সকাল ৮:২২
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ভাড়ায় মিলছে ‘বয়ফ্রেন্ড’!

ভাড়ায় মিলছে বয়ফ্রেন্ড। কিছুদিন হলো এই রীতি চালু হয়েছে চীনে। রেন্ট আ বয়ফ্রেন্ড নামে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। শপিং মলে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। ঘণ্টা মেপে নেওয়া হচ্ছে ভাড়া।

চীনের হিবাই প্রদেশে এমন ব্যবস্থা শুরু হওয়ায় খুশি অনেক নারীই। চীনের অনেক নারীই বিয়ের করার দিকে ঝুঁকছেন না। তাদের কথা ভেবে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। শপিং মলগুলোতে পুরষেরা দাঁড়িয়ে থাকছেন একের পর এক। পছন্দ মত তাদের বেছে নেওয়া যাচ্ছে অর্থের বিনিময়।

মূলত আধ ঘণ্টা বা ১ ঘণ্টার জন্যই এই ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরাসরি টাকা দিয়েই বন্ধু বেছে নেওয়া যাচ্ছে বা কিউআর কোড স্ক্যান করে দেওয়া যাচ্ছে টাকা। এই কাজ পাওয়ার জন্য পুরুষদের ব্যক্তিত্ব বিচার করা হচ্ছে। সুগঠন তো বটেই সঙ্গে অবিবাহিতরাই পাচ্ছেন এই সুযোগ।

শুধুমাত্র মল চত্বরেই এই বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরতে পারবেন নারীরাই। নারীদের কেনাকাটা করতে বা মলে তাদের ব্যাগ বয়ে দেওয়ার কাজ করছেন এই সব সু-পুরুষেরা। এছাড়াও সঙ্গীকে কোন ড্রেস বা ব্যাগ মানাবে, সেটা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে পুরুষ বন্ধুটি।

ঘুরতে ঘুরতে তার ছবিও তুলে দেবেন। অর্থাৎ সঙ্গ দেওয়া ও মলে যেই নারীরা আসছেন তাদের সময়টা যাতে ভালো কাটে, সেটা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। তবে সঙ্গীকে কোন রকম স্পর্শ একেবারেই করা যাবে না।

সাইকেল থেকে ছাতা, চীনে সবই ভাড়া পাওয়া যায়। এবার সেই তালিকায় পুরুষ বন্ধুও। কার্ড সোয়াইপ করেই পাওয়া যাচ্ছে এই সুবিধা। হাইকোউ ও হাইনানের বিভিন্ন মলেও শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এতে কোন রকম ভুল ধারণা যাতে তৈরি না হয়, সেটা বারবার বলছেন মল কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-০৮/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র: নিউজ১৮.কম)

ভোটার হওয়ার মেয়াদ বাড়ল অ্যাসোসিয়েশনের

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন মাদ্রিদের সাধারণ ভোটারদের পক্ষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইন স্পেনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন।

৩০ নভেম্বর মাদ্রিদের সোনারবাংলা রেস্টুরেন্টে নেতৃবৃন্দ এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশপূর্বক ভোটার তালিকা হালনাগাদের স্বপক্ষে সময়সীমা বর্ধিতকরণের জন্য আবেদনপত্র জমাদেন।

পত্রগ্রহন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম মজুমদার, যুগ্ম সচিব (প্রেস উইং) দবির তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ লুতফুর রহমান।

প্রেসক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, সহসভাপতি সেলিম আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ফখরুদ্দীন রাজী।

এছাড়াও গ্রেটার সিলেট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন ও চট্রগ্রাম সমিতি মাদ্রিদ সভাপতি কাজি এনায়েতুল করিম তারেক ভোটার হালনাগাদ করার আবেদন করেন।

পরে সভা ডেকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার হওয়ার মেয়াদ সাত ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এসএইচ-০৭/০৩/১২ (প্রবাস ডেস্ক)

বিটিআরসির কথা শুনবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরে নজরদারি বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন।

এজন্যে টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রোববার নির্বাচন কমিশনে একটি বৈঠকও হয়েছে।

সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ভোট নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতেই কমিশনের এই নজরদারির উদ্যোগ।

কিন্তু বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে এ বিষয়ে কী ধরণের সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন ?

এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছেন, “নির্বাচনের সময় কমিশনকে সহায়তা করা সবার দায়িত্ব। তারা বলেছেন প্রোপাগান্ডা, গুজব এসব বন্ধ করার বিষয়ে সুযোগ যদি থাকে।”

“বিটিআরসি বলেছে তাদের সক্ষমতার মধ্যে যেগুলো আছে সেগুলোর সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার হয় সেটা আসলে বিটিআরসি বন্ধ করতে সক্ষম নয়।

বিটিআরসি ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারে। ফেসবুকের অনেক গ্রাহক বাংলাদেশে থাকায় তারা কখনো কখনো বিটিআরসি যখন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কথা বললে বিবেচনা করে বলে তিনি জানান।

“তবে তারা (ফেসবুক) কিন্তু বিবেচনায় নিতে বাধ্য নয়। এছাড়া অন্য কোনো সহযোগিতা যেগুলো বিটিআরসি করতে সক্ষম সেটি নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে”।

জহুরুল হক বলেন, “বিটিআরসির লোকজন ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছে বিভিন্ন অপ্রচার দেখার জন্য এবং অনুরোধ যদি আসে সেটা বিটিআরসি চেষ্টা করবে।”

ফেসবুকে রাজনৈতিক আলোচনার কোনটা গুজব বা অপপ্রচার তা নির্ধারণ হবে কীভাবে?

এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা সেটা করবেননা।

“আমরা নির্ধারণ করবো রাষ্ট্র-শৃঙ্খলা বিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কিছু বললে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে পারি। আমরা সেটা বন্ধ করতে পারিনা। আমরা বন্ধ করিও না”।

নির্বাচনকে প্রভাবিত করা বা বানচালের কাজে ফেসবুককে অপব্যবহারের চেষ্টা বিভিন্ন দেশে হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে কতটা ঝুঁকি আছে?

জবাবে বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারের ইতিহাস তো বেশি দিনের না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কোনো চুক্তি নাই যে আমরা বললেই তারা বন্ধ করে দেবে।”

“আমরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে বা একান্তই মিথ্যা কিছু হলে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন হলে ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারি। কোনো ব্যক্তির বিষয়ে বিটিআরসি কিছু করেনা”।

এসএইচ-০৬/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

জাহ্নবী কাপুর ছোটবেলায় চুরি করতেন

ছোটবেলায় নাকি তার চুরির অভ্যাস ছিল। ‘‌কফি উইথ করণ’ টক শো–তে এসে দাদা অর্জুন কাপুরের সামনেই স্বীকার করে নিলেন শ্রীদেবী কন্যা। সম্প্রতি ঈশান খট্টরের সঙ্গে তাঁর নতুন ছবি ধড়ক মুক্তি পেয়েছে।

তারপর থেকে কখনও ঈশানের সঙ্গে সম্পর্ক, কখনও পরিবার ও মা শ্রীদেবীকে নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে উঠে এসেছে জাহ্নবীর নাম।

সেই নিয়েই দাদা অর্জুন কাপুরের সামনে খোলাখুলি আলোচনা করলেন তিনি। উঠে এল পারিবারিক নানা কথা। তার সঙ্গে শৈশবের প্রসঙ্গও। সেখান থেকেই জাহ্নবীর এক শৈশবের বন্ধু বলে বসলেন এক আশ্চর্য কথা।

ছোটবেলায় নাকি হাতটান স্বভাব ছিল জাহ্নবীর। তবে টাকা, পয়সা বা দামি জিনিস নয়, তিনি সুযোগ পেলেই মাছ সরাতেন। তারপর জাহ্নবী নিজেই বললেন, ‘‌একবার একটা পাঁচতারা হোটেলে গিয়েছিলাম। সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর দেখলাম হোটেলের পুলে সুন্দর সুন্দর মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি একটা জগে করে সেই পুল থেকে কয়েকটা মাছ তুলে নিলাম।

