প্রেমিকার গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী যুবক

পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার গলায় ছুরি চালিয়ে নিজে আত্মঘাতী হল প্রেমিক। গুরুতর জখম প্রেমিকাকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবড়া থানার দক্ষিণ হাবড়ার পল্লীবার্তা রোড এলাকায় দাদা সুব্রত রায়ের বাড়িতেই থাকতেন মিঠু দাস। তঁার একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে দাদার বাড়ির একটি ঘরে থাকতেন তিনি। তাঁর বৌদি মমতা রায়, প্রতিবেশী প্রবোধ দে–রা জানালেন, আয়ার কাজে যুক্ত মিঠুর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল।

রোববার সকাল ৭টা নাগাদ হঠাৎই মিঠু ঘর থেকে ‘‌বাঁচাও বাঁচাও’‌ বলে চিৎকার করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁর গলা তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাড়ির লোকেরা হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, মিঠু যখন চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন সেই এলাকা দিয়ে হাবড়া থানার পুলিশের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। বাড়ির লোকেরা পুলিশের গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে ঘটনার কথা বলেন। ঘরের ভেতরে কেউ আছে বলে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ কর্মীরা ঘর খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সহজে খোলা যায়নি। পরে দরজা খুলতে দেখা যায়, ঘরের ভেতরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ঝুলছে। দেহ নামানোর পর দেখা যায় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তার জামার পকেট থেকে একটি ভোটার পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম সুখেন ধর। বাড়ি খড়দা থানার রুইয়া এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, সুখেন ধর নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মিঠুর। কোনও কারণে মন কষাকষি হওয়ায় সে এদিন গলায় ছুরি চালিয়ে মিঠুকে খুন করার চেষ্টা করে। মিঠু পালিয়ে গেলে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে নিজে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগে ওই ব্যক্তিকে এলাকায় কখনও দেখা যায়নি।

এসএইচ-০৭/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)