ব্রেস্ট ক্যান্সার জয়ী তারকারা

চলছে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর। নারীদের সচেতন করার জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসকে বিশ্বব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়। একাধিক সেলিব্রিটি এই মরণরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে হেরে গিয়েছেন। কেউ আবার জিতেছেনও বটে।

‘পরদেশ’ সিনেমায় কিং খান শাহরুখের হাত ধরে অভিষেক। এরপর ‘দিল হ্যায় তুমহারা‍‍’, ‍‍’ধাড়কান‍‍’, ‘দাগ’ সহ একাধিক সিনেমায় তার অভিনয় মন কেড়ে নেয় দর্শকদের। বলিউডের মিষ্টি মেয়ে মাহিমা যখন ক্যানসারের সঙ্গে তার যুদ্ধের কথা ভক্তদের জানালেন তখন সকলেই অবাক। ব্রেস্ট ক্যানসারের সঙ্গে লড়েছেন মহিমা। মহিমার বেদনাদায়ক কাহিনী জনসম্মুখে তুলে ধরেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের। মার্কিন মুল্লুকে দীর্ঘ চিকিৎসার পর এ যুদ্ধে জয়ী এখন তিনি।

টিভি অভিনেত্রী ছবি মিত্তাল সম্প্রতি ব্রেস্ট ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়ে তার পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। রুটিন চেকআপের সময় ক্যানসার শনাক্ত হলে তার চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতালের অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে এ যুদ্ধে লড়েছেন ছবি।

টিভি অভিনেত্রী ছবি মিত্তাল বলেন, প্রতিটি নারীর উচিত প্রতিনিয়ত নিজের চেকআপ করা, এটা খুবই জরুরি। সবাই আমার মতো ভাগ্যবান হয় না। ক্যান্সার আসলে নিরব ঘাতক। কখনও কখনও এটা ফাইনাল স্টেজে ধরা পড়ে। তাই সবাইকে বলবো, নিজের যত্ন নিন।

ব্রেস্ট ক্যান্সার থাবা বসিয়েছিলো জনপ্রিয় অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপের শরীরেও। ২০১৮ সালে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ২০১৯ সালে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তাহিরা। সে বছর বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন তিনি।

ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাজও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৬টি কেমোথেরাপি ও ৩৫ বার রেডিয়েশনের পর ক্যানসার জয়ে সক্ষম হন মুমতাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি একবার বলেছিলেন, সহজে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। তারপর থেকেই ক্যান্সার সচেতনমূলক বার্তা প্রচার করেন এ অভিনেত্রী। ২০১০ সালে এক তথ্যচিত্রে দেখাও গিয়েছিল মুমতাজকে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের একটিই উপায়; আর তা হল ম্যাস্টেকটোমি বা অপারেশন করে ব্রেস্ট কেটে ফেলা। এ সাহসী কাজ করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ২০১৩ সালে জোলির ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে।

ক্যান্সারের সাথে নিজের সংগ্রাম নিয়ে জোলি বলেন, আমার মা দীর্ঘ এক যুগ ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে হেরে গেছেন। কিছুই করতে পারিনি। আমি চাইনি আমার সন্তানরাও এমন অসহায়বোধ করুক। আর তাই এ ভয়াবহ সিদ্ধান্ত।

এদিকে ২০১৫ সালে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন আরেক হলিউড অভিনেত্রী রিটা উইলসন। ২০২০ সালে ক্যান্সার মুক্ত হওয়ার পাঁচ বছর উদযাপন করেন তিনি।

মরণ রোগ ক্যান্সারে একবার আক্রান্ত হলে সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার আশা অনেকেই ছেড়ে দেন। কিন্তু ক্যান্সার জয়ী এই তারকারা প্রমাণ করেছেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়।

এসএইচ-১৭/১৯/২২ (বিনোদন ডেস্ক)