তারপর বাড়িতে অ্যাকোরিয়ামে এনে ঢেলে দিলাম। এমনই স্বভাব ছিল ছোটবেলায়।’‌ তবে একটা ঘটনা নয়, শ্রীদেবীর বাজার থেকে কিনে আনা মরা পমফ্রেট মাছও নাকি সরিয়ে ফেলেছিলেন জাহ্নবী।

টক শো–যে এই কথা স্বীকার করার পরেই অর্জুন ও করণ দু’‌জনেই হেসে গড়িয়ে পড়েন। কে জানতো, ছোটবেলায় হাতটান ছিল জাহ্নবীর। ‌‌

এসএইচ-০৫/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)

কোহলির সামনে রেকর্ড ভাঙ্গার হাতছানি

অস্ট্রেলিয়ায় শচীন টেন্ডুলকারের আরও একটি রেকর্ড ভাঙার হাতছানি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সামনে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে শতরান করলেই শচীনকে ছুঁয়ে ফেলবেন বিরাট। আর জোড়া সেঞ্চুরি করলেই মাস্টার ব্লাস্টারকে টপকে যাবেন ভারত অধিনায়ক।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০ টি টেস্টে শচীনের সংগ্রহ ১৮০৯ রান। করেছেন ৬টি শতরান, ব্যাটিং গড় ৫৩.২১। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় ৮টি টেস্ট খেলে ৫টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বিরাট কোহলি।

অস্ট্রেলিয়ায় ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে সুনীল গাভাসকারেরও। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ভিভিএস লক্ষণ।

অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারলেই শচীনকে ছুঁয়ে ফেলবেন বিরাট। আর মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড ভাঙতে বিরাটের দরকার ২টি সেঞ্চুরি। অর্থাৎ আর দুটি টেস্ট শতরান করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক টেস্ট শতরানের মালিক হযে যাবেন বিরাট কোহলি।

২০১১-১২ সালে সফরে একটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। ২০১৪-১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে চার টেস্টে চারটি শতরান করেন বিরাট। তার মধ্যে অ্যাডিলেড টেস্টের দুই ইনিংসে দু’টি শতরান করেছিলেন তিনি। সেই অ্যাডিলেডেই আবার অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট। কোহলির লাকি গ্রাউন্ডেই কি শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন বিরাট কোহলি? উত্তর পাওয়া যাবে অ্যাডিলেডে।

এসএইচ-০৪/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

শিশুকন্যাকে আছড়ে মারলেন বাবা!

কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তির জেরেই মায়ের কোল থেকে শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে অঁাছড়ে মারল বাবা। মৃত শিশুটির নাম ফারহা সুলতানা। তার বয়স মাত্র ছয় মাস। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্তপুর এলাকায়। হাসপাতাল থেকে এই মৃত্যুর খবর ওই গ্রামে পৌঁছতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরই মৃত শিশুর বাবা আব্বাস আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের সালার থানায়।

মৃত শিশুর দিদিমা পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই মেয়ে সেলিনা বিবির ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাত জামাই আব্বাস আলি। কথায় কথায় রোজই দু’‌জনের বচসা হত। তখন সেলিনার ওপর অমানবিক আচরণ করত আব্বাস। মারধরও করত। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ইতিপূর্বে অনেক আলোচনা ও সমস্যার মিমাংসাও করা হয়েছে।

কিন্তু তাতে যে কোনও কাজ হয়নি, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল গত বৃহস্পতিবার রাতে। সেলিনার কোলে ফারহা থাকার সময় যথারীতি কন্যাসন্তানের জন্ম নিয়ে আব্বাস সেলিনাকে কটূক্তি করতে থাকে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন সেলিনা। তখন সেলিনাকে মারধর শুরু করে আব্বাস। পরিবারেও শুরু হয়ে যায় অশান্তি।

