রাত ১০:৩৬
শনিবার
১৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
১ লা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

কিংবদন্তি নারী বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কিংবদন্তি নারী বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদরের নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তারামন বিবির বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্বামী আব্দুল মজিদ, এক ছেলে আবু তাহের, এক মেয়ে তাহমিনাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ৮ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তারামন বিবিকে প্রথমে ময়মনসিংহ সিএমএইচ, পরে সেখান থেকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফেরেন।

তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামের তারামন বিবি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীদের রান্নাবান্না করে খাওয়ানো, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরাখবর সংগ্রহ করা এবং পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীনের পরে স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে যে দু’জন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম তারামন বিবি। আরেক নারী বীরপ্রতীক কাঁকন বিবিও চলতি বছরের ২১ মার্চ ইন্তেকাল করেন।

এসএইচ-০২/০১/১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

শ্রেষ্ঠতম ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ

বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।
মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে অর্জিত হয়।

স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এই দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনও নজীর বিশ্বে নেই।

বিজয়ের মাসের প্রথমদিন শনিবার বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিজয় র‍্যালি, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসএইচ-০১/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক)