাদের শিরোনাম হলেন এই নায়িকা।

সাদা রঙের টি-শার্টের সঙ্গে শর্টস, নুসরাতের কোলে বসে আছে একটি শিম্পাঞ্জি। শুধু বসেই নেই, অভিনেত্রীর গালে আলতো করে চুম্বন করতেও দেখা যায় তাকে। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে খুনসুটির সেই ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন নুসরাত। ভিডিওটির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চমৎকার রোববার। সে ভালোবাসা ও চুম্বন দিয়েছে।’

নুসরাতের এই ভিডিও নিয়েও শুনতে হয়েছে কটাক্ষ। একদল রীতিমতো নায়িকা ও শিম্পাঞ্জির ঠোঁট নিয়ে আজেবাজে মন্তব্যে মেতেছেন। তাদের কেউ লিখেছেন, ‘দু’জনের ঠোঁট একইরকম।’ মাহবুবা লেখেন, ‘সেম সেম লাগে দুইটারে।’ আরেকজন লেখেছেন, ‘বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দুই ভাইবোন! আমি কেন্দে দিয়েছি!’

সম্প্রতি ঠোটের সার্জারি করিয়েছেন নুসরাত। ঠোটের আকর্ষণীয়তা বাড়াতেই নায়িকার এমন উদ্যোগ। সেটাই চোখে পড়েছে নেটিজেনদের। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তুলনা করেও মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না।

এদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাননি নুসরাত। এরপরই স্বামী যশকে নিয়ে ছুটি কাটাতে উড়াল দিয়েছেন থাইল্যান্ডে। সেখানেই এই ভিডিও ধারণ করেছেন অভিনেত্রী।

এসএ-০৩/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পান না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পান না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত।’

শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার মনে হয় বিএনপি পড়াশোনা করে না।’

‘বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের এমন মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। তবে বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।’

পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিএনপির মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান এক সময় বোঝা ভাবত, এখন লজ্জিত হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে শাহবাজ শরিফ যা দেখে, বিএনপি সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না, সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’

জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাপি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।’

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ওবায়দুল কাদের শহীদ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান কাদের।

এআর-০৩/২৮/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

মরুভূমিতে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা খান

মরুর বুকে উত্তাপ ছড়ালেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অধরা খান। শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু আবেদনময়ী ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে মরুভূমির তপ্ত বালুতে উত্তাপ ছড়াতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে।

ছবিতে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে দেখা গেছে অধরাকে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন স্পোর্টস কেডস। একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলে গেছেন মরুর বুকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ঝরাচ্ছেন।

দুবাই থেকে অধরা খান জানান, মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমরাহ পালনের জন্যে। কিন্তু সৌদি সরকার উমরাহ ভিসা নীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুবাইতে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন।

এবারের দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, ‘পারিবারিক ব্যবসায়ের কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়। কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।’

নিজের ছবিগুলো প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ‘ছবিগুলো গেল ২২ এপ্রিল তোলা। সেখানে যারা ডেজার্ট সাফারি ট্যুরে আমাদেরকে গাইড করেছেন, ছবিগুলো তারাই তুলে দিয়েছেন। ভাবতে পারিনি মোবাইলে ক্যাপচার করা ছবিগুলো এত সুন্দর এবং ভাইরাল হবে।’

উল্লেখ্য, অধরা খান বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘নায়ক’, ‘মাতাল’, ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’, ‘সুলতানপুর’ ইত্যাদি। এছাড়াও এই নায়িকার মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ওহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত ‘দখিন দুয়ার’।

এসএ-০২/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বিসিএসে কেন এত আগ্রহ?

বাংলাদেশে স্নাতক তরুণদের মধ্যে এখন বিসিএস কর্মকর্তা হওয়া রীতিমতো স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

গত শুক্রবার সিভিল সার্ভিসের(বিসিএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যথা সময়ে হাজির না হওয়ায় অংশ গ্রহণে ব্যর্থ হয়ে এত তরুণ রাস্তায় গড়াগড়ি দিয়ে রীতিমতো কান্নাকাটি করেছেন। একই রকম আরো কয়েকজন তরুণ পরীক্ষায় বসতে না পেরে ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেছেন।

প্রথম শ্রেণির এই গেজেটেড সরকারি চাকরির মধ্যে আবার সবচেয়ে পছন্দের প্রশাসন এবং পুলিশের চাকরি। যারা এ বছর এবং এর আগে বিসিএস দিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এই শীর্ষ পছন্দের কয়েকটি কারণ জানা গেছে।

তার মধ্যে রয়েছে- ১. নিরাপত্তা ২. ভালো বেতন ও সুযোগ সুবিধা ৩. ক্ষমতা ৪. সামাজিক মর্যাদা ৫. বাড়তি উপার্জনের সুযোগ।

