হাসপাতালের বেডে হাতকড়া পরে আটকিয়ে রাখা সাংবাদিক জামিনে মুক্ত!

জি. এম. মুরতুজা: ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে করোনা রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তানভীর হাসান তানুসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজ।

এই মামলাটি দায়ের করার পর করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক তানভীর হাসান তানুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে খুব বেশী সময় নেয়নি। গ্রেফতারের পরই থানা হাজতে আটকিয়ে রাখেন তাকে। রাত ১০ টার দিকে তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান হাসপতালে। হাসপাতালের বেডেও তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। তিনি যেন খুনের আসামী অথবা বড় কোন ক্যাডার, যে হাতকড়া খুলে রাখলেই পালিয়ে যাবেন।

আজ রবিবার বিকেলে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত সাংবাদিক তানভীর হাসান তানুর রিমান্ড আবেদন শুধুমাত্র বাতিলই করেননি, তাকে উল্টো জামিন দিয়েছেন। পুলিশ বাধ্য হয়ে আদালত প্রাঙ্গনেই তাকে মুক্ত করে দিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে অনিয়মের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার দায়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মিথ্যা মামলা করলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজ, তার বিচার করবে কে? আর যেসব পুলিশ করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক তানভীর হাসান তানুকে হাতকড়া পরিয়ে হাসপতালের বেডে আটকিয়ে রাখলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কে?

কেননা মিথ্যা মামলাকারী এবং হাতকড়া পরে হাসপাতালের বেডে আটক রাখা পুলিশ সমানভাবে দোষি। যারা সাংবাদিক তানভীর হাসান তানু’র এমন ন্যাক্কারজনকভাবে মানহানী ঘটালো, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব! কেননা প্রশাসনে থাকা অনেক কর্মকর্তাই এমনভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলছেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন।