রাত ২:০৭
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

গুম-খুনের নতুন রেকর্ড

“কেন আমার স্বামীর মতো একজন নির্দোষ মানুষকে এভাবে হত্যা করা হলো? এখনো বিচার পাইনি, মামলাও করতে পারিনি। সব সময়ই হুমকির মুখে আছি আমরা।”

বলছিলেন আয়েশা বেগম – এ বছরই কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. একরামুল হকের স্ত্রী ।

এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত মাদক-বিরোধী অভিযানে নিহত চার শতাধিক লোকের একজন এই একরামুল হক।

শত শত মৃত্যুর মধ্যেও ওই ঘটনাটি বিশেষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে – কারণ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও টেপ, যাতে একরামুল হককে তার মেয়ের সাথে কথা বলতে শোনা যায়, এর পর শোনা যায় গুলির শব্দ, আর্তচিৎকার এবং ফোনের একপাশ থেকে মি. হকের স্ত্রীর কান্না, সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিবেশের চিত্র ফুটে ওঠে ওই অডিওতে।

এটি প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক নেটওয়ার্কে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আয়েশা বেগম সোমবার জানান, তিনি এখনো বিচার চেয়ে একটি মামলাও করতে পারেন নি।

তিনি জানান, কক্সবাজার থানায় মামলা করার চেষ্টা করেছেন তার পরিবারের অন্যেরা, কিন্তু মামলা করতে দেয়া হয়নি বরং তাদের নানা হুমকির শিকার হতে হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ১০ মাসে ৪৩৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

দেশ জুড়ে ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ চলার সময় গত ২৬শে মে গভীর রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে” একরামুল হক নিহত হন। র‍্যাব বলেছিল, সেখান থেকে কিছু অস্ত্র ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১০/১১ সালে যে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করেছিল তাতে একরামুল হকের নাম ছিল বলে র‍্যাব দাবি করেছে। তবে টেকনাফ থানার ওসি বলেছিলেন, একরামুল হকের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তার স্ত্রী আয়েশা বেগম বলছেন, তার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ।

আয়েশা বেগম বলছিলেন, তিনি চান তার অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে, কিন্তু সরকারের নানা পর্যায় থেকে আশ্বাস পেলেও এখনো প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাননি তিনি।

আয়েশা বেগম বলছিলেন, তার এবং পরিবারের অন্যদের ওপর নানা হুমকি এসেছে, নানা ভাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ভীত নন।

“আমার মৃত্যুর কোন ভয় নেই । আমরা আমার স্বামীর সাথে মারা গেছি” – বলেন তিনি। তিনি আরো জানান তার দুই মেয়ে এখনো অসুস্থ, এখনো তারা পিতার মুত্যুর আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারে নি।

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সোমবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে আসক বলেছে, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবে সেই অভিযান চালানো হয়। সারা বাংলাদেশে চালানো অভিযানের সময় ১৫ মে থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৬ জন নিহত হন র‍্যাব-পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’।

এ বছর বাংলাদেশে প্রথম ১০ মাসে সব মিলিয়ে ৪৩৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে গুমের শিকার হয়েছেন ২৬ জন।

গত বছর এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ১২৬। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ২০০৭ সালে সবচেয়ে বেশি বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছিল – ৩৫৪ জন।

বাংলাদেশের এবং দেশের বাইরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেও বেশিরভাগের কোন উত্তর মেলেনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ঘটনার পর বলেছিলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিবর্ষণের অন্যান্য ঘটনা যেভাবে তদন্ত হয়, এটিও সেভাবে তদন্ত হবে।

এসএইচ-০৮/১১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

চোট পেয়ে মাঠের বাইরে লিটন

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ওশান টমাসের ইয়র্কার লেন্থের তৃতীয় বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন লিটন দাস। বল তার ব্যাটে না লেগে লেগেছেন ডান পায়ের গোড়ালিতে।

সঙ্গে সঙ্গে ব্যথায় কাঁতরে খোঁড়াতে থাকেন তিনি। পরে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের দলের লজিস্টিক ম্যানেজার সাব্বির খান জানিয়েছেন, চোটের অবস্থা জানতে লিটনকে স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে লিটনের চোট কতটা গুরুতর।

প্রথম ওয়ানডের মতো এদিনও তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন লিটন। চোট পাওয়ার দুই বল আগেই টমাসের বলে চার মেরেছিলেন তিনি। আগের ম্যাচে ৪১ করা লিটন সাম্প্রতিক সময়ে আছেন ছন্দে।

