স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ১৯৬৬ সালে যখন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়, তখন সে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ছিলো আমার সোনার বাংলা। যেটা বর্তমানে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এ রকম আরো অসংখ্য বিষয় আছে যা থেকে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনার সভার প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অনেকে রাজনীতির কবি বলেন, কিন্তু আমার মনে হয় তিনি রাজনীতির শিল্পী। তিনি যেভাবে একটি দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেটা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেননি।

মুজিবনগর সরকার প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, মুজিবনগর সরকার কোনো অবৈধ সরকার ছিল না। সত্তর সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এ সরকার গঠন করেছিল। ফলে দেশের জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল বলেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, মুজিবনগরে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল তা হঠাৎ করে গড়ে ওঠা সরকার নয়। দীর্ঘদিন ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর্য হিসেবে যারা এদেশের মানুষের জন্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করছিলেন, তারাই সেই সরকার গঠন করেছেন। মুজিবনগররের এই সরকার শুধু বিদেশী রাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে কাজ করেনি, তারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বও দিয়েছে।

এর আগে ঐতিহাসিক এই মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল দশটায় শোভাযাত্রাটি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া প্রমুখ।

বিএ-০৩/১৭-০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)