বিশ্বকাপ মাতালেন যারা

ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের শুরু থেকে দাপুটে খেলেও শিরোপা নিজেদের করতে পারেনি স্বাগতিক ভারত। আসরজুড়ে ঘরের মাঠে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন দলটির অনেক ক্রিকেটার। এর বাইরে এবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ‘চোকার্স’ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের কিছু খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সও ছিল দেখার মতো।

বিশ্বকাপের এ আসরের সেসব খেলোয়াড়ের অর্জন এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে দ্য গার্ডিয়ান।

রোহিত শর্মা (ভারত): বিশ্বকাপের সদ্যসমাপ্ত আসরটি রোহিত শর্মার জন্য ছিল ব্যক্তিগত অর্জনের বড় উপলক্ষ। এ আসরে ৫৪ দশমিক ২৭ গড়ে ৫৯৭ রান করেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল রোহিতের। তার স্ট্রাইক রেট ১২৫। আর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান।

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা): দল চূড়ান্ত কোনো সাফল্য না পেলেও বিশ্বকাপের এবারের আসরটি কুইন্টন ডি ককের জন্য ছিল অর্জনের। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার ৫৯৪ রান করেন ৫৯ দশমিক চার গড়ে। চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৭। বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৪ করা দক্ষিণ আফ্রিকার এ উইকেটরক্ষক ১৯টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি করেন একটি স্টাম্পিং।

রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড): বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল নিউজিল্যান্ডের এ ব্যাটার দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টে ৬৪ দশমিক ২২ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৭৮ রান। কিউই এ ব্যাটার তিনটি শতকের পাশাপাশি দুটি অর্ধশতক করেন, যার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৬। তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ অপরাজিত ১২৩ রান।

বিরাট কোহলি (ভারত): দলের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ভুল করেননি। তিনি ৯৫ দশমিক ছয় গড়ে আসরের সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান করেন। টুর্নামেন্টে তিনটি শতকের পাশাপাশি ছয়টি অর্ধশতক ছিল তার। সর্বোচ্চ ১১৭ রান করা এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ৯০ দশমিক ৩১।

ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ড): টু্র্নামেন্টে দুইটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ কিউই ব্যাটার ৬৯ দশমিক দুই গড়ে রান করেন ৫৫২। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১১১। তিনি সর্বোচ্চ রান করেন ১৩৪।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া): বিশ্বকাপজয়ী দলের এ অলরাউন্ডার এ আসরে ৬৬ দশমিক ছয় গড়ে ৪০০ রান করেন। দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০ দশমিক ৩৭। তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ২০১। এর বাইরে ছয়টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।

মোহাম্মদ শামি (ভারত): টুর্নামেন্টে ২৪টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ভারতের এ পেসার। তার ইকোনমি ছিল পাঁচ দশমিক ২৬। এক ম্যাচে ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেয়াটা ছিল টু্র্নামেন্টে তার সেরা বোলিং ফিগার।

এসএইচ-০৩/২১/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)