রাবিতে রাতে আধারে সিনিয়রকে পেটালো জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতা

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিজ দলের সিনিয়র নেতাকে পিটিয়েছে জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতা। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মারধরের শিকার সাদেকুল ইসলাম আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সৌমিত্র কর্মকার রানা অনুসারী।

অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন, ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সফিউর সাফি (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য), হাসিবুল ইসলাম শান্ত (ইতিহাস) এবং ইতিহাস বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। তারা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাফি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী এবং শান্ত সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

এঘটনায় রাতেই সহ-সভাপতি কাজী লিংকন ও কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সৌমিত্র কর্মকার রানার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে মোটরবাইকে শোডাউন বের করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে চারুকলা অনুষদ থেকে মোটরসাইকেলে করে সাদিকুল ইসলাম আশিক এবং শ্যামল দেবনাথ আসছিল। এমন সময় শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তা দিয়ে আসার সময় সাফির মোটরবাইক অতিক্রম করে।

বিষয়টি সাফির পছন্দ না হওয়ায় আশিকের গতিরোধ করলে বাকবিতন্ডা হয়। ওই সময় আশিক নিজেকে রানার অনুসারী বললে সাফির দল আরো চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাফিউর সাফি বলেন, হবিবুর রহমান হলের সামনে মোটরবাইক নিয়ে বসেছিলাম।

এসময় আশিক তাদের ধাক্কা দিয়ে যাওয়ার সময় থামতে বলি। সে থামলে তার সঙ্গে থাকা শান্ত ও শাহাদাত আশিককে সরি বলতে বলে। কিন্তু আশিক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।

শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সৌমিত্র কর্মকার রানা জানান, বর্তমান কমিটির জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রায়ই ঝামেলা তৈরি করছে। কমিটিতে বড় পদের লোকদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে একদল জুনিয়র নেতাকর্মী প্রায়ই এ ধরনের অপকর্ম করছে।

এ বিষয়ে শাখা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভুল বুঝাবুঝি থেকে সমস্য হয়েছিল। উভয়ের সঙ্গে কথা বলে মিমাংসা করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পীকে মারধর করেন সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুতফর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিএ-০২/১৭-০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)