ধর্মেন্দ্র সম্পর্কে অজানা তথ্য সামনে আনলেন হেমা মালিনী

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র জীবনের ৮৫ বসন্ত পার করে সদ্য পা দিলেন ৮৬ বছরে। ১৯৩৫ সালের আজকের দিনে (৮ ডিসেম্বর) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শোবিজের সদস্য থেকে শুরু করে বহু ভক্ত অনুরাগী শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমা মালিনীও। লিভিং লিজেন্ড এই অভিনেতার সম্পর্কে এক অজানা তথ্য শেয়ার করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হেমা মালিনী।

বলিউডের এই দুই তারকা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন। সে সময় বিয়ের পরই নায়িকাদের কেরিয়ারে একরকম ইতি টেনে দেওয়া হত। সংসার, সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বেশিরভাগ অভিনেত্রী। কিন্তু হেমা ব্যতিক্রম। সংসার, দুই মেয়েকে সামলেও সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। আর এক্ষেত্রে তাকে সাপোর্ট দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি নাকি কোনোদিনও হেমাকে কাজ বন্ধ করার কথা বলেননি।

বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি এমন পরিবারে জন্মেছি এবং বড় হয়েছি যেখানে শিল্পকে অত্যন্ত প্রাধান্য দেওয়া হত। আমি নাচ ছোট থেকেই ভালোবাসতাম। আমার মাও চাইতেন নাচ নিয়ে কিছু করি। ধর্মেন্দ্রজির সঙ্গে বিয়েও আমার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সবথেকে বড় কথা উনি কোনোদিন আমাকে কাজ করতে বাধা দেননি। ওর প্যাশন প্রফেশনে বদলে যায়। আমরা একে অপরের কাজকে সমর্থন করতাম। আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। একে অপরকে স্পেস দিতাম, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তুলেছিল। তবে একে অপরের প্রতি সম্মান রেখেই নিজেদের পথ বেছে নিয়েছিলাম আমরা।’

অনস্ক্রিন অথবা অফস্ক্রিন তাদের দাম্পত্য, সবটাই উপভোগ করেন সাধারণ দর্শক। কিন্তু এই জুটির বিয়ে নাকি একেবারেই সহজ ছিল না। সিমি গারেওয়ালের একটি টেলিভিশন শো-এ গিয়ে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়েটা যে কত কঠিন ছিল, তা জানিয়েছিলেন হেমা। বাড়ির প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

বিয়ে সম্পর্কে হেমা মালিনী বলেন, ‘ধর্মেন্দ্র যে সুন্দর দেখতে, এটা সকলেই মানবেন। আমি কিন্তু ওর সঙ্গে শুধুমাত্র কাজ করতাম। বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ভাবতাম, যদি বিয়ে করতেই হয়, ওর মতো কাউকেই বিয়ে করব। ওকে নয়। অথচ সেটাই হলো।’

তিনি জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্রর অত্যন্ত কাছের ছিলেন তিনি। তা নিয়ে বহু রটনা শুরু হয়। তখন একদিন হেমাই নাকি ধর্মেন্দ্রকে জানান, এ বার বিয়ে করতেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের চার সন্তান। দুই ছেলে সানি এবং ববি দেওল। দুই মেয়ে বিজেতা, অজিয়েতা। সে কারণেই ধর্মেন্দ্রর মতো পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হননি হেমার পরিবারের সদস্যরা।

হেমা আরও জানিয়েছেন, সে সময় কারও কথাতে কান দেননি তিনি। ধর্মেন্দ্রর মতো কেউ নন, বরং ধর্মেন্দ্রকেই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন।

এসএইচ-৩০/০৮/২১ (বিনোদন ডেস্ক)