ভোর ৫:৪৫
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২০ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা না থামলে তেহরান জ্বলবে: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইরানের পরমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে অন্তত তিনজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। পাল্টাপাল্টি এই হামলার ঘটনায় আঞ্চলিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে তেহরানও জ্বলবে।’’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পর ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘যদি (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি) ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে তেহরান জ্বলবে।’’

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির খোররামাবাদ, কেরমানশাহ ও তাবরিজ শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে; যা সম্ভাব্য নতুন ইসরায়েলি হামলার ইঙ্গিত।

তাবরিজ শহরের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল আরও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই হামলা এখনও শেষ হয়নি।

এর আগে, শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৯ বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু প্রকল্পে যুক্ত ৯ জন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ইসলায়েলি হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য শহেরে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের আঘাতে জেরুজালেম ও তেল আবিবের বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইরানি হামলায় ইসরায়েলে অন্তত তিনজন নিহত ও আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

এআর-০২/১৪/০৬ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ইসরায়েলের তিনটি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। ইরানের জাতীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইরানের সেনাবাহিনীর (আরতেশ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাইলট বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আরও দুটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল তেহরান। এই দুই যুদ্ধবিমানের একজন পাইলট নিহত হয়েছে এবং অন্যজন ধরা পড়েছে। সর্বশেষ ভূপাতিত করা যুদ্ধবিমান থেকেও এক পাইলটকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরের ১০০-এর বেশি নিশানায় হামলা চালানো হয়েছে।

‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়ে ইসরায়েলের চালানো হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। সাকল্যে ৭৮ জন নিহত ও ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ ড্রোন পাঠায় ইরান। এসব ড্রোনের অধিকাংশ ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। প্রথম হামলার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ইরানে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েল। একই সময়ে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। যুদ্ধবিমান দুটি গতকাল শুক্রবার হামলায় অংশ নিয়েছিল। সেনাবাহিনীর বরাতে দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামলায় নিয়োজিত এক নারী পাইলটকেও আটকের দাবি করা হয়েছে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে।

তবে ইরানের সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা সংস্থা তাসনিমের দাবি নিশ্চিত করেনি। তবে মধ্য ইরানের কুম শহরে ইসরায়েলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আভিখাই আদ্রাই এই দাবি ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ইরানি গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।

এআর-০১/১৪/০৬ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

আইপিএল শিরোপা জয়োৎসবে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

১৮ বছর পর আরসিবির আইপিএল শিরোপা জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে জয়োৎসবে যেন বিষাদে পরিণত হলো। দুই জায়গায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আয়োজিত দলটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আইপিএলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছে কর্ণাটকভিত্তিক দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এ বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বিকেল ৫ টায় বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ এলাকা থেকে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ভিক্টরি প্যারেড বা বিজয় মিছিল হওয়ার কথা ছিল।

পরে সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজয় মিছিলের পরিবর্তে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঠেই আরসিবিকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের ক্রিকেট সংস্থা কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)। বিকেল ৫ টার মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারমাইয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার কথা ছিল আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ দলের অন্যান্য সদস্যদের।

এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের খবর প্রচারিত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকেই এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের চারপাশের এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ চলে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ফলে ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয় তাঁদের। এর পর স্টেডিয়ামের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষ দ্রুত ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। বিপত্তির শুরু সেখান থেকেই।

তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।

তিনি বলেন, ভিড় “অনিয়ন্ত্রণহীন” ছিল। “অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা ৫,০০০ এরও বেশি কর্মীর ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি তরুণ প্রাণবন্ত জনতা, আমরা তাদের উপর লাঠি ব্যবহার করতে পারি না।

এআর-০১/০৪/০৬ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে আবারও চিঠি দেওয়া হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনে আরেক দফা তাগাদাও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ সময় তিনি আরো জানান, পুশ-ইন বন্ধে ভারতের সঙ্গে সংলাপ চায় বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এর আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির কোনো জবাব দেয়নি দিল্লি। বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনে আরেক দফা তাগাদাও দেওয়া হবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, পুশ-ইন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার চেষ্টা চলছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।

পুশ-ইনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত উল্লেখ কোরে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিঠি চালাচালি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৮ জুন দ্বিপাক্ষিক সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন এবং সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠকও করবেন।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টসহ অন্যান্য সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দিল্লির এসব সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি নয় বরং লাভই হয়েছে। এর ফলে নিজেদের সক্ষমতা আরো বাড়ছে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আরেকটি চিঠি পাঠাবো, যেটাতে কিছু পদ্ধতির কথা আমরা আবারও উল্লেখ করব। কনস্যুলার আলোপ আলোচনার যে প্রক্রিয়া আছে, সেটাও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করব।’

