এত পোড়া লাশের দায় কে নিবে?

পোড়া

জি. এম. মুরতুজা: করোনা সংক্রমন প্রতিরোধের নামে কঠোর লকডাউন দিয়ে সবাইকে ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাইরে গেলে সাধারন মানুষকে পিটায় পুলিশ। চায়ের কেটলি আটক করে থানায় নেয়। রিক্সা ভেঙ্গে ফেলে। দোকানপাট খুললে জরিমানা করে।

গার্মেন্টস বাদে সব কলকারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনাও জারী করা হয়েছে। সব ঠিক আছে বুঝলাম। সেজান জুস কি জরুরি পণ্য। তবে এই কারখানা খোলা ছিলো কেন? শিশুশ্রমতো নিষিদ্ধ তবে এই কারখানায় এতো শিশু শ্রমিক নিয়ুক্ত করা হলো কেন?

কারখানায় ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা ছিল না কেন? কারখানায় আগুন লাগলে সাইরেন বাজলো না কেন? শ্রমিকরা দৌড়ে বের হতে পারলো না কেন? কেন কলাপসিবল গেট তালা দেওয়া থাকবে? আগুন লাগার পর গেট খুলে দেয়া হলো না কেন?

এই প্রশ্নগুলো বিবেকের দায় থেকে করলাম। জানি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবে না প্রশাসন কিংবা সেজান জুস কারখনার মালিক বা সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ। এই দেশে কুত্তার দাম আছে, মানুষের জীবনের দাম নেই।

নয়তে এতগুলো মানুষ পুড়ে নিহত হলো অথচ কোন পক্ষ থেকে সামান্য দূ:খ প্রকাশ করা হলো না! এই জাতির কপালে আরো গজব অপেক্ষা করছে! যার শিকার হবে খেটে খাওয়া গরীব গোবেচারা মানুষ! সরকার, প্রশাসন ও কর্পোরেট ব্যবসায়ীগন যখন ভাগবাটোয়া করে খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন এর খেসারত দিতে হবে সাধারন মানুষকে। এটাই চরম বাস্তবতা!!