ভোর ৫:৩৮
শনিবার
৪ ঠা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

স্বাক্ষর না থাকলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় না : সাবেক ইসি

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ছোটখাটো ভুল হলে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়না। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না দেয়া হলে তাকে ডেকে এনে আবার স্বাক্ষর দেয়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

রোববার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ার কারেণে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেজিস্টারে ক্লাসিফাইড লোন দেখাতে হবে, তা না হলে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এছাড়া কারো শিক্ষা সনদ না দেয়া এবং সম্পদের হিসাব না দিলে মনোনয়ন বাতিল হয়।

শাস্তির জন্য ২ বছরের বেশি সাজা নিম্ন আদালতে হয় তাহলে উচ্চ আদালতে সেই সাজা স্থগিত না করে, তাহলে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হতে পারে। মনোনয়ন নিয়ে আপিলের জন্য তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আপিলে মনোনয়ন বাতিল হলে সর্বশেষ উচ্চআদালতের যেতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি আপিলে বৈধ হয় তাহলে কেই তার বৈধতার বিরুদ্ধে যে কেউ আপিল করতে পারেন। তবে কেউ যদি তার শিক্ষা সনদ জমা না দেন তাহলে তাকে কয়েকদিন সময় দেয়া হয় সনদ জমা দেয়ার জন্য।

তিনি জানান, মানিকগঞ্জে ৩ টি আসনে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসাবে রির্টার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের সাথে ওই স্বাক্ষরের মিল পায়নি তাই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম লিখিতভাবে জানিয়েছে ওই স্বাক্ষর তার নিজের এবং তিনি ওই প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তারপরেও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কারণ মনোনয়ন জমার শেষ মুহুর্তে রিটার্নিং অফিসারের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিস এরিয়ার মধ্যে থাকলেও মনোনয়ন গৃহীত হয় না।

বিএ-০৫/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার সংবিধানের ৬৫ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাই জনস্বার্থে তিনি এ রিট করেছেন। রিটে ইভিএমে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে শহরাঞ্চলের কিছু আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। পরে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

সে অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে ছয়টি আসন নির্বাচন করা হয়েছে। আসনগুলো হচ্ছে— ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, খুলনা-২, রংপুর-৩ ও সাতক্ষীরা-২।

বিএ-০৪/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নবমবারের মত সংসদ নির্বাচনে মারফত আলী

অর্থ বা ক্ষমতার কারণে নয়, সামাজিক পরিবর্তন এবং কুষ্টিয়ার মিরপুরের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়ে যাচ্ছেন ৭২ বছর বয়সী মারফত আলী মাস্টার। তিনি উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের নওদা আজমপুর এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে।

মারফত আলী বয়সের ভারে খুঁড়িয়ে চলেন। ১১ বার নির্বাচনের অংশ নিয়ে হেরেছেন। তবুও তিনি স্বপ্ন দেখেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বেঙ্গল ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত মারফত আলী। তবে দল নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হয়ে হারিকেন প্রতীকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।

১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে লড়ে আসছেন মারফত আলী। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে একবারও জয়ী হতে পারেননি।

ছাত্রজীবনেই ১৯৬২ সালে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মারফত আলী। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মারফত আলী জানান, মিরপুর-ভেড়ামার উপজেলা নিয়ে কুষ্টিয়া-২ সংসদীয় আসন। এই আসনে বেশি ভোট মিরপুর উপজেলায় তবে এই এলাকার মানুষেরা ভেড়ামারার মানুষের চেয়ে অবহেলিত। নির্বাচনে নেতৃত্বের অভাবে মিরপুরের মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য এই মিরপুরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা।’

ইতিপূর্বের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মারফত আলী বলেন, ‘সর্বপ্রথম জাসদ ইনুর দলের হয়ে ১৯৮০ সালে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খেজুরগাছ প্রতীকে অংশগ্রহণ করি। সে সময় মাত্র ২৬ ভোটে পরাজিত হই। তার পরে প্রতিজ্ঞা করি যতদিন বাঁচব নির্বাচন করে যাব। তারপর প্রথম ১৯৮৬ সালে ১৫ দলীয় জোটের হয়ে মাছ মার্কা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সে সময় ১৩ হাজার ভোট পাই। ১৯৮৮ এবং ১৯৯১ সালে দুই বারই জাসদের (শাজাহান সিরাজ) হয়ে মাছ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে জনতা পার্টি (আতাউল গনি ওসমানী) থেকে হরিণ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি।’