লিটনের চোট পর ওয়ানডাউনে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইমরুল কায়েস। টমাসের বলে শাই হোপকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোন রান করার আগেই।

এদিকে তামিম ইকবাল ও মুশফিক রহিমের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে চাপ সামাল দেবার চেষ্টা চলছে টাইগার বাহিনীর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাল-সবুজ দলের সংগ্রহ ১৯ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০১ রান। মুশফিক ৪৫ ও তামিম ৪০ রানে ব্যাট করছেন।

এসএইচ-০৭/১১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

আকিলা ধনাঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন প্রশ্নবিদ্ধ হয় আকিলা ধনাঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন। তখন ১৪ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছিল তাকে।

যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো সিরিজটাই খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, আকিলার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, বল ছাড়ার সময় আকিলা হাত নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বাঁকাচ্ছেন। ফলে বোলিং অ্যাকশন না শোধরালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না তিনি। বোলিং করতে হলে বদলাতে হবে অ্যাকশন।

আইসিসির ১১.১ এ ধারা মতে আকিলার এই বোলিং অ্যাকশন সব দেশের স্থানীয় লিগে নিষিদ্ধ থাকবে। তবে লঙ্কান বোর্ডেও অনুমতি সাপেক্ষে নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করতে পারবেন তিনি। তবে তা হতে হবে বোর্ডের নজরদারিতে।

৬ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ টেস্টে ২৭ উইকেট নিয়েছেন আকিলা। আর ৩০ ওয়ানডেতে ৪৬ ও ১৬টি টি-টুয়েন্টিতে ১৪ উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে।

এসএইচ-০৬/১১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

খালেদার ভোট ভাগ্য ঝুলেই খাকল

বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে করা রিট আবেদনে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এই আদেশের ফলে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি মামলাটি শুনানির জন্য অন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতেও বিভক্ত আদেশ দেন। শুধু কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। তবে সিইসি কেএম নূরুল হুদাসহ বাকি কমিশনারদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার মনোনয়ন অবৈধ রাখা হয়।

পরে ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিল করে রিটার্নিং অফিসারের দেয়া সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে তিনটি রিট দায়ের করা হয়।

এসব রিটের ওপর ১০ ডিসেম্বর শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।

এসএইচ-০৫/১১/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ফিডার ক্যানেলে নিউজিল্যান্ডের পাখি

নিউজিল্যান্ডের বিরল প্রজাতির একটি পাখি ফরাক্কায় উদ্ধার করল এক মৎস্যজীবী। তাঁদের দাবি, পাখি নয়, এটি ময়ূর ছানা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাগদাবড়া ফরেস্টের বিট অফিসার প্রভাষচন্দ্র মণ্ডল। পাখিটির গায়ের রং ময়ূরের মতো।

এমনকী, মানুষ দেখলে ময়ূরের মতো তেড়ে আসছে ঠোঁট দিয়ে ঠোকরাতে। বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধারের খবর জানাজানি হতে পাখিটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমতে থাকে মৎস্যজীবী লাল্টু হালদারের বাড়িতে।

ভারতের ফরাক্কার ২ নম্বর নিশিন্দ্রা কলোনি সুভাষ পল্লীর বাসিন্দা লাল্টু হালদার। বাড়ির পাশে ফিডার ক্যানেলে মাছ ধরেন প্রতিদিন। রোববার বিকেলে মাছ ধরে কেদারনাথ সেতুর কাছে নদীর পাড়ে একটি বিরল প্রজাতির পাখিকে দেখে চমকে ওঠেন তিনি। পাখিটি ময়ূরের মতো দেখতে হওয়ায় তিনি পাখিটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

বিরল প্রজাতির পাখিকে দেখতে লাল্টু হালদারের বাড়িতে ভিড় জমে যায়। যদিও ফরাক্কার বাগদাবড়া ফরেস্ট অফিসার প্রভাতচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‌মৎস্যজীবীর হাতে আটক পাখিটি ময়ূর নয়, এটির নাম অস্ট্রোলেশিয়ান স্বম্ফেন।

এদের বাস পূর্ব ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নিউগিয়েনায়। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নিউজিল্যান্ডে। শীতের আমেজে কোনও কারণে অস্ট্রোলেশিয়ান স্বম্ফেনটি ফরাক্কায় ফিডার ক্যানেলের পানিতে চলে এসেছে। এরা নদীতে মাছ খেতে আসে।’

