ইউটিউবের জালে ‘ইউটিউবার’ তারা
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের পরে তারকাদের পছন্দের ডেস্টিনেশন এখন ইউটিউব। প্রতি নিয়তই টালিউডের তারকারা নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে ভক্তদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, আর নিজেরা নিজেরা হয়ে যাচ্ছে ইউটিউবার। তারকা খ্যাতির পরেও নিজের ঝুলিতে যুক্ত করছেন ‘ইউটিউবার’ খ্যাতি।
এদিকে, মিমি চক্রবর্তী সম্প্রতি লঞ্চ করলেন তার ইউটিউব চ্যানেল, মিমি চক্রবর্তী ক্রিয়েশনস। রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউসেরও ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নতুন চ্যানেল খুলেছেন শ্রীলেখা মিত্রও। টলিউডে এই হাওয়া সাম্প্রতিক। তবে বলিউডে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজস্ব চ্যানেল লঞ্চ করার ধারাবিকতা চলছে। তারকাদের পাশাপাশি বহু অনামী শিল্পীও খ্যাতি পেয়েছেন ইউটিউবার হয়েই!
ইউটিউবের গুরুত্ব কোথায়?
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিনই ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় এক লাখের মত। এ ব্যাপারে টালিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, আমার কিছু প্রচার করার থাকলে আগে কারো উপরে নির্ভর করতে হত। কিন্তু এখন ইউটিউবের কল্যানে সেটা করে থাকি। আর দর্শকের কাছে পৌঁছনোর জন্য ইউটিউবের চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম নেই। শ্রীলেখা মিত্রের মতে, অভিনয় ছাড়া আমি লেখালিখি করি। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে আমার মতামত রয়েছে। সেগুলো দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যই ইউটিউব চ্যানেল।
চেনা ইমেজের বাইরে
মিমি চক্রবর্তী এর আগে ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। তবে গানের প্রতি অভিনেত্রীর রয়েছে বিশেষ ঝোঁক। তাই তিনি বড় কিছু করতে চান। আর এ কারণেই তার প্রথম মিউজিক ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানলে প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে মিমি বলেন, আমি কতটা নিজস্ব সত্তার মানুষ সেটি দর্শকেরা আগে কখনো দেখে নাই। এই চ্যানেল আমার সত্তার বহিঃপ্রকাশ।
শুধু তাই নয়, তারকাদের নিজের চেনা বাহিরে ইউটিবে তারা নিজস্ব সত্তায় ধরা দেয়। এছাড়া নিজেদের পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত নিজেদের মতো করে প্রকাশ করেন তারা। যেটা তারা প্রফেশনাল জীবনের একদম বাহিরে।
ব্যবসায়িক অঙ্ক
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাভের অঙ্কও বাড়তে থাকে। তার জন্য কাঙ্ক্ষিত সংখ্যায় পৌঁছতে হবে। তারকাদের সে দিকেও আগ্রহ কম নয়। রাজ বলছিলেন, আমার প্ল্যাটফর্মকে যদি বড় করতে পারি, তখন অনেক ছোট মাপের ব্র্যান্ড আমার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারে আসবে। সে ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটিরও লাভ, চ্যানেলেরও রেভিনিউ বাড়বে।
বলিউডেও ব্যবসায়িক অঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ফ্যাশন কমার্স পোর্টালে শেয়ার হোল্ডার আলিয়া ভাট্ট। নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রচারে ইউটিউবকে কাজে লাগাতে পারেন ইয়ুথ আইকন আলিয়া। এই মডেলের অনুপ্রেরণা হলিউড সেলেব্রিটি কাইলি জেনার। তার ইনস্টাগ্রামের রেকর্ডসংখ্যক ফলোয়ার বাড়িয়েছিল কাইলির কসমেটিকস ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা।
বলিউডে বৈচিত্র
জুনে এসেছে আলিয়ার চ্যানেল। বরুণ ধওয়ন চ্যাট শো নিয়ে আসছেন তার চ্যানেলে। অর্জুন কাপুর তার চ্যানেলে বিভিন্ন শোয়ের সমালোচনা করেন। সুস্থ থাকার পাসওয়ার্ড, রান্নার খুঁটিনাটি বলেন শিল্পা শেট্টি। অজয় দেবগণ, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ারও নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে।
ঝুঁকি কতটা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক উপস্থিতি বাড়তি চাপ তৈরি করে? সেলেব্রিটি যতই প্রচারমাধ্যমে আসুন না কেন, তারকার বলয় ভেদ করা সহজ নয়, এই ধারণা এখন অতীত। সোশ্যাল মিডিয়ার বলয় বাড়ানোই তারকাদের একমাত্র লক্ষ্য।
আরএম-১৩/০৪/০৯ (বিনোদন ডেস্ক)