‘এর পরে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো দলের না হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি। এর পর চলে যাই মিরপুর পৌর এলাকার খন্দকবাড়ীয়ায়। সেখানে জমি কিনে বসবাস শুরু করি। পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ২০১০ সালে পৌর নির্বাচনে তালা-চাবি মার্কায় অংশ নিই। তারপর ২০১০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাসদ রব গ্রুপের তারা মার্কা প্রতীকে অংশ নিয়েছিলাম। পরে অর্থের অভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম।’

অর্থ ও রাজনৈতিক কারণেই তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন বলে জানান মারফত আলী। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে না জিতলেও তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা শিক্ষা দিতে চাই। যাতে তারা আগামীতে নেতৃত্ব দিতে পারে। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার এবং সামাজিক একটা পরিবর্তন চাই। মিরপুরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। অন্য কোনো কারণ নেই। আমি মূলত এমপি হতে চাই না। চাই ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে। এ জন্য যত দিন বাঁচব, নির্বাচনে অংশ নিয়ে যাব।’

এসএইচ-০৯/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : প্রিয়.কম)

জাপা থেকে হাওলাদার আউট, রাঙ্গা ইন

জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে আবারও ‘আউট হলেন’ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।

সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘আপনাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি আপনি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

বিএ-০৩/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আ’লীগ কোনো অবস্থাতেই একতরফা ভোট চায় না

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা হোক-আওয়ামী লীগ কোনো অবস্থাতেই সেটি চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চেষ্টা করব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সমতল ক্রীড়াভূমি) যেন নষ্ট না হয়। কোনো অবস্থাতেই একতরফা ভোট আমরা করতে চাই না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কাকে ভোট দেবে সেটি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দেব, প্রধানমন্ত্রী এটি কোনোভাবেই চান না।

বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল আইনি ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংযোগ নেই।

সরকার সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটি ক্রেডিবল ইলেকশন করতে চাই। গতবার বিএনপি ভোটে না এসে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, আশা করি সেটি এবার হবে না। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হোক-এটি আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগ এক কথায় বিশ্বাসী-এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তো জনগণের মধ্যেই থাকতে হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আমার একটি দায়িত্ব আছে। এখন এক কথা বলব, আজ থেকে ২৬-২৭ দিন পর যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তখন কি হবে। আমরা এক কথায় বিশ্বাসী।

বিএ-০২/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না

নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন এমন কর্মকর্তার উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দৃঢ় থাকতে হবে। আইন প্রয়োগ ঠিকভাবে না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না।

সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে দুই হাজার ২৬ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় ব্যক্ত করে মাহবুব তালুকদার বলেন, দেশে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, কখনও সেনাসমর্থিত সরকারের অধীন কিংবা কখনও দলীয় সরকারের অধীনে। তবে এবারের ভোট যেই প্রক্রিয়াই হোক না কেন-নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেবে না কমিশন।

সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আগে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থী যেন নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, সুষ্ঠু ভোট হবে।

সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের চাওয়া খুবই সামান্য—একজন ভোটার যেন ভয়ডরহীনভাবে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বে অবহেলা কমিশন বরদাশত করবে না বলে হুশিয়ার করেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, যুদ্ধের ময়দানের মতো নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাফল্যের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন ব্যর্থ হবে যদি আপনারা ব্যর্থ হন। আপনারা সফল হলে উদ্ভাসিত হবে পুরো জাতি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।

বিএ-০১/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

ভাড়ায় মিলছে ‘বয়ফ্রেন্ড’!

