সকাল ১১:০৩
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২১ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

১০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা করা হয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ পর্যন্ত সাড়ে ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পত্র মারফত মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় উক্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার করে না চালানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।

জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।

জেলা কমিটির কাছে যদি মনে হয় মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করা যাবে।

এআর-০১/১৯/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

টকশোতে অশ্লীলতার অভিযোগে উপস্থাপিকা তমা রশিদকে লিগ্যাল নোটিশ

টকশোতে অশ্লীল শব্দচয়ন এবং রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে উপস্থাপিকা তমা রশিদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ওবাইদুল্যাহ আল মামুন সাকিব এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিপন্থি ভাষা ছড়াচ্ছেন উপস্থাপিকা তমা রশিদ। অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটক’র টকশোতে অশ্লীল শব্দচয়ন করায় তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটক’র বিনোদনমূলক টকশোতে অভিনেতা/অভিনেত্রীদের বিভিন্ন সময় ইন্টারভিউ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে তমা রশিদ আকারে-ইঙ্গিতে অনেক অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। পরে সেই ইন্টারভিউগুলো ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেগুলো পরিবার ও সমাজে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

এসব অশ্লীল কনটেন্ট বা ভিডিও সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় এবং নৈতিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যার সুদূরপ্রসারী ভয়াবহ পরিণাম অপেক্ষা করছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এতে ওই উপস্থাপিকার উদ্দেশে আরও বলা হয়েছে, আপনি শালীনতা এবং নৈতিকতার পরিপন্থি তৈরি করা সব কনটেন্ট/ভিডিও নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে অপসারণ করবেন। ভবিষ্যতে অশ্লীলতাপূর্ণ, নৈতিকতা বিবর্জিত ও সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টিকারী কোনো ধরনের কনটেন্ট/ভিভিও নির্মাণ থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে অগ্রসর হবো। তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তমা রশিদ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ লঙ্ঘন করছেন উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার ধারা ৩.৬.৩ অনুযায়ী, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক, মানবিক ও নৈতিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন অশ্লীল, তথ্যগত ভুল এবং ভাষাগতভাবে অশোভন ও সহিংসতামূলক অনুষ্ঠান প্রচারে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা রয়েছে। তমা রশিদ এ নিয়ম অমান্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, নীতিমালার ৩.৬.৫ ধারাতেও স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ধরনের অশোভন উক্তি বা আচরণ কিংবা অপরাধীদের কার্যকলাপ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যা নতুন অপরাধ প্রবণতা তৈরির ঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু ওই উপস্থাপিকা তার অনুষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে এমন শব্দচয়ন করে চলেছেন, যা অশ্লীলতা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের উৎসাহদাতা হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তমা রশিদের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এ নোটিশ দিয়েছি। তিনি যেন ভবিষ্যতে আর কোনোভাবেই অশ্লীল শব্দচয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে না পারেন।

এআর-০৩/১৮/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

বাজেটে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আসছে বাজেটে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের দেনা-পাওয়া পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

রোববার (১৮ মে) রাজধানীর শেরেবাংলানগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাজেটে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, আমি যত দিন শিক্ষা উপদেষ্টা ছিলাম, প্রতিদিন আন্দোলনকারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু দাবিদাওয়ার কথা শুনেছি। সবাই বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আশা করব, দ্রুত সব কিছু বাস্তবায়ন করার।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি অবসর-কল্যাণ ভাতা ৫ থেকে ৬ বছরের বকেয়া আছে, এগুলো মেটানো হবে। সে জন্য আসছে বাজেটে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হলো সরকারের মূল লক্ষ্য। এই বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয়সংবলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার টাকা এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে।

এআর-০২/১৮/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

নাসায় যাচ্ছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ তরুণ শিক্ষার্থী

নাসার গ্লোবাল উইনার্স সেলিব্রেশনে আমন্ত্রণ পেয়েছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী। বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল উইনার হওয়ায় টিম ভয়েজার্সকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৪ জুন আমেরিকার মেরিল্যান্ডে অবস্থিত নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার জি গ্লোবাল উইনার্স সেলিব্রেশনে তারা অংশ নেবেন।

আগামী ২৫ মে টিম ভয়েজার্সে যাওয়ার জন্য দলনেতা হিসেবে থাকবেন খালিদ সাকিব। এছাড়াও আছেন আব্দুল মালেক, সাখাওয়াত হোসেন, ফাহমিদা আক্তার ও মো. আতিক। তারা সিএসই বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তারা ‘এভরিথিং স্টার্টস উইথ ওয়াটার’ নামের চ্যালেঞ্জে ‘অ্যাকুয়া এক্সপ্লোরার’ নাম প্রোজেক্ট উপস্থাপন করেছিল।

এর মূল লক্ষ্য ছিল- বিশ্বের পানি প্রবাহের পথ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির মত এই মহামূল্যবান সম্পদে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে সহজভাবে ইন্টারেক্টিভ গেম ও স্টোরিটেলিংয়ে মাধ্যমে বোঝানো।

শিক্ষার্থীদের শেখানোর উপযোগী একটি চমৎকার ডিজিটাল মাধ্যমে তারা তুলে ধরেন, বিশ্বে যেখানে ৩৭০ কোয়িন্টিলিয়ন গ্যালন পানি আছে, সেখানে মাত্র ০.০১ শতাংশ পানি নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য। কীভাবে পানি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেটিও তুলে ধরা হয়।

এই সফলতার পর নাসার সদর দপ্তর সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি আমন্ত্রণ পেয়েছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এতে তারা এখন উৎফুল্ল।

টিম ভয়েজার্সের দলনেতা খালিদ সাকিব বলেন, ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রিলিমিনারি সিলেকশনের ফলাফল প্রকাশিত হলে আমরা জানতে পারি, আমরা সেরা ৫০টি দলের মধ্যেও নেই। ফলে আমাদের ভার্চুয়ালি পার্টিশিপেট করতে হবে। ঢাকায় গিয়ে এই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারছি না। তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি দল অনসাইটে পার্টিশিপেট করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরা না পারার কারণে প্রথম প্রথম খারাপ লাগা কাজ করছিল। তবুও আমরা মনোবল ধরে রাখি এবং শেষ পর্যন্ত সকলেই সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। তাই পুরো প্রজেক্টটাকেই নতুন করে আবারও নাসার রিকোয়্যারমেন্ট অনুসারে সাজানো শুরু হয়। মাঝপথে বেসিসের মেন্টররাও আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিতে থাকেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের ৬ ও ৭ অক্টোবর ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেখানে ১৫২টি দেশ থেকে ৮ হাজার ৭১৫টি দলে ৫৭ হাজার ৯৯৯ শিক্ষার্থী একযোগে এই ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশ নিই। আমরা টিম ভয়েজার্স বাংলাদেশ পর্বের লোকাল রাউন্ডে রাজশাহী রিজিওনে চ্যাম্পিয়ন হই। পরবর্তীতে আমাদের টিম গ্লোবাল নোমিনেশন পেয়ে ফাইনালিস্ট হয়। সেখানে বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল উইনার হওয়ার গৌরব অর্জন করি।’

সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমাদের পুরো ভ্রমণের সকল খরচ বহন করছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশ্বদরবারে দেশের পতাকা তুলতে পারব ভেবে আমরা সত্যিই আনন্দিত।’

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘টিম ভয়েজার্সের সাফল্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিশ্বের ১৫২টি দেশের ৮ হাজার ৭১৫টি দল এবং প্রায় ৫৮ হাজার প্রতিযোগির ৫ হাজার ৫৫৬টি প্রজেক্ট জমা পড়েছিল। এমন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্যিই গর্বের। নাসা আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সফরে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণাগার পরিদর্শন করবে। তারা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এটা তাদের আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে’।

এআর-০১/১৮/০৫ (শিক্ষা ডেস্ক)

রোববার প্রজ্ঞাপন না হলে আবারও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ৭ কলেজের

সাত কলেজ নিয়ে গঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন আগামীকাল রোববারের মধ্যে জারি না করা হলে আগামী সোমবার থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে জনদুর্ভোগ এড়াতে এবার মন্ত্রণালয়ের সামনে কর্মসূচি দেবেন তারা।

শনিবার বিকেলে ইডেন মহিলা কলেজের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাত কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। এ সময় অন্যান্য কলেজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ; আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও লোগো বা মনোগ্রাম প্রকাশ এবং আগামী এক মাস তথা ১৬ জুনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।

এ ছাড়াও প্রশাসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সেশনজট নিরসনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের পাশাপাশি ভুতুড়ে ফলের সমাধান; বিভিন্ন ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধসহ যাবতীয় অসংগতিগুলো স্পষ্টভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান। তারা বলেন, প্রথম দাবির বিপরীতে প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হলে মাঠের কর্মসূচির পাশাপাশি বাকি দাবিগুলোর বিষয়েও নজর রাখা হবে। আর এবার মাঠে নামলে রাজপথে থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরবেন।

এআর-০২/১৭/০৫ (শিক্ষা ডেস্ক)

ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সব প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৮ মে রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

শনিবার (১৭ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষেধাজ্ঞা জারি করা এলাকাগুলো হলো— কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় স্বরণী হতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেট সংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ হতে মহাখালী ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্ত্বর ও তৎসংলগ্ন এলাকা।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা ও জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

আইএসপিআর জনসাধারণকে এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

এআর-০১/১৭/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাকরাইলে আন্দোলনস্থলে এসে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আবাসন সংকট নিরসনে খুব দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে অতি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার জবি শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, দাবি আদায়ে আজ বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কাকরাইল মোড়ে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে অনশনে বসেন।