 
এআর-০২/০৩/০৬ (জাতীয় ডেস্ক)

সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে নিজেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, ‎বর্তমান সরকার যদি অবিলম্বে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করে, তাহলে তিনি এই পথে হাঁটবেন।

‎মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে নগর ভবনে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইশরাক হোসেন এই ঘোষণা দেন। আজ সকাল থেকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। ‎

‎ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করেন, তাহলে ঢাকা শহরের দক্ষিণের ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে চেয়ার গ্রহণ করব এবং নগর ভবন কীভাবে চলবে, সেটা ঢাকাবাসী নির্ধারণ করবে, কোনো বহিরাগত উপদেষ্টা বা প্রশাসক দিয়ে এই নগর ভবন পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না, হবে না। এটিই আমাদের শেষ কথা, এটাই আমাদের শেষ বার্তা।’ ‎

ইশরাক বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে এই নগর ভবন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আমরাই নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এই শপথ কার্যক্রম যদি তারা নাও করায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না। ঢাকা শহরের জনগণ বারবার আমাকে আহ্বান জানিয়েছে, কেন আমি শহীদ মিনারে গিয়ে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শপথ পড়ে দায়িত্ব পালন বা দায়িত্ব আমি নিজেই কেন নিচ্ছি না। তখন আমি বলেছি, যেহেতু আমরা একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আমাদের দলের পক্ষ থেকেও নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কারণ, আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী, আমরা চাই না কোনো ধরনের একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক।’ ‎

‎এ সময় ঈদ ও মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বর্তমান অবস্থান কর্মসূচি কিছুটা শিথিল ও বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি

এআর-০১/০৩/০৬ (জাতীয় ডেস্ক)

সংবিধান ছাড়া অন্য সব সংস্কার নির্বাহী আদেশে এক মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধান ছাড়া অন্য যেসব সংস্কার আছে, সেগুলো নির্বাহী আদেশে বা অর্ডিন্যান্সের (অধ্যাদেশ) মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে আমাদের বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি। আমরা সেটাই গ্রহণ করব, যেটা জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করব, যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্য দিয়ে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা, তা বাস্তবায়ন করতে পারব।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কারগুলো আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা যেন আমরা বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ছাড়া অন্য যে সংস্কারগুলো আছে, তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন সম্ভব। সেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বৈঠকে অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আমরা আশা করি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। জাতি তাঁর কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনীর যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে—এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমত হতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনিফেস্টোতেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে।’

এ সময় সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, উনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতিমধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে।’

এআর-০৩/০২/০৬ (জাতীয় ডেস্ক)

এক নজরে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট

২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে গত অর্থবছরের চেয়ে বাজেটের আকার কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটিও গত বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জোগান দেবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৩ দশমিক ৬২ ভাগ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঘাটতির ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিদেশি ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বা ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এবার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর ৫৭ ভাগই যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ পরিশোধে। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর কমতে পারে ২ দশমিক ৫ ভাগ। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের কর নামবে ২০ শতাংশে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে পুঁজিবাজারের বাইরের প্রতিষ্ঠানের করহার। এসব প্রতিষ্ঠানকে আগের মতোই ২৭ দশমিক ৫ ভাগ কর দিতে হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের সিকিউরিটিজ লেনদেন কর শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ২৭ দশমিক ৫।

গতবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করা করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া, অপ্রদর্শিত অর্থ প্রতিরোধে,
প্রকৃত মূল্যে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিতে করহার এলাকাভেদে ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের পরিবর্তে কমে হচ্ছে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ।

এবারের বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাময়িক হিসাবে অর্জিত হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ ভাগ।

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিলের হিসেবে দেশের বর্তমান সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

করমুক্ত ব্যক্তি আয়সীমা

এবারের বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। অর্থাৎ বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় থাকলেই একজন ব্যক্তিতে আয়কর দিতে হবে। নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা। আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

এছাড়া গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। নতুন অর্থবছরে তাদের করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার প্রায় ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে, যা মোট বাজেটের ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

দাম বাড়ছে যেসব পণ্য ও সেবার

এবারের বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে কনভেনশন হল, নির্মাণ খাত, সেল্ফ কপি পেপার, কোটেড পেপার, ই-কর্মাস কমিশন।

এছাড়াও প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সামগ্রী, টয়লেট সামগ্রী, কটন সুতা, কৃত্রিম সুতা, ব্লেড, জয়েন্ট, নাট, বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার ও সিগারেট কিনতে ভোক্তাদের আগের চেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