এসএইচ-০৪/১১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ঢাকা মিরপুরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। এরই মধ্যে টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। বাংলাদেশ সময় দুপুর একটায় শুরু ম্যাচটি।

রোববার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি জিতে এরই মধ্যে ১-০তে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেবে স্বাগতিকরা।

অন্যদিকে সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ক্যারিবীয়দের।

বাংলাদেশ দলে কোন পরিবর্তন আসেনি। প্রথম ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই নামবেন মাশরাফিরা। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁচ সারথি—মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মাইলফলকের ম্যাচ। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে একসাথে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন তারা।

বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।

এসএইচ-০২/১১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পাক হানাদারদের মনোবল ভেঙ্গে চুরমার

সর্বত্র উড্ডীন লাল-সবুজের রক্তাক্ত জাতীয় পতাকা। পর্যুদস্ত পাক হানাদাররা। ইসলামাবাদে ইয়াহিয়া খান বেসামাল। ঢাকায় জেনারেল নিয়াজী ও রাও ফরমান আলীরা দিশেহারা। যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় অনিবার্য। এখন তাদের আত্মরক্ষার পালা। পাকিস্তানের পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মুক্তাঞ্চলে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আকাশে উড়ল স্বাধীন বাংলার পতাকা। আনুষ্ঠানিক বিজয়ের আগেই একাত্তরের এদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার।

১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১। পাক হানাদারদের মনোবল ভেঙ্গে চুরমার। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে শুধুই বিজয়ের খবর। অধিকাংশ জেলাই হানাদারমুক্ত। কিন্তু তখনও পাকিস্তানের নিশ্চিত পরাজয় ঠেকাতে মরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পরাক্রমশালী এ দেশটি নানা হুমকি-ধমকি দিয়েও চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে মুক্তিকামী বাংলার দামাল ছেলেদের অগ্রযাত্রা এতটুকুও থামাতে পারেনি।

একাত্তরের রক্তক্ষরা এ দিনে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ওয়াশিংটনে বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতিনিধি ভোরেন্তসভকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘পরদিন (১২ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্নের আগে ভারতকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেই প্রয়োজনীয় সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের এমন হুঁশিয়ারি সামান্যতম মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীদের। চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে পাক হানাদারদের ওপর আক্রমণ আরও শাণিত হয়। যুদ্ধ চলছে চারদিকে। আর এক এক করে মুক্ত হচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। একাত্তরের ডিসেম্বরের এদিন ঢাকার আশপাশের মানুষ এদিন পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। মুক্তিবাহিনীর মূল লক্ষ্যই ছিল দেশের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিজয়।

ঢাকা বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে চারদিক থেকে ট্যাঙ্কসহ আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে বাংলার বীর মুক্তি সেনারা এগিয়ে আসছিল। পথে পথে যেসব জনপদ, গ্রাম, শহর-বন্দর পড়ছিল সর্বত্রই মুক্তিসেনারা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে ওড়াতে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। একাত্তর সালের এদিন জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, আশুগঞ্জ, টাঙ্গাইল, দিনাজপুরের হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত হয়।

এ সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। যদিও এসব এলাকা মুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে ব্যাপক যুদ্ধ করতে হয়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি। মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী নিয়ন্ত্রিত টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলে একাত্তরের এই দিনে মিত্রবাহিনীর ৭০০ সৈন্য অবতরণ করে। এ সময় পাকিস্তানী ব্রিগেডের সঙ্গে তাদের তীব্র যুদ্ধ হয়।

অন্যদিকে একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তানের আরেক শক্ত ঘাঁটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও উপকূলীয় অবকাঠামো, জাহাজ, নৌযান ইত্যাদি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান ও যুদ্ধ জাহাজ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। একের পর এক বোমা ও রকেট হামলা চালিয়ে বিধ্বস্ত করে দেয় পাক হানাদারদের সবকিছু। আকাশ ও স্থলে মুক্তি ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা পাক সৈন্যরা নদী পথে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সর্বত্র সতর্ক প্রহরা যে আগেই বসানো হয়েছিল তা জানা ছিল না হানাদারদের। তাই পাকি সামরিক পোশাক ছেড়ে সাধারণবেশে নদীপথে অনেক পাক সৈন্য পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।

