রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে সিট না পেয়ে পাঁচটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়েছেন ক্ষুব্ধ এক শিক্ষার্থী। অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইদ বিন ইকরাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মঙ্গলবার দুপুরে তালা লাগিয়ে চলে যান তিনি। আধাঘণ্টা পর রুমের তালা খোলে হল প্রশাসন। এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আটকেপড়া শিক্ষার্থীরা।
হল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হলের দ্বিতীয় ব্লকের ২য় তলায় ২১৯ থেকে ২২৩ নম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচটি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কক্ষের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে প্রক্টর লিয়াকত আলীর উপস্থিতিতে হল প্রশাসনের কর্মচারীরা তালাগুলো ভেঙে শিক্ষার্থীদের বের করেন। তাদের মধ্যে একজন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীও ছিলেন।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা হলের ভেতরে নিজেদের কক্ষেও এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। হলের বাইরে থেকে এসে একজন আমাদের তালাবদ্ধ করে চলে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারছে না। এ ছাড়া এ ঘটনার সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ চেয়েছিলাম। সেটি দিতেও ব্যর্থ হল প্রশাসন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই।’
এ বিষয়ে সাইদ বিন ইকরাম বলেন, ‘এটা শুধু আমার একার বিষয় না। আমিসহ অনেকেই হলে উঠতে পারছি না। অন্যরা টাকা দিয়ে ও রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে হলে উঠে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যাদের সিট দরকার তারা হলে উঠতে পারছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা তালা দিয়েছি।’ এ সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন বলেন দাবি করেন তিনি। তবে তাদের কারও নাম প্রকাশ করেননি।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, শিক্ষার্থীদের রুমের ভেতরে রেখে তালা দেওয়া অবশ্যই একটি নিকৃষ্টতম কাজ। প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে। তারপর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএইচ-২৪/০৯/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)