অডিও এখন মিউজিক ভিডিও

অডিও এখন

‘অডিও’ শব্দটি সঙ্গীত ভুবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। অন্তত লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশনা শুরু হওয়ার পর- এ কথা জোর দিয়ে বলা যায়। একক গানের প্রসারে শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, প্রকাশকসহ কম গানের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সবাই অডিওর বদলে ভিডিওকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

যদিও পূর্ণাঙ্গ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের আগে কেউ কেউ লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করছেন, তবে স্বল্প সময়ের জন্য। অ্যালবাম প্রকাশনা স্থবির হয়ে যাওয়ায় গান প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও। এতে অবশ্য দর্শক-শ্রোতা হতাশ নন, বরং সময়ের সঙ্গে গান প্রকাশের ধারা বদলে যাওয়ার বিষয়টি সহজ ও স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন তারা।

অবশ্য কেউ কেউ গানের সঙ্গে আলাদা করে ভিডিও নির্মাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। তাদের কথায়, গান দেখার নয়, শোনা এবং অনুভবের বিষয়। যখন কেউ গান শোনেন তখন তার মনের ক্যানভাসে আপনা-আপনি কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে। আলাদা করে তাই মিউজিক ভিডিও নির্মাণের প্রয়োজন নেই।

অডিওর স্থান মিউজিক ভিডিও দখল করে নেওয়া এবং তা কতটা দর্শক-শ্রোতার মাঝে প্রভাব ফেলছে? এমন প্রশ্নে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সবকিছুর পর এটাই সত্যি যে, অডিওর চাহিদা ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বেশি নয়, গত দেড় বছরের গান প্রকাশের তালিকায় চোখ রাখলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। শুরু করা যাক সম্প্রতি সর্বাধিক সাড়া জাগানো মিউজিক ভিডিওর শিল্পী আসিফ আকবরের কথা দিয়ে।

গত দেড় বছরে ‘আগুন পানি’, ‘ফুঁ’, ‘নেই রেহাই’, ‘একটা গল্প ছিল’, ‘তোমাকে যেন ভুলে যাই’, ‘প্রথম দেখা’, ‘ও প্রিয় তুমি কেমন আছো’, ‘চুপচাপ কষ্টগুলো’, ‘তোকে বউ বানাবো’, ‘বস্‌’ এবং কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে গাওয়া ‘যেখানেই থাকো ভালো থাকো’সহ তার আরও বেশ কিছু একক গানের ভিডিও দর্শক-শ্রোতার মাঝে সাড়া জাগিয়েছে।

একইভাবে কর্নিয়ার সঙ্গে গাওয়া ‘কী করে তোকে বোঝাই’, ‘একবার ছুঁয়ে যা হৃদয়’, ‘মেঘ বলেছে’, ‘এলোমেলো জীবন’, ‘তোমার হাসি’; আঁখি আলমগীরের সঙ্গে গাওয়া ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’, কনার সঙ্গে ‘মুছে দেব কান্না তোমার’, সালমার সঙ্গে গাওয়া ‘আই অ্যাম ইন লাভ’ দ্বৈত গানের ভিডিওতে আসিফ নিজেকে তুলে ধরেছেন নানা চরিত্রে।

অন্যদিকে হাবিব গানের পাশাপাশি অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘ঝড়’, ‘চলো না’, ‘আবার তুই’, ‘অবুঝপনা’, ‘রাজি’, ‘আনমনা মন’সহ অন্যান্য গানের ভিডিও প্রকাশ করে। একইভাবে তার সঙ্গীতায়োজনে লিজা ‘এক যমুনা’, পড়শী ‘আবাহন’ গানের সাদামাটা ভিডিও প্রকাশ করেও আলোচিত হয়েছেন।