একাত্তরের এদিন যশোরের মুক্ত এলাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বৈঠক করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো (১) বাংলাদেশ সরকার ওয়ার ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এ ট্রাইব্যুনাল নরহত্যা, লুণ্ঠন, গৃহদাহ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে যুদ্ধ বন্দীদের বিচার করবে। (২) ২৫ মার্চের আগে যিনি জমি দোকানের মালিক ছিলেন তাদের সব ফিরিয়ে দেয়া হবে। (৩) সব নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে। (৪) জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, পিডিপি, নেজামী ইসলামী নিষিদ্ধ করা হবে।

গুরুত্বপূর্ণ এসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ইয়াহিয়া খান বাঙালী জাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারল না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এ শিশু রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার দায়িত্ব এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে পরস্পরের সার্বভৌম ও স্বাধীনতা অক্ষুণœ রেখে।

এদিকে মেজর জেনারেল রাও ফারমান আলী খানের মাধ্যমে ডাঃ মালিকের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব ঢাকায় নিয়োজিত জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে পেশ করা হয়। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল (১) পূর্বাঞ্চলে নিয়োজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে। (২) বাংলাদেশের গেরিলাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে সরকারীভাবে যোগাযোগ করা হবে না। (৩) এ লক্ষে বেসামরিক পশ্চিম পাকিস্তানী নাগরিককে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। (৪) পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পর্যায়ক্রমে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং (৫) জাতীয় পরিষদের আওয়ামী লীগ দলভুক্ত সদস্যদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আত্মসমর্পণের এমন শর্তের খবরে চারদিকে মুক্তিবাহিনীর উল্লাস ও জয় আর জয়। চারদিকে পত পত করে উড়ছে লাখো শহীদের রক্তস্নাত মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের স্বাধীন-সার্বভৌম জাতীয় পতাকা।

এসএইচ-০১/১১/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দুই চাষী আত্মহত্যা

ভারতের মাহারাষ্ট্র প্রদেশে ঋণ শোধ করতে না পেরে দুই পেয়াজ চাষী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাজারে পেয়াজের ক্রমাগত দরপতন ও ঋণের বোঝা বইতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছেন তারা।

আত্মহত্যাকারী ওই দুই কৃষক হলেন ৪৪ বছর বয়সী তাতিভ্যু খুর্ণা ও ৩৩ বছর বয়সী মনোজ ধোংদাগে। তারা দুজনেই উত্তর মহারাষ্ট্র জেলার বাগলান তালুকার বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের নাশিক নামের ওই অঞ্চলটি ভারতের মোট পেয়াজের ৫০ শতাংশ উৎপাদিত হয়।

এখানকার কৃষকদের অভিযোগ, অত্যধিক সরবরাহ হওয়ায় তারা তাদের পেয়াজের ন্যায্যমূল্য পায় না। অনেক সময় অল্প দামে সেসব বিক্রি করে দিতে হয়। ফলে ঋণের টাকায় যে পেয়াজ উৎপাদিত হয় তা দিয়ে দায় শোধ করতে পারে না অনেকেই।

কর্মকর্তাদের কাছে কৃষক তাতিভ্যু খুর্ণার আত্মীয়-স্বজন বলেন, কম দামের কারণে তিনি তার ৫০০ কুইন্টাল পেয়াজ বিক্রি করতে পারছিলেন না। এদিকে ১১ লাখ টাকা ঋণ নেয়ায় তার ওপর চাপ আসতে থাকে। আর দাম একেবারে কম হওয়ায় আর সে পেয়াজ বিক্রি করেও কোনো লাভ নেই। তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন।

তাছাড়া মনোজ ধোংদাগের পরিবার বলছে, তার মোট ২১ লাখ টাকা ঋণ ছিল। যা শোধ করতে তিনি হিমমিশ খাচ্ছিলেন। পেয়াজের দাম কম হওয়ায় মূলধন রক্ষা করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপায় না পেয়ে তাই আত্মহত্যা করেন তিনি।

এসএইচ-২৯/১০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

কোন দেশের প্রশংসা করে বিপদে টুইটারপ্রধান

মিয়ানমারকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে টুইট লিখে বেকায়দায় পড়েছেন টুইটারের প্রধান কর্মকর্তা জেক ডোরসি।মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া যখন সমালোচনা মুখর, তখন মিয়ানমারের প্রশংসা করে ডোরসি লিখেছেন, ‘সেখানে মানুষেরা আনন্দ-ভরপুর আর খাবার-দাবারও অসাধারণ। মিয়ানমার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন মি. ডোরসি।

