পিতা মেয়ের যে ছবিটি সবাইকে বিমোহিত করছে !

মেয়ের

জি. এম. মুরতুজা: পিতার পদবী থেকে যখন মেয়ে উচ্চ পদে চাকুরীতে যোগ দেন, তখন কি পিতা বিব্রত হোন। তা মোটেই নয়, বরং পিতার মনটা গৌরবে গৌরবান্বিত হয়ে উঠে, আবেগে আপ্লুত হয়।

আর উঁচু পদে চাকুরীরত মেয়ে যখন নিচু পদে চাকুরীরত পিতাকে স্যালুট দিয়ে অভিবাদন জানান, তখন পিতার মনটা আবেগে ভেঁসে যায়। রংপুরে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক এবং তাঁর মেয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হওয়ার পর দুজনের স্যালুট বিনিময়ের এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে, সকলের অভিনন্দন আর প্রশংসায় ভাঁসছে।
এই ছবির দুজন হলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম এবং সেনাবাহিনীতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত তাঁর মেয়ে ক্যাপ্টেন শাহনাজ পারভীন। মিস শাহনাজ পারভীন সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে ইউনিফর্ম পরেই ছুটে যান থানায় পিতার সাথে সাক্ষাত করতে।

এসময়ে থানায় কর্মরত আবদুস সালাম মেয়ের আসার কথা জানতে পেরে বেরিয়ে আসেন বাইরে। আনন্দে আত্মহারা ক্যাপেন্ট শাহনাজ পারভীন পিতা আবদুস সালাম সামনে আসার পরেই সেনাবাহিনী স্টাইলে পিতাকে স্যালুট দিয়ে সম্মান জানান। গর্বিত পিতা আবদুস সালামও মেয়েকে স্যালুট জানিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পিতা মেয়ের এই স্যালুট বিনিময়ের আনন্দের ক্ষণটি মোবাইল ফোন দিয়ে ছবির ফ্রেমে আটকিয়ে নেন থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্য। তারপর তারা এই ছবিটি রংপুর পুলিশের ফেসবুক পেইজে পাবলিশ করলে মহুর্তের মধ্যেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ছবিটি দেখার পর পিতা মেয়েকে অভিনন্দন জানিয়ে হাজারো মানুষ ছবিটির নিচে নানা উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য ও মতামত পোষ্ট করতে থাকেন। পিতা মেয়ের পদমর্যাদার ওপরে রক্তের বন্ধনের উষ্ণতা আর একে অপরকে সম্মান জানানোর স্টাইল হৃদয় ছুঁয়েছে সবার। সত্যিই এমন মেয়ে পাওয়া একজন পিতার জন্য অনেক গৌরবের, অতি আনন্দের। দেশের সব মেয়ে নিজ যোগ্যতা দিয়ে পিতাকে ছাড়িয়ে যাক, পিতাকে গৌরবাম্বিত করে তুলুক এমন শুভ কামনা রইলো।