সেই সময় মেয়ের কোলে থাকা ছয় মাসের শিশুটি চিৎকার করে কঁাদতে শুরু করে। তখন আব্বাসের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে শিশুটির ওপর। অগ্নিশর্মা আব্বাস সেলিনার কোল থেকে শিশুটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় শিশুকন্যাটি।

সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষকে নিয়ে সেলিনা মেয়েকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। শনিবার রাতে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় শিশুটির। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতে

শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনায় বিস্মিত প্রতিবেশীরা। তঁারা অভিযুক্ত আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জামাই আব্বাস আলির বিরুদ্ধে সালার থানায় অভিযোগ করেছেন সেলিনার বাপের বাড়ির লোকজনও। তঁারাও আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।‌

এসএইচ-০৩/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)

ঘুম হারাম হয়েছিল পাক হানাদারদের

বিজয় দিবস, বহু আকাক্সিক্ষত একটি স্বাপ্নিক স্বপ্ন। আর একাত্তরের ডিসেম্বর। সে এক উন্মাদনার সময়। ডিসেম্বর এলেই মানুষ হারিয়ে যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনের স্মৃতিচারণে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এর পেছনে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের রক্ত ও মহান আত্মত্যাগ। মুক্তিপাগল বাঙালী জাতি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরেই ছিনিয়ে আনে হাজারো বছরের লালিত স্বপ্ন প্রিয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

একটি মানচিত্র, একটি পতাকার হাত ধরে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ নামক স্বাধীন দেশটি বিনির্মাণে লাখো শহীদকে জীবন দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এমন কোন গ্রাম ছিল না, এমন কোন শহর ছিল না যেখানে একজনও শহীদ হননি। গ্রামের পর গ্রাম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের তা-বলীলা চলেছে। সেদিনের সেই ধ্বংসলীলা পঁয়তাল্লিশ বছর পরে আজ উপলব্ধি করা সত্যিই কষ্টের। তাই এবার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এসেছে এক অন্যরকম উন্মাদনা নিয়ে। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের দাবি আজ বাংলার ঘরে ঘরে, পথে-প্রান্তরে।

৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মুক্তিপাগল বীর বাঙালী। গেরিলা আক্রমণে ঘুম হারাম অবস্থা পাক হানাদার বাহিনীর। একাত্তরের এই দিনে গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড। রণাঙ্গনে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধারা। ভিন্নমাত্রা পায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম। পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় যৌথ কমান্ডের সম্মুখযুদ্ধ। ভারতীয় সেনাবাহিনী চারদিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। সম্মুখসমরে হানাদার বাহিনীকে একে একে পরাস্ত করে বাংলার দামাল ছেলেরা বিজয় কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগুতে থাকে ঢাকার দিকে।

বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধে পরিণত করার মতো শেষ অস্ত্র বেছে নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানের ভারত আক্রমণের জের ধরে পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানের চার ডিভিশন সৈন্যের সঙ্গে ভারতের সাত ডিভিশন সৈন্য ও অনিয়মিত মুক্তিযোদ্ধারা মুখোমুখি হয়। মনোবল চাঙ্গা হয়ে ওঠে বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেদের। সময় ঘনিয়ে আসতে শুরু করে এই মাটি আর বাংলার স্বাধীনতার শত্রুদের। বাঙালির জীবন-মরণ লড়াইয়ে ভারতের সহযোগিতার ধারা বাড়তে থাকে।

ডিসেম্বরের প্রথম দু’দিনেই এক কথা স্পষ্ট হয়ে যায়, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিচ্ছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের স্বীকৃতি পায় কিছু পরে। কিন্তু ৩ ডিসেম্বর থেকেই ভারতীয় সৈন্যবাহিনী এসে দাঁড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে। ফোর্ট ইউলিয়াম থেকে সঙ্কেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী চারদিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। নবম ডিভিশন এগুতে থাকে গরিবপুর, জগন্নাথপুর হয়ে যশোর-ঢাকা হাইওয়ের দিকে।