সেগুলোতে বলা হয়েছে, গত মাসে তিনি মিয়ানমারের উত্তরাংশে ভ্রমণ করেছেন। মেডিটেশন বা ধ্যানকে কেন্দ্র করেই মূলত ছিল তার এই বিশেষ পরিভ্রমণ। টুইটারে মি. ডোরসির প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ার বা অনুসরণকারী রয়েছে।

এই ব্যাপক সংখ্যক অনুসরণকারীদের সামনে তিনি মিয়ানমারকে ভ্রমণের ইতিবাচক গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেও সেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপরে নির্যাতন, নিপীড়নের ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি মি. ডোরসি একেবারেই উপেক্ষা করে গেছেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সহিংস অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

এই অভিযানে নিহত হয়েছে শিশু ও নারীসহ কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বহু নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও জমির শস্য। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।

এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে মিয়ানমারকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরায় মি. ডোরসির টুইটকে নিন্দনীয় বলে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছে মন্তব্য লিখেছেন একজন। আরেকজন মন্তব্যকারী আরো বেশ কড়া ভাষায় লিখেছেন, ‘এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পরামর্শ।’

মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে এই ব্যক্তি আরও লেখেন, ‘এতো নিউজ, এতো হৈচৈ-কোলাহল হচ্ছে। অথচ এই নিয়ে উনার প্ল্যাটফর্মে কোনো মনোযোগ নেই?’ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেছে অন্য আরো অনেকে। গত মাসে ফেসবুক বলেছে যে, মিয়ানমারে ‘অফলাইন’ বা মানুষের বাস্তব জীবনে যে সহিংসতা চলছে তা থামাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

এই বিষয়টিকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, ‘গণহত্যা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু জেক ডোরসি খুব গর্বের সাথে তুলে ধরেছেন তার নীরব পরিভ্রমণের খবর। আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই বলে ডোরসিকে প্রশ্ন করেছেন যে, ‘তুমি যখন মিয়ানমারে ধ্যান করছিলে তখন কি ধ্যানের ভেতর মিয়ানমার সরকার ও তাদের সমর্থকরা তোমার প্ল্যাটফর্মকে (টু্‌ইটার) ব্যবহার করে কীভাবে সহিংসতার বিস্তার ঘটাচ্ছে তা থামানোর উপায় খুঁজেছিলে?’

এসএইচ-২৮/১০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

জাপান ৩ লাখ শ্রমিক নেবে

জাপানে শ্রম সংকট কাটাতে গিয়ে একটি বিতর্কিত আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। আর তাতে দেশটিতে অবস্থান করা কয়েক হাজার বিদেশি কর্মী বৈধতা পেয়েছেন। আইন অনুসারে এখন তাদের কাজেরও ব্যবস্থা করে দেবে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া দেশটির আরও তিন লাখ বিদেশি কর্মী দরকার বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে জাপানে বিদেশিদের বিভিন্ন সেক্টরে কাজের জন্য অনুমতি বা ভিসা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য সেক্টরগুলো হতে পারে নির্মাণ, ফার্মিং এবং নার্সিং।

পূর্ব এশিয়া দেশ জাপান ঐতিহ্যগতভাবে অভিবাসী সম্পর্কে সচেতন ছিল। কিন্তু এখন দেশটির সরকার বলছে, অনেক বিদেশি কর্মী দরকার তাদের। কারণ জাপানে বৃদ্ধ বয়সী জনসংখ্যা এখন বেশি। আর সেজন্য শ্রম সংকট রয়েছে।

তবে দেশটির বিরোধী দলগুলো বলছে, যে আইনটি পার্লামেন্টে পাস করা হয়েছে, সেটি বিপজ্জনক। এ আইন করায় দেশে নতুন আগতরা শোষণে পড়বেন। নতুন এ শ্রম ব্যবস্থার অধীনে জাপানে তিন লাখ বিদেশি কর্মীকে কাজ করার জন্য ভিসা দেওয়া হবে। আর এতে করে দেশের শ্রম সংকটের মোকাবিলা হওয়া যাবে।

আইনটি জাপানে কাজ করতে যাওয়ার জন্য নতুন দুইটি ভিসা ক্যাটাগরি সৃষ্টি করেছে। কর্মীরা প্রথম শ্রেণির ক্যাটাগরিতে দেশটিতে পাঁচ বছর কাজ করার জন্য অনুমতি পাবেন। তবে শ্রমিকদের দক্ষতা এবং জাপানিদের কিছু কাজ জানা থাকতে হবে তাদের।

এসএইচ-২৭/১০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)