বাংলাদেশে এসেই ইলিশ খেয়েছি: কৌশানী

টালিউডের এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা কৌশানী মুখার্জি। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত ‘পিয়া রে’ সিনেমার শুটিং করছেন চাঁদপুরে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন পূজন মজুমদার।

গেল ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদপুরে চিত্রায়ণ করছেন কৌশানী। সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। ‘পিয়া রে’ সিনেমায় নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি আমি। আমার চরিত্রের নাম পিয়া। মেয়েটি পড়াশোনায় মোটেই ভালো না, কোনো সময় পাশই করে না।’

এ সিনেমায় কৌশানীর বিপরীতে আছেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক শান্ত খান। নুরু চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। নুরু চেয়ারম্যানের বাড়িতে কাজ করে। তার সঙ্গে পিয়ার প্রেম কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে পর্দায়। বাস্তব গল্পে এ কাহিনিতে বেশ টুইস্ট আছে বলেও জানান কৌশানী।

বাংলাদেশে অভিষেক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টালিউডের এ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রচন্ড ভালো লাগছে। বলে বোঝাতে পারব না কতটা এক্সসাইটেড। প্রায় ৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে তা করে ওঠা হয়নি। সেটা শাপলা মিডিয়ারই কাজ ছিল। তারপর কলকাতায় কাজ করতে করতে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর প্রস্তাব পাই। আমার মনে হয় ঠিক সময়েই বাংলাদেশে ডেব্যু করছি।’

অভিনয়ে না এলে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল কৌশানীর। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার এ মেয়ে বি কম অনার্স শেষ করে এমবিএ করেছেন। পড়াশোনার জন্য মুম্বাই চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কৌশানীর। বাবা মায়ের সঙ্গে গিয়ে ঘরও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ওই সময় একটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন। পুরো পশ্চিমবঙ্গে ২৫০টি বিলবোর্ড হয়েছিল কৌশানীর। তারপরই সিনেমায় ডাক পান এ অভিনেত্রী। আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন কৌশানী।

বাংলাদেশে দাপিয়ে কাজ করতে চাই উল্লেখ করে কৌশানী বলেন, ‘এই যে বাংলাদেশে জার্নি শুরু হয়েছে সেটা বন্ধ করতে চাই না। কলকাতার মত এখানে দাপিয়ে কাজ করতে চাই। ২০১৫ সালে বোলপুরের শুটিং করেছিলাম ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ সিনেমার। সেখানে এক-দেড় মাস ছিলাম। সে ফিলটাই এখন পাচ্ছি। পার্থক্য হলো সেখানে লাল মাটি ছিল আর এখানে গ্রাম্য পরিবেশ। গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রচুর এক্সসাইটমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। সেটাকে এনজয় করছি।’

ইলিশের বাড়িতে শুটিং করছেন কৌশানী। ইলিশ খেয়েছেন? জানতে চাইলে অভিনেত্রী হেসে বলেন, ‘বাংলাদেশে এসেই ইলিশ খেয়েছি। প্রথমে জানতাম না চাঁদপুরে শুটিং হবে। জানার পর ইলিশ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে। কারণ এই চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ যায়। আমার বাড়ির লোক আগ্রহ নিয়ে বসে আছে, আমি কবে ইলিশ নিয়ে ফিরব। চাঁদপুর থেকে তাজা ইলিশ নিয়ে যাব বাড়িতে। সেটাই ভালো হবে।’

গেল বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন কৌশানী। খুব অল্প বয়সে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন এ অভিনেত্রী। ভোটের টিকিট পেলেও আশানুরূপ সাফল্য পাননি।

রাজনীতি প্রসঙ্গে কৌশানী বলেন, ‘খুবই অল্প বয়সে দিদি (মমতা ব্যানার্জি) আমাকে প্রার্থী করেছিল। তার জন্য আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি। রাজনীতির ক খ গ ঘ না শিখে পরীক্ষা দিতে বসেছিলাম। এখন কিন্তু রাজনীতির অনেক খবর আমি রাখি। যেমনটা সিনেমার রাখি। রাজনীতির এক-দেড়মাসের অভিজ্ঞতা দারুণ।

মানুষকে কাছ থেকে পাওয়া, তাদের সমস্যা জানা, তারা আমাকে সুখ দুঃখের সাথী করে নিয়েছিল। লাখো বাচ্চাকে কোলে নিয়েছি, অনেক বয়স্ক মানুষের লাঠি হয়েছি। ভোটে হারার পরও কৃষ্ণনগরের মানুষের পাশে ছিলাম। লকডাউনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভোটের মাঠের এ লড়াইটা থামাতে চাই না।’

এসএইচ-২১/০৫/২১ (বিনোদন ডেস্ক)