চতুর্থ ডিভিশন মেহেরপুরকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেল ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জের দিকে। বিংশতম ডিভিশন তার দায়িত্ব দু’ভাবে বিভক্ত করে নেয়। একটি অংশ থাকে হিলির পাক ঘাঁটি মোকাবেলার জন্য, আরেকটি অংশ হিলিকে উত্তরে রেখে এগিয়ে চলে সামনে। এভাবে নানা ডিভিশনে বিভক্ত হয়ে পাকহানাদার বাহিনীকে চারদিক থেকে কার্যত ঘেরাও করে ফেলে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিকে একাত্তরের এই দিনে বাংলাদেশে ভারতীয় বিমান ও নৌ বাহিনী এবং বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর একদল চৌকস বীর মুক্তিযোদ্ধা মধ্যরাত থেকে এ্যাকশন শুরু করে। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাক ঘাঁটির ওপর বোমাবর্ষণ শুরু করে। এদের প্রধান লক্ষ্য ছিল অবশ্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ঢাকা ছিল পাক বিমানবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। এ ঘাঁটিতেই ছিল তাদের জঙ্গী বিমানগুলো।

রাত ৯টার দিকে একটি অটার বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দু’জন চৌকস অফিসার ফ্লাইট লেফটেনেন্ট শামসুল আলম ও ক্যাপ্টেন আকরাম (স্বাধীনতার পর দু’জনই সাহসিকতার জন্য বীরউত্তম খেতাব পান) দু’জন গানার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল জ্বালানি সংরক্ষণাগারে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ করে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করে দেয়। সাত ঘণ্টা সফল অভিযান চালিয়ে বিমান নিয়ে ভারতের কৈলা শহর বিমানবন্দরে ফিরে যান তাঁরা।

ঘুন কুয়াশার মধ্যে উড্ডয়ন বিপজ্জনক হলেও দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লীডার সুলতান মাহমুদ, ফ্লাইট লেফটেনেন্ট বদরুল আলম (স্বাধীনতার পর এ দু’জনও সাহসিকতার জন্য বীরউত্তম খেতাব পান) আরেকটি ‘এ্যালুয়েট’ যুদ্ধ বিমান নিয়ে চট্টগ্রামের জ্বালানি সংরক্ষণাগারে উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করে দেয়। অকস্মাৎ বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর বীর সেনাদের হামলায় গোদানাইল ও চট্টগ্রামের ফুয়েল পাম্প ধ্বংস হয়ে গেলে মনোবলে চিড় ধরে উর্দুভাষী দখলদারদের।

আর বাংলাদেশে নেমেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানী জঙ্গী বিমানগুলো শেষ করে দেয়া। যাতে অন্তরীক্ষে শত্রুপক্ষ কিছুই করতে না পারে। যাতে লড়াইয়ের শুরুতেই আকাশটা মিত্রপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর সেনারা তা একাত্তরের এই দিনে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়। নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে ধাবিত হয় পাক হানাদারবাহিনী।

এসএইচ-০১/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ২২৭৯

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ২ হাজার ২৭৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম অাসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে সারাদেশে ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে।

তবে এবার কোনো আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সারাদেশে ২ হাজার ২৭৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জমা পড়েছিল ২৩টি মনোনয়নপত্র।

যেসব আসনে ৬টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে-

ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল; ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি বাতিল; কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল; বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে ৭টি বাতিল; রাজশাহী-১ আসনে ১২টি মধ্যে ৮টি বাতিল; যশোর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে ৭টি বাতিল; ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল; কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে ৭টি বাতিল; ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে ৭টি বাতিল।