দাম বাড়ছে ওটিটি সেবা, এলইডি লাইট, আমদানিকৃত লিফট, সিফুড, নারিকেল তেল, স্যালমন ফিস, আমদানিকৃত মাংস, আমদানিকৃত টুনা, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, দারচিনি, মাখন, দুগ্ধজাত পণ্য, চিজ, বিদেশি সবজি, কাজু বাদাম, শুকনা ফল, আপেল ও নাশপাতি।

আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবে রড, কফি, চকলেট, শিশু খাদ্য, পাস্তা, বিস্কুট, চিপস, জ্যাম-জেলি, জুস ও সস।

এছাড়াও দাম বাড়ছে দেশি তৈরি মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, ও মিক্সারের।

মার্বেল- গ্রানাইট, অ্যালকোহল, ফুড সাপ্লিমেন্ট, তামাক জাতীয় পণ্য, বিদেশি লবণ, আইসক্রিম, বার্নিশ, সুগন্ধি, এলপিজি সিলিন্ডার, অটো রিকশা, প্রসাধনী, সাবান, ডিটারজেন্টের জন্য বাড়তি মূল্য পরিশোধ করতে হবে ভোক্তাকে।

দাম কমছে যেসব পণ্য ও সেবার

এবার বেশকিছু পণ্য ও সেবার দাম আগের বছরের তুলনায় কমছে। এগুলো হলো ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএনজি, সিলিন্ডার, দেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন, দেশি ডায়াপার, প্যাকেটকৃত তরল দুধ ও বলপয়েন্ট, ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর, রেন্ট, হাসপাতালের বেড, ওষুধের কাঁচামাল, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, কোল্ড স্টোরেজ, এলপিজি সিলিন্ডার, ব্যাটারি, কীটনাশক, ফ্রুট ব্যাগ, টায়ার ও সার।

আরও যেসব খাতে করহার কমছে

রিসাইক্লিং শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহে কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। গ্যাস বিতরণ কোম্পানির উৎসেকর ২ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, জ্বালানি তেল রিফাইনারি কোম্পানির উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ১ দশমিক ৫ এবং ইন্টারনেট সেবার উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ৫ শতাংশ।

এছাড়া বিদ্যুৎ কেনার উৎসে কর ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হচ্ছে ৪ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানির বিক্রির অগ্রিমকর ৩ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ শতাংশ, ব্যক্তি করদাতার টার্নওভারের করমুক্ত সীমা ৩ কোটি থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪ কোটি হচ্ছে এবং
মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

এআর-০২/০২/০৬ (জাতীয় ডেস্ক)

দ্রুত ‘জুলাই চার্টার’ প্রকাশের আশা প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিং শুরু হয়েছে। মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব দ্রুতই জুলাই চার্টার গৃহীত হবে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠক চলছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে রাজনৈতিক দলের যারা আছেন সবাই কথা বলবেন। ২৮টি রাজনৈতিক দলের সবাই অলমোস্ট এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে এ সপ্তাহে আরেকটি মিটিং আছে। এমনও হতে পারে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের একসঙ্গে করে বসা হবে। আগে যেমন এক একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলাদা বৈঠক হয়েছে, এখন এমন হতে পারে যে, একেকটি পলিটিক্যাল পার্টির একজন করে বেশ কয়েকটি দলের নেতারা মিলে একসঙ্গে কথা বলবেন।

প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ৪ মিনিটের একটি বক্তব্য দিয়েছেন। প্রথম পর্বের বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন এবং দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে সবাই পার্টিসিপেট করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেশের জন্য এটা ইম্পরট্যান্ট একটা ইভেন্ট। যে সব পলিটিক্যাল পার্টি এই ডায়ালগে যুক্ত হয়েছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পেয়েছি। সেই মোতাবেক সবাই কাজ করছেন এজন্য প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, যেসব জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিমত পোষণ করছেন সে সব ইন্টেনসিভ জায়গাগুলো নিয়ে এখন আলোচনা হবে।

এআর-০১/০২/০৬ (জাতীয় ডেস্ক)

সরাসরি সম্প্রচার করা হবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের শুনানি

গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের শুনানি ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আগামীকাল রোববার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় কোর্ট প্রসিডিংস বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে (বিটিভি) মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ দেখা যাবে সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায়। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রথম ফরমাল চার্জ ট্রাইব্যুনালে দাখিলের এই চিত্র দেখবে পুরো দেশের মানুষ। এতে বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এআর-০১/৩১/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে : সেনা সদর

সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনা সদর।

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা।

করিডরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এবং এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ভাবছে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করিডরের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটা আমাদের দেশ, আমাদের সবার দেশ। এই দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত। দেশকে ভালো রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি না যে এই বিষয়টা এমন একটি পর্যায়ে গেছে, যেভাবে বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সেনাসদর  জানায়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সেনাসদরের ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।এআর-০২/২৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)