নাটকেও থাকছেন মেহজাবীন

মেহজাবীন চৌধুরী এবার ওয়েব সিরিজে। তাঁর আরও অনেক আলোচিত কাজের নির্মাতা ভিকি জাহেদের নতুন সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’ গতকাল মুক্তি পেয়েছে বিঞ্জ-এ। এতে মেহজাবীন জুটি বেঁধেছেন শ্যামল মাওলার সঙ্গে। টিভি নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় গুঞ্জন ওঠে, নাটক ছেড়ে দিচ্ছেন মেহজাবীন। সেই গুঞ্জনের দড়ি টেনে ধরতেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

রোববার সন্ধ্যায় হয়ে গেল ‘দ্য সাইলেন্স’ সিরিজটির প্রিমিয়ার শো। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মেহজাবীন জানালেন, টিভি নাটকে ইদানীং অনুপস্থিত থাকলেও মনের মতো গল্প পেলে আবারও হাজির হবেন টিভির পর্দায়। মেহজাবীনের বয়ানে থাকল তাঁর পুরো আলাপন।

যে গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’
আমাদের সবার ভেতরে এমন কিছু ইচ্ছা থাকে, যেগুলো আমরা সচরাচর প্রকাশ করি না। সিরিজে যে মেয়েটাকে দেখবেন আপনারা, ওর নাম রুবি। যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের সঙ্গে দর্শক রুবিকে কানেক্ট করতে পারবেন। সবারই স্বপ্ন থাকে অনেক বড় হওয়ার। সেটেলড একটা লাইফ থাকবে, যা চাইব তা-ই পাওয়া যাবে—মেয়েটা এসব কিছু পাওয়ার জন্য একটা জার্নি শুরু করে। ওই জার্নিটা নিয়েই ওয়েব সিরিজের গল্প।

নির্মাতার সঙ্গে বোঝাপড়া
ভিকি ভাইয়ের (ভিকি জাহেদ, ‘দ্য সাইলেন্স’ নির্মাতা) সঙ্গে আমার অনেক দিন ধরেই কাজ হচ্ছে। খুব ভালো কিছু কাজ আমরা করেছি একসঙ্গে। সে সব সময় এমন গল্প নিয়ে আসে, যেগুলো একটু ডিফারেন্ট। চরিত্রের মধ্যে কিছু না কিছু নতুনত্ব থাকে, একটু চ্যালেঞ্জ থাকে। সেই চ্যালেঞ্জটা আমার ভালো লাগে। তাঁর লেখা ও পরিচালনার ভক্ত আমি।

সিনেমায় দেখা যাবে কবে!
সিনেমা কবে করব, এখনই বলতে পারছি না। সিনেমাকে আমি আলাদা করে বিশেষ কাজ ভাবি না। আমি মনে করি, প্রতিটা কাজ যে মাধ্যমেই আসছে না কেন, আমি কতটুকু ভালো করতে পারছি কিংবা দর্শক কতটা ভালোভাবে গ্রহণ করছে, সেটা জরুরি। দর্শক যদি টিভি কিংবা ওয়েবের মাধ্যমেই আমার ভালো কাজ পায়, তাহলে আমার জন্য সেটাই ভালো।

যাঁদের প্রতি মেহজাবীনের কৃতজ্ঞতা
আমার এত বছরের কাজ, এত বছরের জার্নির পেছনে অনেক মানুষের অবদান আছে। টিভি নাটকে অভিনয় করতে আমাকে যিনি সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি সজল ভাই (আবদুন নূর সজল)। একদম শুরুর দিকে, যখন আমি কিছুই পারতাম না, বাংলায় কথা বলতে পারতাম না ঠিকমতো, সজল ভাই আমাকে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাতেন। একদম নিজের ছোট বোনের মতো আমাকে প্রতিনিয়ত গাইড করেছেন তিনি। তারপর তো আফরান নিশো ভাই, অপূর্ব ভাই—তাঁদের কাছে শিখতে শিখতে এত দূর চলে এসেছি। আজকে আমি যতটুকু অভিনয় পারি, তার সমস্ত কৃতিত্ব আমার পরিচালক ও সহশিল্পীদের।

নাটক ছেড়ে যাচ্ছেন না
নাটক ছাড়ছি, এটা কিন্তু আমি একবারও বলিনি। আমি আবারও নাটকে কাজ করব। এ রকম কোনো বাইন্ডিংস নাই যে এখন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি বলে আর নাটক করব না। আমি নাটকের মানুষ। নাটক আমাকে যে পরিচিতি দিয়েছে, দর্শকদের ভালোবাসা দিয়েছে, সে জায়গাটা আমি একেবারেই ছেড়ে যেতে পারি না। যখন যেখানে ভালো স্ক্রিপ্ট মনে হবে, আমি সেখানেই কাজ করব।

নতুনদের জন্য শুভকামনা
আমি মনে করি, আমাদের টিভি নাটকে অনেক ট্যালেন্ট আছে। আমরাই যদি একাধারে কাজ করতে থাকি, তাহলে তো হবে না। একটা জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হবে আমাদের। আবার অন্যদের জন্যও জায়গা করে দিতে হবে। এখন নাটকে নতুন প্রজন্মের অনেকেই ভালো কাজ করার চেষ্টা করছে। তাদের জন্য আমার সব সময় শুভকামনা আছে। তারা অনেক শাইন করুক। অনেক সুন্দর কাজ করে নাটকের ইন্ডাস্ট্রিটা ধরে রাখুক।

এসএ-৩১/০১/২৩ (বিনোদন ডেস্ক)