গল্পপ্রধান ভিডিও নিয়ে অন্যান্য শিল্পীও দর্শকের মনোযোগ কেড়েছেন। ইমরানের ‘আমার কাছে তুমি’, ‘সব কথার এক কথা’, ‘কে তোমাকে এত ভালো বাসতে পারে’, ‘মনের বিপরীতে’, ‘মেঘেরই খামে’, ‘আজ ভালোবাসো না’, ‘তোর নামের ইচ্ছেরা’, ‘এমন একটা তুমি চাই’সহ পড়শীর সঙ্গে গাওয়া ‘আবদার’সহ বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। একইভাবে মিনারের ‘আমি এমনই’, ‘তবে’, ‘নিরুদ্দেশ’; পূজার সঙ্গে গাওয়া ‘স্বপ্নভেজা মেঘ’সহ বেশ কিছু গান দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এর বাইরে দলছুটের ‘মন দাবাড়ূ’, প্রীতম হাসানের ‘খোকা’, ‘আমি আমার মতো’, ‘নিশ্চুপ’, ‘রাজকুমার’, ‘৭০০ টাকার গান’, ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়া’সহ বেশ কিছু গানের ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ের দর্শকের হৃদয় জয় করেছে।

আসলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিউজিক ভিডিও হয়ে উঠেছে সঙ্গীতপ্রেমীর চাহিদার অন্যতম উপকরণ। মিউজিক ভিডিওতে কত বৈচিত্র্য তুলে ধরা যেতে পারে, তার উদাহরণ দেখিয়েছেন নির্মাতারা।

তানিম রহমান অংশু, সৈকত নাসির, চন্দন রায় চৌধুরী, শাহরিয়ার ও প্রেক্ষাগৃহ টিম, কুমার নিবিড়সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ও তরুণ নির্মাতা প্রমাণ করেছেন, মিউজিক ভিডিওতে বৈচিত্র্য তুলে ধরতে পারলে তা নাটক, চলচ্চিত্রের মতোই দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে।

আসিফ, হাবিব, ইমরান, মিনার, পড়শী, লিজা, প্রীতম ছাড়াও অন্যান্য শিল্পী ও ব্যান্ড তাদের আয়োজন নিয়ে দর্শকের মনোযোগ কাড়তে পেরেছেন অনায়াসে।

বাপ্পা মজুমদারের ‘ঘুম জড়ানো’, তাহসানের ‘তুমিময় লাগে’, ‘কী হবে’; কনার ‘লাল শাড়ি’, ‘আইছে পহেলা বৈশাখ’, ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘কে কত দূরে’, আকাশের সঙ্গে গাওয়া ‘খাঁটি সোনা’ গানগুলো ছিল আলোচনায়। অন্যদিকে সিলন মিউজিক লাউঞ্জের আয়োজনে হারানো দিনের গান গেয়ে সাড়া জাগিয়েছেন নিশিতা, মাহাদী, সালমা, লিজা, সাব্বির, স্বরলিপিসহ বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী।

তাদের পাশাপাশি একইভাবে তরুণ শিল্পী আরমান আলিফের ‘অপরাধী’, ‘বেঈমান’, ‘নেশা’, ‘সর্বনাশ’, ‘কার বুকেতে মাথা রাখো’, ‘কাচের জানালা’ গানগুলো সঙ্গীতাঙ্গনে হাওয়া বদলের আভাস দিয়েছে।

অন্যদিকে কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ ‘তোমার ইচ্ছা হলে’, ‘তোমার উঁকিঝুঁকি’র মতো মেলোডিনির্ভর গান ও চমকপ্রদ গল্পের মিউজিক ভিডিও দিয়ে এ বছরও আলোচনায় ছিলেন।

মিউজিক ভিডিও ছাড়াও এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, ন্যান্সি, ফাহমিদা নবীসহ বেশ কিছু শিল্পী একক গান প্রকাশ করে সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু সে গানগুলোর অডিও আলাদা করে প্রকাশের সুযোগ না থাকায় লিরিক্যাল ভিডিওর আশ্রয় নিতে হয়েছে প্রকাশকদের।

শুধু জনপ্রিয় ও তরুণ শিল্পী নন; কম-বেশি সবাই এখন ভিডিওর দিকেই ঝুঁকে পড়েছেন। একই কথা বলা যায় আলোচিত ও তরুণ অন্যান্য শিল্পীর বেলায়।

সৈয়দ আবদুল হাদী, কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী থেকে শুরু করে এফএ সুমন, বেলাল খান, কাজী শুভ, নদী, ঐশী, কিশোর, জয় শাহরিয়ার, তানযীব, তৌসিফ, শান, প্রতীক হাসানসহ মাহতিম শাকিব, টুম্পা, আতিক শামস, শেখ সাদীর মতো নবীন শিল্পীরাও মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে সম্ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন।

কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট, আগের মতো একাধিক গানের অ্যালবাম নয়, মাত্র একটি গানের ভিডিও প্রকাশ করেই শিল্পীরা সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সঙ্গীতাঙ্গনে পা রাখার পথটাও তাই প্রশত হয়ে উঠেছে।

কিন্তু একটি মাত্র গান দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মনোযোগ কাড়তে পারাও কঠিন কাজ- এমন মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। সে কারণেই মিউজিক ভিডিও তারকাবহুল ও নান্দনিক করে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। যার সুবাদে মিউজিক ভিডিওর বাজেট যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে নির্মাণের বৈচিত্র্য তুলে ধরার প্রতিযোগিতা।

এ প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘গানের সুর-সঙ্গীতের পাশাপাশি গীতিকথার গল্পকে কত বৈচিত্র্যময়, রোমাঞ্চকর ও হৃদয়স্পর্শী করে তোলা যায়, তারই উদাহরণ মিউজিক ভিডিও। অ্যালবাম প্রকাশনা কমে যাওয়ায় একক গানের ওপর সঙ্গীতপ্রেমীদের নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই প্রতিটি গান কতটা ভিন্ন আঙ্গিকে শ্রোতার কাছে পৌঁছানো যায়, তারই এক প্রচেষ্টার নাম মিউজিক ভিডিও।

এক সময় টিভি অনুষ্ঠানের জন্য গানের ভিডিও করা হতো। এখন যেহেতু মুঠোফোনের সুবাদে সবকিছু হাতের মুঠোয়, তখন আর শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গান হয়ে উঠেছে শ্রোতা ও দর্শকের।’ কুমার বিশ্বজিতের এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।

তিনি বলেন, ‘এখনকার মিউজিক ভিডিওগুলোকে ছোটখাটো চলচ্চিত্র বলা যায়। চলচ্চিত্রের মতোই নানা ধরনের গল্প নিয়ে ভিডিও নির্মিত হচ্ছে। আমার মতো অনেক শিল্পীকেও তাই গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করতে হচ্ছে। যেহেতু আমরা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য কাজ করি, তাদের আনন্দ দিতে এবং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে নিজেকে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে হচ্ছে।’

আসিফ আকবরের এ কথা যে একেবারে মিথ্যা নয়, তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গেছে। ‘আগুন পানি’ গানে তাকে দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক যুবকের চরিত্রে। আবার কর্ণিয়ার সঙ্গে গাওয়া ‘একবার ছুঁয়ে যা হৃদয়’ ও ‘কী করে তোকে বোঝাই’ দ্বৈত গান দুটিতে তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেতা ও এক প্রেমিকের চরিত্রে।

অন্যদিকে ‘সাদা আর লাল’ গানে আসিফের চরিত্রে পাওয়া গেছে এক বলিউড অভিনেতার ছায়া। প্রীতম হাসানও তার ‘জাদুকর’ গানের নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। কর্ণিয়াকে রক শিল্পীর চরিত্রে দেখা গেছে ‘তোমায়’ গানের ভিডিওতে। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী চরিত্রে সালমা অভিনয় করেছেন তার ‘আশায় আশায়’ গানের ভিডিওতে।

অন্যদিকে হাবিব ওয়াহিদকে ‘মিথ্যা’ গানে মানসিক রোগী, ‘চলো না’ গানে পর্যটক, ‘ঝড়’ গানে পাড়ার মাস্তান চরিত্রে দেখা গেছে। অন্যদিকে মমতাজকে নতুন রূপে দেখা গেছে ‘লোকাল বাস’ গানের ভিডিওতে। তিনি বলেন, “লোকাল বাস’ আমার অন্যান্য গান থেকে একেবারে আলাদা। তা ছাড়া এর ভিডিওতে নাটকীয় একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যে জন্য নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরা।”

মমতাজের মতো ‘রেশমি চুড়ি’ গানে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার চেষ্টা ছিল কণ্ঠশিল্পী কনার। তিনি এ গানে কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তুলে ধরেছেন দর্শকের কথা ভেবে।

