রাবিতে প্রথমবারের মতো সম্মুখে এলো শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে চরমোনাই পীরের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। সেখানে সর্বহারা পরিচয়ে শিক্ষকদের হত্যার হুমকি, ক্যাম্পাসে ছিনতাইসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার দুপুরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। এছাড়া নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিও জানান তারা। মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সম্মুখে এলেন চরমোনাই পীরের ছাত্র সংগঠনটির নেতারা।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন এতে সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তবে এর আগে মাঠ পর্যায়ে কোন কর্মসূচীতে না থাকলেও হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা সে বিষয়ে খোজ নেওয়ার দাবি তুলছেন ক্রিয়াশীল অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা।

এ প্রসঙ্গে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে সকল প্রকার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধিতা করে আসছি। চাই না কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তির অস্তিত্ব থাকুক। প্রশাসনকেও বিষয়টি জোর গলায় বলেছি। তবে তাদের আন্তরিকতা দেখতে পাইনি। প্রশাসন নাকি সাম্প্রদায়িক শক্তি বা সংগঠন চেনেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে শাখা ছাত্রফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মোড়ল বলেন, কেউ যদি তার নিজের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে চায় তাহলে সে যেকোন ধর্মের হতে পারে। মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা অবশ্যই তাদের আছে। আমরা সমাজকে ওই পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তবে কখনোই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বা স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক পৃথিবীর বিরোধী শক্তির রাজনীতি করার অধিকার কাউকে দিতে চাই না। এই ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রেও কখনও করতে দিবো না।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের শক্তি ছিলো না। রাকসু নির্বাচন ঘিরে তারা সামনে আসার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন শক্তি আছে কিনা সে বিষয়ে খোজ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানাবেন বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাবো। সংগঠন হিসেবে অপকর্ম হিসেবে আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কয়েক মিনিট দাড়াবে তাই একটা ভালো কাজ করবে। এটা শিক্ষার্থী হিসেবে হোক আর শিক্ষক হিসেবে তারা প্রতিবাদ করতেই পারে। তবে তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা বা মৌলবাদি কোন বিষয় থাকলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

বিএ-১৭/১০-০৩ (শিক্ষা ডেস্ক)