পুরুষেরা আরো একটা কারণ বলেছেন। আর তা হলো বিয়ের বাজারে এখন বিসিএস কর্মকর্তার চাহিদা সবচেয়ে বেশি পাত্রী পক্ষের কাছে।

গত শুক্রবার ৪৬ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে মোট পদ তিন হাজার ১৪০টি। তবে সবচয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে ।

বিসিএস চাকরি প্রত্যাশীরা যা বলেন:

এবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশনেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করা রেজাউল করিম বলেন,” এখন আমাদের জেনারেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। কারণ আমাদের সামনে এই চাকরিটাকেই বড় করে দেখানো হয়। আমরা এইভাবেই জানছি। আমাদের বিষয় ভিত্তিক পড়ানা শুধু পাশ করার জন্য। মূল পড়াশুনা বিসিএস চাকরির জন্য।”

তার মতে ,” প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পেলে ভালো বেতন আছে। ক্ষমতা আছে। সামাজিক মর্যাদা আছে। আছে বেতনের বাইরে আয়ের সুযোগ। বেসরকারি চাকরিতে সেটা নেই।”

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে এখন শিক্ষার্থীরা ব্যাপক পড়াশোনা করেন। কিন্তু কেউ নিজের বিষয় নিয়ে পড়েনা। পড়ে বিসিএস গাইড। আমাদের পড়াশুনা আসলে এখন বিসিএস পড়াশুনা।”

৪৫ তম বিসিএসে অংশ নেয়া মো. মানিক হোসেন রিপন বলেন,” বেসরকারি চাকরিতে নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় চাকরি চলে যেতে পারে। আমরা করোনার সময় দেখেছি অনেক বেসরকারি চাকুরিজীবীর চাকরি চলে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা সরকারি চাকরিতে অর্থ আছে। ক্ষমতা আছে। মর্যাদা আছে। প্রশাসন ক্যাডার হলে তো কথাই নেই। আর এখন বিয়ের বাজারে সরকারি চাকরির কদর। বিসিএস ক্যাডার বরের চাহিদা এখন শীর্ষে। বিসিএস জব হলে পছন্দমতো বিয়ে করা যায়।”

তার কথায়,” বিসিএস অফিসারের যে ক্ষমতাতাতে চাইলে যে অনেক ভালো কাজ করতে পারে । খারাপ কাজও করতে পারে। বেতনের বাইরে অনেক টাকা পয়সা আয়ের সুযোগ আছে।”

এবারে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়া আরেকজন আরিফ হোসেন বলেন,” আসলে এখানে ক্ষমতা এবং সামজিক মর্যাদাই মূল। বাংলাদেশে বিসিএসের বাইরে অন্য পেশায় এটা নেই। আর পাত্রীপক্ষও আগে খোঁজেন বিসিএস পাত্র। বিসিএস না হলে সরকারি চাকরি করে এমন পাত্র। বেসরকারি চাকুরিজীবী বা ফ্রিল্যান্সিং করে কেউ মাসে তিন লাখ টাকা আয় করলেও সমাজে তার গুরুত্ব নেই।”

তিনি বলেন,” আমরা তো দেখছি ইউএনও, এসপি, ডিসিদের ক্ষমতা। আমরা তো জানি তাদের কত সুযোগ সুবিধা। তাহলে আমরা সেটা হতে চাইব না কেন? আর আমাদের পরিবার, বড় ভাই সবাই বিসিএসের কথা বলেন। আমাদের কাছে তাদের একটাই চাওয়া বিসিএস অফিসার হওয়া।”

তাদের কথায়,” সবাই মিলে বিসিএস জবকে গ্লোরিফাই করেছে। সংবামাধ্যমও বড় করে ছাপে, প্রচার করে বিসিএসে কোন ক্যাডারে কে প্রথম হয়েছে। কোন ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে তা তো ছাপেনা।”

কেন এই পরিস্থিতি?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন,” আমাদের এখানে শিক্ষা অনেক আগেই তার মূল উদ্দেশ্যের বাইরে চলে গেছে। শিক্ষা হচ্ছে চাকরির জন্য। আর এই সময়ে বিসিএস চাকরির জন্য। আমাদের এখানে এখন আর জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নেই। হয়ে গেছে পেশিভিত্তিক সমাজ। আর সেটা হলো ক্ষমতা। বিসিএস চাকরি হলো একটা ক্ষমতা। আর প্রশাসন ক্যাডার হলো সবচেয়ে বড় ক্ষমতা। তাই তরুণরা সেদিকে যেতেই চেষ্টা করছে।”

তার কথায়,” রাষ্ট্র কী চায় সেটাও দেখতে হবে। সরকার এখন এক হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা খরচ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাকাডেমি তৈরি করছে। যার আদৌ প্রয়োজন নাই। এই প্রশিক্ষণের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই করতে পারে। ওই টাকা শিক্ষার উন্নয়নে , গবেষণায় কাজে লাগানো যেত।”

তার মতে,” এখন রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে ক্যাডার নির্ভার। এখানে জ্ঞানী মানুষ, গবেষক, বিজ্ঞানী গৌণ হয়ে পড়ছে। এর এক ভয়াবহ পরিণতি আমাদের দেখতে হবে।”

“তবে প্রশাসনেও মেধাবীদের দরকার আছে। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে তা হলো ক্ষমতা। আর ক্ষমতা হলে আসে অর্থ। তরুণদের তাই শেখানো হচ্ছে। তারা ইউএনও হবেন, এসপি হবেন, ডিসি হবেন । সবাই তাদের স্যার বলবে। তাদের সবাই ভয় পাবে। তারা যা কিছু চান করতে পারবেন। এটাই তাদের আদর্শ হয়ে গেছে। ”

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জব সাইট বিডিজবডটকম-এর প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন,” আসলে ২০১৫ সালের পে-স্কেলে সরকারি চাকরির বেতন প্রায় দুই গুণ হয়ে গেছে। এছাড়া তাদের আরো অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে সেরকম বেতন বাড়েনি। সরকার চাইলে আজকেই সরকারি চাকরির বেতন বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় সরকার বেতন দেয়। ট্যাক্স বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু বেসরকারি খাতে সেই সুযোগ নাই। এছাড়া সরকারি চাকরিতে অবৈধ উপার্জনের সুযোগ আছে।”

তার কথা, ” আগে নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা সরকারি চাকরি করতেন। এখন উচ্চবিত্তের সন্তানরাও বিসিএস জবে ঢুকছেন। কারণ তারা চিন্তা করছেন ক্ষমতা। এখন সরকারি চাকরি একটা ক্ষমতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ”

“বেসরকারি খাতে মেধাবীদের সংখ্যা কমছে। এটা এই খাতের জন্য খারাপ খবর,” বলেন তিনি।

বিসিএস ক্যাডারের মধ্যেও আবার বৈষম্য আছে। ফলে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রতি তরুণদের আগ্রহ নাই। তারা বিসিএস দিয়ে সরকারি কলেজের শিক্ষক হতে চাননা। আবার ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ওই ক্যাডারে না গিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান তরুণরা। একই বেতন তারপরও কেন প্রশাসন ক্যাডার?

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, ” বিসিএস চাকরির প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ার একটি কারণ হতে পারে যে তারা মনে করে এখানে যোগ্যতা থাকলে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া যায়। কোনো তদ্বির বা অন্য কোনো পথ ধরতে হয়না। তবে আরো অনেক কারণ আছে।”

তার মতে,” করোনার সময় অনেক বেসরকারি চাকরিজীবী চাকরি হারিয়েছেন। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীরা ভালো ছিলেন। এখন সরকারি চাকরিতে বেতন ও সুযোগ সুবিধা ভালো। তবে এই কয়েক লাখ যে পরীক্ষা দেন এর কারণ একজন চাকরি প্রার্থী বয়স থাকা পর্যন্ত বার বার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেন।”

আবার সরকারি অন্য চাকরি বা বেসরকারি চাকরিতে থেকে কেউ কেউ বয়স থাকা পর্যন্ত বার বার বিসিএস দেন। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানের ৫৭ জন সহাকারী এবং উপ পরিচালক চাকরি ছেড়েছেন। কারণ তারা বিসিএস কর্মকর্তা হতে পেরেছেন শেষ পর্যন্ত।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষা গবেষণার প্রতি তরুণদের আগ্রহ কমছে। তারা তাদের বিষয় ভিত্তিক চাকরির প্রতিও আগ্রহী নয়। আমরা দেখেছি যারা বিসিএস দেন তাদের সর্বশেষ পছন্দ হলো শিক্ষা ক্যাডার। এর কারণ আমাদের এখানে ক্যাডার বৈষম্য আছে।”

একই বেতন হওয়ার পরও একজন কেন শিক্ষা ক্যাডারে লেকচারার না হয়ে সহকারী সচিব হতে চান? এর কারণ কী? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”ওই যে ক্ষমতা। একজন ইউএনও হলেই গাড়ি পান। নানা সুবিধা পান। কিন্তু একজন তো কলেজের প্রিন্সিপাল হলেও গাড়ি পাননা। একজন প্রফেসর শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ। কিন্তু তিনি তো থার্ড গ্রেডের। কিন্তু প্রশাসনের একজন সচিব প্রথম গ্রেডের। ”

এআর-০২/২৮/০৪ (সূত্র: হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)