যে ৩৫টি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি—

ঠাকুরগাঁও-২; দিনাজপুর-৫; জয়পুরহাট-২; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; নওগাঁ-২; নাটোর-৩; পাবনা-২ ও ৪; কুষ্টিয়া-৩; বাগেরহাট-৩; খুলনা-১, ৩, ৪, ৫; সাতক্ষীরা-৩; পটুয়াখালী-৪; ভোলা-৩; বরিশাল-৪ ও ৫; পিরোজপুর-২; টাঙ্গাইল-২ ও ৫; জামালপুর-২; নেত্রকোনা-৩; ঢাকা-১২ ও ১৩; নরসিংদী-৪; গোপালগঞ্জ-২; মৌলভীবাজার-৪; কুমিল্লা-৭; চাঁদপুর-৩; ফেনী-২; নোয়াখালী-৫; লক্ষ্মীপুর-৩ ও কক্সবাজার-১।

নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলের ওপর শুনানি হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর।

এছাড়া যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএ-২৫/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীতে ৫ এমপিসহ ৩০ প্রার্থী বৈধ

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে দাখিলকৃত মোট ৫৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন প্রার্থীকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এমন প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন।

রোববার যাচাই-বাছাই শেষে বিকেলে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার এস. এম. আব্দুল কাদের এই ৩০ প্রার্থীকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

বৈধ হওয়া সরকার দলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য হলেন: রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এছাড়া রাজশাহী-১ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল মান্নান, ওয়ার্কার্স পাটির রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সদ্য মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হক।
রাজশাহী-২ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: সিপিবি নেতা এনামুল হক, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও সাহিদ হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ফয়সাল হোসেন। জাতীয় পার্টির নেতা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

রাজশাহী-৩ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ফজলুর রহমান, যুক্তফ্রন্ট (এলডিপি) নেতা মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এমএলএল) নেতা সাজ্জাদ আলী, বিএনপি নেতা শফিকুল হক মিলন।

রাজশাহী-৪ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা তাজুল ইসলাম খান ও বিএনপি নেতা আবু হেনা।

রাজশাহী-৫ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবীবা, বিএনএফ নেতা মখলেসুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর রহমান, জাতীয় পার্টির নেতা আবুল হোসেন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম।

রাজশাহী-৬ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির নেতা ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আব্দুস সালাম সুরুজ, বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান খান ও বজলুর রহমান।

রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস. এম. আব্দুল কাদের জানান, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ৬৮ জন মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। এর মধ্যে দাখিল করেন ৫৩ জন প্রার্থী। ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান।

রোববার যাচাই-বাছাই শেষে ৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ২৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাকি ৩০ জন প্রার্থীকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখন প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। তবে এর আগ পর্যন্ত মনোনয়পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ পাবেন।

এদিকে, রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এ সময় রাজশাহী-১ আসনে দাখিল করা ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-২ আসনে দাখিল করা ৮ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রাজশাহী-৩ আসনে দাখিল করা ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-৪ আসনে দাখিল করা ৫ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-৫ আসনে দাখিল করা ১১ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া রাজশাহী-৬ আসনে দাখিল করা ৭ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীরা আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

তারপর প্রার্থীরা ১১ ডিসেম্বর থেকেই প্রচারে নামতে পারবেন। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।

বিএ-২৪/০২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি যুবক আটক

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত থেকে ছোলেমান (৩০) নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

রোববার ভোরে ছলেমানকে ২২৯নং পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে হরিশচন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আটক করে।

আটক ছোলেমান উপজেলার বালাশহিদ গ্রামের নুর বক্সের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোলেমান শনিবার রাতে কয়েকজন সঙ্গে নিয়ে ভারত থেকে গরু নেয়ার জন্য প্রবেশ করে। বিএসএফের টহলের কারণে ভোর হয়ে যায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও ছোলেমান ২২৯নং পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের হাতে আটক হয়।

পোরশা-১৬ বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার আশিকুর রহমান বলেন, ছোলেমানকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের হরিশচন্দ্রপুর ক্যাম্পে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বিএ-২৩/০২-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)