শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, চাকরি হারালেন শাবি শিক্ষক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে চাকরি হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্লাবন চন্দ্র সাহা। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিস্কারের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এদিকে, স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে আরেক শিক্ষকের পদোন্নতি চার বছরের জন্য রহিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১১তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শাবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান সমকালকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাবির যৌন নিপীড়ন ও নিরোধ কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে গত ১৫ অক্টোবর ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় প্লাবন চন্দ্র সাহাকে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ; একই সঙ্গে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় শনিবার ২১১তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান আরও জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যৌন নিপীড়নে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রাতে বাইরে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ নেওয়া কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষকের চাপে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে, যা ঠিক হয়নি।

যৌন নিপীড়ন ও নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী সমকালকে জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের কথা শুনে আমি স্তম্ভিত। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী সিন্ডিকেটে তা চূড়ান্ত করা হবে।

অন্যদিকে, নিজের গবেষণা প্রবন্ধে পরিদর্শকের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ সরকারের পদোন্নতি আগামী ৪ বছরের জন্য স্থগিত করেছে শাবি সিন্ডিকেট।

আরও দু’জন চাকরিচ্যুত : একই সিন্ডিকেট সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক জিলাল উদ্দিন ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের এমএলএসএস নজরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএ-১৭/১৬-১২ (শিক্ষা ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সমকাল)