ভাড়ায় মিলছে বয়ফ্রেন্ড। কিছুদিন হলো এই রীতি চালু হয়েছে চীনে। রেন্ট আ বয়ফ্রেন্ড নামে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। শপিং মলে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। ঘণ্টা মেপে নেওয়া হচ্ছে ভাড়া।

চীনের হিবাই প্রদেশে এমন ব্যবস্থা শুরু হওয়ায় খুশি অনেক নারীই। চীনের অনেক নারীই বিয়ের করার দিকে ঝুঁকছেন না। তাদের কথা ভেবে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। শপিং মলগুলোতে পুরষেরা দাঁড়িয়ে থাকছেন একের পর এক। পছন্দ মত তাদের বেছে নেওয়া যাচ্ছে অর্থের বিনিময়।

মূলত আধ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টার জন্যই এই ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি টাকা দিয়েই বন্ধু বেছে নেওয়া যাচ্ছে বা কিউআর কোড স্ক্যান করে দেওয়া যাচ্ছে টাকা। এই কাজ পাওয়ার জন্য পুরুষদের ব্যক্তিত্ব বিচার করা হচ্ছে। সুগঠন তো বটেই সঙ্গে অবিবাহিতরাই পাচ্ছেন এই সুযোগ।

শুধুমাত্র মল চত্বরেই এই বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরতে পারবেন নারীরাই। নারীদের কেনাকাটা করতে বা মলে তাদের ব্যাগ বয়ে দেওয়ার কাজ করছেন এই সব সু-পুরুষেরা। এছাড়াও সঙ্গীকে কোন ড্রেস বা ব্যাগ মানাবে, সেটা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে পুরুষ বন্ধুটি।

ঘুরতে ঘুরতে তার ছবিও তুলে দেবেন। অর্থাৎ সঙ্গ দেওয়া ও মলে যেই নারীরা আসছেন তাদের সময়টা যাতে ভালো কাটে, সেটা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। তবে সঙ্গীকে কোন রকম স্পর্শ একেবারেই করা যাবে না।

সাইকেল থেকে ছাতা, চীনে সবই ভাড়া পাওয়া যায়। এবার সেই তালিকায় পুরুষ বন্ধুও। কার্ড সোয়াইপ করেই পাওয়া যাচ্ছে এই সুবিধা। হাইকোউ ও হাইনানের বিভিন্ন মলেও শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এতে কোন রকম ভুল ধারণা যাতে তৈরি না হয়, সেটা বারবার বলছেন মল কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-০৮/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র: নিউজ১৮.কম)

ভোটার হওয়ার মেয়াদ বাড়ল অ্যাসোসিয়েশনের

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন মাদ্রিদের সাধারণ ভোটারদের পক্ষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইন স্পেনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন।

৩০ নভেম্বর মাদ্রিদের সোনারবাংলা রেস্টুরেন্টে নেতৃবৃন্দ এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশপূর্বক ভোটার তালিকা হালনাগাদের স্বপক্ষে সময়সীমা বর্ধিতকরণের জন্য আবেদনপত্র জমাদেন।

পত্রগ্রহন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম মজুমদার, যুগ্ম সচিব (প্রেস উইং) দবির তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ লুতফুর রহমান।

প্রেসক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, সহসভাপতি সেলিম আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ফখরুদ্দীন রাজী।

এছাড়াও গ্রেটার সিলেট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন ও চট্রগ্রাম সমিতি মাদ্রিদ সভাপতি কাজি এনায়েতুল করিম তারেক ভোটার হালনাগাদ করার আবেদন করেন।

পরে সভা ডেকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার হওয়ার মেয়াদ সাত ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এসএইচ-০৭/০৩/১২ (প্রবাস ডেস্ক)

বিটিআরসির কথা শুনবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরে নজরদারি বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন।

এজন্যে টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রোববার নির্বাচন কমিশনে একটি বৈঠকও হয়েছে।

সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ভোট নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতেই কমিশনের এই নজরদারির উদ্যোগ।

কিন্তু বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে এ বিষয়ে কী ধরণের সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন ?

এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছেন, “নির্বাচনের সময় কমিশনকে সহায়তা করা সবার দায়িত্ব। তারা বলেছেন প্রোপাগান্ডা, গুজব এসব বন্ধ করার বিষয়ে সুযোগ যদি থাকে।”

“বিটিআরসি বলেছে তাদের সক্ষমতার মধ্যে যেগুলো আছে সেগুলোর সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার হয় সেটা আসলে বিটিআরসি বন্ধ করতে সক্ষম নয়।

বিটিআরসি ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারে। ফেসবুকের অনেক গ্রাহক বাংলাদেশে থাকায় তারা কখনো কখনো বিটিআরসি যখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কথা বললে বিবেচনা করে বলে তিনি জানান।

“তবে তারা (ফেসবুক) কিন্তু বিবেচনায় নিতে বাধ্য নয়। এছাড়া অন্য কোনো সহযোগিতা যেগুলো বিটিআরসি করতে সক্ষম সেটি নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে”।

জহুরুল হক বলেন, “বিটিআরসির লোকজন ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছে বিভিন্ন অপ্রচার দেখার জন্য এবং অনুরোধ যদি আসে সেটা বিটিআরসি চেষ্টা করবে।”

ফেসবুকে রাজনৈতিক আলোচনার কোনটা গুজব বা অপপ্রচার তা নির্ধারণ হবে কীভাবে?

এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা সেটা করবেননা।

“আমরা নির্ধারণ করবো রাষ্ট্র-শৃঙ্খলা বিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কিছু বললে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে পারি। আমরা সেটা বন্ধ করতে পারিনা। আমরা বন্ধ করিও না”।

নির্বাচনকে প্রভাবিত করা বা বানচালের কাজে ফেসবুককে অপব্যবহারের চেষ্টা বিভিন্ন দেশে হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে কতটা ঝুঁকি আছে?

জবাবে বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারের ইতিহাস তো বেশি দিনের না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কোনো চুক্তি নাই যে আমরা বললেই তারা বন্ধ করে দেবে।”

“আমরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে বা একান্তই মিথ্যা কিছু হলে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন হলে ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারি। কোনো ব্যক্তির বিষয়ে বিটিআরসি কিছু করেনা”।

এসএইচ-০৬/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

জাহ্নবী কাপুর ছোটবেলায় চুরি করতেন

ছোটবেলায় নাকি তার চুরির অভ্যাস ছিল। ‘‌কফি উইথ করণ’ টক শো–তে এসে দাদা অর্জুন কাপুরের সামনেই স্বীকার করে নিলেন শ্রীদেবী কন্যা। সম্প্রতি ঈশান খট্টরের সঙ্গে তাঁর নতুন ছবি ধড়ক মুক্তি পেয়েছে।

তারপর থেকে কখনও ঈশানের সঙ্গে সম্পর্ক, কখনও পরিবার ও মা শ্রীদেবীকে নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে উঠে এসেছে জাহ্নবীর নাম।

সেই নিয়েই দাদা অর্জুন কাপুরের সামনে খোলাখুলি আলোচনা করলেন তিনি। উঠে এল পারিবারিক নানা কথা। তার সঙ্গে শৈশবের প্রসঙ্গও। সেখান থেকেই জাহ্নবীর এক শৈশবের বন্ধু বলে বসলেন এক আশ্চর্য কথা।

ছোটবেলায় নাকি হাতটান স্বভাব ছিল জাহ্নবীর। তবে টাকা, পয়সা বা দামি জিনিস নয়, তিনি সুযোগ পেলেই মাছ সরাতেন। তারপর জাহ্নবী নিজেই বললেন, ‘‌একবার একটা পাঁচতারা হোটেলে গিয়েছিলাম। সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর দেখলাম হোটেলের পুলে সুন্দর সুন্দর মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি একটা জগে করে সেই পুল থেকে কয়েকটা মাছ তুলে নিলাম।

তারপর বাড়িতে অ্যাকোরিয়ামে এনে ঢেলে দিলাম। এমনই স্বভাব ছিল ছোটবেলায়।’‌ তবে একটা ঘটনা নয়, শ্রীদেবীর বাজার থেকে কিনে আনা মরা পমফ্রেট মাছও নাকি সরিয়ে ফেলেছিলেন জাহ্নবী।

টক শো–যে এই কথা স্বীকার করার পরেই অর্জুন ও করণ দু’‌জনেই হেসে গড়িয়ে পড়েন। কে জানতো, ছোটবেলায় হাতটান ছিল জাহ্নবীর। ‌‌

এসএইচ-০৫/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)