তার কথায়, ‘এখন মিউজিক ভিডিও নির্মাণে বাঁকবদল ঘটেছে। ভালো গান করার জন্য যেমন যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে হয়, তেমনই ভিডিও নির্মাণে বড় বাজেট এবং সময় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। মিউজিক ভিডিওর দর্শক কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রতিটি কাজই ক্রমে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’

কনার এ কথার সঙ্গে একমত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু। তার কথায়, মিউজিক ভিডিও নির্মাণ চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়ে কোনো অংশে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। প্রতিটি গানের সঙ্গে নতুন গল্প, চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন, এবং ভিডিওর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ বিষয় নয়। তাই ভালো এবং ব্যতিক্রমী কিছু করার জন্য শিল্পী, নির্মাতা, মডেল- সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়।’

নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, ‘চার থেকে সাত মিনিট ব্যাপ্তির গানে একটি গল্প তুলে ধরা কঠিন কাজ। সে কাজটিই করতে হচ্ছে এখনকার মিউজিক ভিডিওতে। গল্প তুলে ধরা শুধু নয়; ভিডিও নান্দনিক করে তুলতেও এর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। গায়ক-গায়িকাকে দিয়ে অভিনয়ও করাতে হচ্ছে। কিন্তু সেটা এমনভাবে উপস্থাপন করতে হচ্ছে, যাতে কারও এটা মনে না হয়, গানের চরিত্রগুলোয় চেনা-জানা মানুষের ছায়া নেই। খেয়াল করলে দেখবেন, চলচ্চিত্রের মতো গানের ভিডিওতে কমেডি, অ্যাকশন, ফ্যামিলি ড্রামা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও তুলে আনা হচ্ছে। এ কারণেই হয়তো একের পর এক মিউজিক ভিডিওর দর্শক সংখ্যা কোটি অতিক্রম করছে।’

শুধু সৈকত নাসির নন; সমকালীন শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতায়োজক, ভিডিও নির্মাতা, মডেল- সবার কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট, গানের ভেতরে গল্প যদি নান্দনিকভাবে পর্দায় তুলে ধরা যায়, তাহলে তা অগণিত দর্শকের মন জয় করবে।

প্রকাশক ও কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ বলেন, ‘গান যতটা শোনার, ততটাই দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে এখন। যে জন্য অডিওর জায়গাটা পুরোপুরি দখল করে নিচ্ছে মিউজিক ভিডিও। এর প্রথম কারণ ভিডিওতে এখন অনেকে নানা ধরনের গল্প দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। যে কারণে অনেকে মিউজিক ভিডিওকে গানের ছবি বলেও উল্লেখ করছেন।

অ্যালবাম প্রকাশনা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার কারণে একক গান হয়ে উঠেছে প্রকাশনার অন্যতম মাধ্যম। যে জন্য তা মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করতে হচ্ছে। আর তা করতে গিয়েই ভিডিওতে বৈচিত্র্য তুলে ধরার এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এটাই অডিওকে বদলে ভিডিওর চাহিদা তৈরি করে যাচ্ছে।’

তার এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে শ্রোতার চাহিদা বদলে গেছে। ক্যাসেট ও সিডি প্লেয়ারের যুগ শেষ। এখন গান শোনার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। যেখানে ভিডিও দেখার সুযোগ থাকছে।

তাই দর্শক-শ্রোতা চান, স্বল্প সময়ের ব্যাপ্তির কোনো গল্পের চিত্রায়ণ। এটা নাটক বা সিনেমায় সম্ভব নয়। যে জন্য গানের ভিডিও এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’ শিল্পী, সুরকার, গানের প্রকাশক, মিউজিক ভিডিও নির্মাতাদের এমন মন্তব্য থেকে এটাই স্পষ্ট, গান প্রকাশের এখন অন্যতম মাধ্যম মিউজিক ভিডিও। অডিও অনেকে শোনেন, কিন্তু ভিডিওর চাহিদা যত বাড়ছে তাতে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে অডিও প্রকাশনা। গানের ভুবনে এখন তাই ভিডিওর জয় জয়কার।

আরএম-১৬/২৫/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)