দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন খালেক

আবদুল খালেকের প্রায় সবই আছে। একটা সংসার, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, সামান্য উপার্জন- নেই শুধু মাথা গোজার ঠাঁই। তিন বছর এ জন্য ঘুরেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। প্রতিশ্রুতিও পেয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এই বর্ষায় ভাসমান সংসার বাঁচাতে এখন তার একমাত্র ভরসা আত্মীয়দের দয়া।

আবদুল খালেক দিনমজুর। জেলার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের সফিকুর রহমানের ছেলে। গ্রামে বাবার বাড়ি থাকলেও সেখানে খালেকের ঠাঁই হয়নি। অন্য ভাইয়েরা সেই জায়গায় আছেন।

তিন সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে খালেক দীর্ঘদিন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থেকেছেন। কিন্তু তিনি জানেন না এভাবে আর কতদিন সম্ভব?

খালেক সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পেতে গত ৩ বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বর্তমানে তিনি কৃষ্ণপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে ভাড়া থাকছেন। কিন্তু মাটি কাটার শ্রমিক খালেকের জন্য প্রতিমাসে বাড়ি ভাড়া সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য।

তিনি বলেন, ‘এই কষ্ট থেকে বাঁচতে ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। এরপর যে যেভাবে বলেছে, সেভাবেই মানুষের কাছে গিয়েছি, কষ্টের কথা বলেছি কিন্তু ৩ বছরেও একটা ঘর পাইনি।’

মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে খালেক এখন ক্লান্ত। বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানি না মনের আশা কবে পূরণ হবে? পারলে আমাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন। এ জীবন আর টানতে পারি না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাইফুল আলম বলেন, ‘খালেকের বিষয়টি আমরা আগামীতে বিবেচনা করবো। কারণ চলতি বছর ঘরের নির্দিষ্ট কোটা পূরণ হয়ে গেছে।

এসএইচ-‘১৪/১৪/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)