কেমন বাবা শাকিব খান!

সাবেক তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান ছেলে আব্রাম খান জয়। বহু সফল ছবির জনপ্রিয় এ জুটির ভালোবাসার প্রতীক হয়ে আছে জয়। ডিভোর্সের পর থেকে শাকিব-অপুর যতবার দেখা হয়েছে, তা ওই জয়ের সুবাদেই। স্ত্রীকে ত্যাগ করলেও ছেলেকে প্রচন্ড ভালোবাসেন শাকিব- কাজেকর্মে এমনটাই বরাবর বোঝাতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কিং খান।

কিন্তু অতি আদরের সেই ছেলেরও নাকি এখন কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বাংলা সিনেমার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন শাকিব খান। এমনকী, জয়ের কোনো খরচও দিচ্ছেন না। এমন অভিযোগ খোদ নায়কের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের। তার আরও অভিযোগ, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জয়ের তৃতীয় জন্মদিনে শেষবার তাকে দেখা দিয়েছেন শাকিব। এরপর প্রায় সাত মাস ছেলেকে দেখতে আসেন না তিনি।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শাকিব খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন তার সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস। এ ব্যাপারে শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও তার এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘অপু বিশ্বাসের কোনো অভিযোগই সত্যি নয়। শাকিব খান তার ছেলের খোঁজখবর ঠিকই রাখেন। নিয়মিত খরচও দেন। অপু বিশ্বাস আলোচনায় থাকতেই মাঝে মাঝে এসব অভিযোগ তোলেন।’

তবে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চান না অপু বিশ্বাস। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপাতত এ নিয়ে কথা বলতে চাইছি না।’

প্রসঙ্গত, রেকর্ড ৭০টির বেশি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে বাস্তবেও মন দেয়া-নেয়া সেরে ফেলেন দুই তারকা। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন এ খবর লুকিয়ে রাখেন। দাম্পত্য জীবনের আট বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে ছেলে জয়ের জন্ম দেন অপু বিশ্বাস।

তারপর আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি এই নায়িকা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে ছোট্ট জয়কে কোলে নিয়ে একটি বেসরকারি টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হন অপু। সেখানেই কেঁদে কেঁদে ফাঁস করেন শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়েসহ লুকিয়ে রাখা অনেক খবর। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে যান শাকিব। একাধিক অভিযোগ এনে ওই বছরেরই ২২ নভেম্বর তিনি অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান।

এ ঘটনায় ঢালিউড পাড়ায় তো বটেই, সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে দুই তারকার সংসার টেকাতে উদ্যোগী হয় খোদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তিন দফায় সালিশি বৈঠক ডাকে তারা। কিন্তু প্রতি বৈঠকে অপু বিশ্বাস উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলেনি শাকিব খান বা তার পরিবারের কারও। উপায়ন্তর না দেখে ডিভোর্স মেনে নেন নায়িকা। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপুর সঙ্গে শাকিবের ডিভোর্স কার্যকর হয়।