যাকে পিটালেন তিনি কিন্তু আপনার পিতার বয়সী!

পিতার

জি. এম. মুরতুজা: এই ভদ্র মহিলার নাম রুনা লায়লা। তিনি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা বা ইউএনও। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ফোর্স নিয়ে উপজেলার জায়গীর বাজার যান। উদ্দেশ্য লকডাউন ঠিকমত পালন হচ্ছে কি না তা পরিদর্শন করা।

এ সময় প্রিতম জুয়েলার্স খোলা থাকায় ওই দোকানে ঢুকে একাধিক ক্রেতা ও দোকান মালিক তপন চন্দ্র দাশকে জরিমানা করেন ইউএনও রুনা লায়লা। এক পর্যায়ে জুয়েলার্স মালিক তপনকে শাসানো হলে ইউএনওকে “আপা” বলে তিনি ক্ষমা চান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ইউএনও মহোদয়, তার সাথে থাকা আনসার বাহিনীর এক সদস্য উনার ইশারায় তপন চন্দ্র দাশকে লাঠিপেটা করেন। এবং তার দোকান বন্ধ করে দেন। তপনের অভিযোগ, “ক্ষমা চাওয়ার সময় ইউএনওকে আমি আপা বলি। আপা বলার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এতে আমি আহত হয়েছি”।

স্যার রুনা লায়লা। দোকান খোলা থাকায় আপনি ক্রেতা ও দোকান মালিক তপন চন্দ্র দাশকে জরিমানা করেছেন। তার দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। সব আইনগত কাজই আপনি করেছেন। এরজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু আপনাকে “আপা” বলে সম্বোধন করায় আপনি ক্ষিপ্ত হলেন।

আপনার সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য ওই ব্যাবসায়ীকে পেটালো! এটা কিন্তু আইনসঙ্গত ও নৈতিক কাজ হলো না। ভূলে যেয়েন না এসব সাধারন মানুষের দেয়া করের টাকায় আপনি বেতন ভাতা ও নানা রকম উপরি সুযোগ সুবিধা পান। আপনি কিন্তু প্রভু নয় জনগনের সেবক। আর যাকে পিটানো হলো তিনি কিন্তু আপনার “পিতার বয়সী”। আপনি যদি আপনার পিতার নিকট থেকে সামান্য ভদ্রতাবোধ ও নৈতিকতা শিখে থাকেন, তবে দয়া করে তপন চন্দ্র দাশ-এর কাছে যেয়ে ক্ষমা চাইবেন। তবে এটা প্রশাসনে থাকা অন্যদের নিকট শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে। আপনিও ব্যক্তি ও প্রশাসক হিসেবে সাধারণ মানুষের বাহাবা পাবেন। অন্যথায় একদিন আপনার বিচার হবে জনতার আদালতে!