দুর্বৃত্তপনার বিচার দাবি জয়ার

অসময়ে গাছের একটা পাতা পড়লেও দেশের তারকা শিল্পীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। যদিও পরীমণির ঘটনায় সেই ধারাবাহিকতায় খানিক ভাটা পড়লো। প্রতিবাদ করছেন অনেকেই, তবে সেটি চোখের পড়ার মতো নয় বলেই দাবি করছেন বিশ্লেষকরা।

কারণ, এই প্রতিবাদের মিছিলে এখনও যুক্ত হয়নি দেশের উল্লেখযোগ্য তারকারা। তবে এরমধ্যে এবার ব্যতিক্রম জয়া আহসান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় এমন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। বিচার চেয়েছেন। বলেছেন, ‘পরীমণির ঘটনাটি জানার পর থেকে আমি কষ্ট পাচ্ছি।’

সোমবার বেলা ১টার দিকে দুই বাংলার অন্যতম এই নায়িকা তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে কথা বলেন বিস্তর। তিনি বলেন, ‘পরীমণির খবরটি শোনার পর থেকে বেদনা ও ধিক্কারে মনটা ভরে উঠেছে। আমি কষ্ট পাচ্ছি মানুষ হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, অভিনয়–জগতের একজন সদস্য হিসেবে।’

নারীদের এমন লাঞ্ছনার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়- এমন দাবি করে জয়া বলেন, ‘একবিংশ শতকের অনেকটা পথ পার হয়ে এসে এখনও মেয়েদের এমন লাঞ্ছনা দেখতে হবে? কোনও মানুষ, কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার মন-মানসিকতা বা দুঃসাহস কোত্থেকে আসে? যে চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্তে–ঘামে আমরা তিল তিল করে গড়ে তুলছি, তা এতই নাজুক, এতই খেলো?’

ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে বেশ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘এ ঘটনা আমরা তলা পর্যন্ত বুঝতে চাই। আমরা দেখতে চাই, এমন দুর্বৃত্তপনার বিচার হয়েছে। দেখতে চাই, কোনও মেয়ে— তা সে যে–ই হোক, তার সঙ্গে এমন আচরণের অবসান হয়েছে।’

রোববার রাত ৮টার দিকে পরীমণি তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল। এ বিষয়ে তিনি চারদিন আগে বনানী থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলেও থানা পুলিশ তা নেয়নি। এজন্য তিনি বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই দিন রাত ১০টার দিকে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরী জানান, এ ঘটনাটি ঘটে ৯ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে। অভিযুক্তের নাম নাসির ইউ মাহমুদ। তিনি বোট ক্লাবের একজন পরিচালক এবং উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

এসএইচ-১৩/১৪/২১ (বিনোদন ডেস্ক)