এআর-০২/১৬/০৫ (শিক্ষা ডেস্ক)

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেই শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল ছুঁড়ে মারার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হুসনাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক অ্যাডমিন অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, তথ্য উপদেষ্টার ওপর আক্রমণকারী মোহাম্মদ হুসাইনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবি অফিসে তার সাথে ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেছেন তথ্য উপদেষ্টা। আন্দোলন শেষে তিনি তাকে বাসায় আসার দাওয়াত দিয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, দুপুরে তিনি (মাহফুজ আলম) হুসাইনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিভাবকদের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জবির সমস্যার সমাধান নিয়ে সরকারের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানানো হবে।

পরিশেষে জবি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দ্রুতই সমাধান হোক–এমন প্রত্যাশার কথা বলা হয়।

এআর-০১/১৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের বন্যা পুনরুদ্ধার ও ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে ২৭০ মিলিয়ন বা ২৭ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ দিয়ে ২০২৪ সালের আগস্টের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি খাত শক্তিশালীকরণ এবং মানুষের জীবিকা উন্নত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদ এই অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া (বি-স্ট্রং) প্রকল্প চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে গ্রামীণ ও বন্যা সুরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্গঠন করবে, যার মাধ্যমে ১.৬ মিলিয়ন মানুষকে সুরক্ষা দেয়া হবে। একটি বিস্তৃত পদ্ধতি গ্রহণ করে, প্রকল্পটি জলবায়ু সহনশীল কৃষিকেও উৎসাহিত করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি এবং ঘন ঘন এবং তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্প্রদায় এবং অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা বাংলাদেশের জন্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার উভয়ই।

এই প্রকল্প দেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে এবং সিলেট ও ​​চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জীবিকা নির্বাহ এবং খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করবে।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি দেশকে বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার করতে এবং পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে অবকাঠামো, কৃষি এবং জীবিকার ক্ষতি মোকাবিলা করে ভবিষ্যতের বন্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি ৭৯টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন করবে এবং জলবায়ু-প্রতিরোধী সংযোগকারী রাস্তা ও সেতু মেরামত ও সংস্কার করবে। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এটি বাঁধ এবং খাল পুনঃখননসহ বন্যা সুরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত এবং পুনর্বাসন করবে। এটি বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নত করতেও সহায়তা করবে। এটি নৌকা, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং মহড়া দেয়ার মাধ্যমে সম্প্রদায়গুলোকে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার স্বর্ণা কাজী বলেন, এই প্রকল্পটি পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের চাহিদার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতা উভয়কেই মোকাবেলা করে। এই প্রকল্পটি প্রকৃতভাবে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া প্রদান করবে যা শারীরিক হস্তক্ষেপ এবং অ-শারীরিক কার্যকলাপকে একত্রিত করবে, পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরির জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি নিশ্চিত করবে, ভবিষ্যতের বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করবে।

এই প্রকল্পটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে আর্থিক সহায়তা এবং বাজার-প্রাসঙ্গিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি এবং নগদ-ভিত্তিক হস্তক্ষেপ থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।

উচ্চ ফলনশীল, জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি গ্রহণ, কৃষি যন্ত্রপাতির অ্যাক্সেস এবং উন্নত সেচ ও সংরক্ষণ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে কমপক্ষে ৬৫ হাজার কৃষি পরিবার কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা পাবে। প্রকল্পটি উন্নতমানের বীজ এবং চারা সরবরাহের জন্য বীজ গ্রাম স্থাপন করবে, গৃহস্থালি এবং সম্প্রদায়ের বাগানে মহিলাদের সহায়তা করবে এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান ভাগ করে নেয়ার জন্য কৃষক গোষ্ঠী তৈরি করবে। ফলস্বরূপ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিও উন্নত হবে।

এআর-০২/১৫/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

ফের খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় ফের বাংলাদেশের শ্রমবাজার চালুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাসিফউদ্দিন নাসিটিওনের সাথে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, গত বছর শেষ মুহূর্তে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় যাওয়া আটকে গেছিল তারা খুব শিগগিরই মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ হাজারের মতো। মালয়েশিয়া তাদের ব্যাচ ভিত্তিতে নিতে রাজি হয়েছে। প্রথম ব্যাচের জন্য তারা ৭ হাজার ৯২৬ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা মালয়েশিয়াতে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী আমাদের আশস্ত করেছেন যে লোক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এর আগে বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের বিশেষ করে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও অবৈধ কর্মীদের বৈধ করণ, এবং নতুন করে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শ্রমবাজার খোলার বিষয়টিকে মালয়েশিয়ান সরকার ‍গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং শিগগিরই বাংলাদেশের শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ থেকে কম খররে কর্মী পাঠানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া হয়।

বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা কর্মীদের কল্যাণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায্য এবং সম্মানজনক কর্মসংস্থান বাস্তুতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এআর-০১/১৫/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)