রাজনীতিবিদ হিসেবে মোদির সুবিধা ও অসুবিধা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৩ মে যে বড় ধরনের বিজয় পেয়েছেন, সেখানে উদীয়মান একটি দেশের জাতীয়তাবাদের শক্তির বহিপ্রকাশ ঘটেছে। এই ধরনের মানসিকতাই ভোটারদেরকে মোদিকে পুনরায় নির্বাচিত করতে প্রলুব্ধ করেছে। সাওথ এশিয়া মনিটর

মোদির বিজয়ের পেছনে শক্তিশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে তার ইমেজ যথেষ্ট ভ‚মিকা রেখেছে। ভারতের একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদের খুবই প্রয়োজন। দ্রুত উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষার কারণে উদ্বেগের মধ্যে আছে দেশ। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই স্বল্প সময়ের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত করার বিরাট স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে ভারতীয়রা।

ভারতের জনগণের বড় অংশই তরুণ। ভারতের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি হলো ৩৫ বছরের কম বয়সী। সাধারণ নির্বাচনে এবার যে ৮০ মিলিয়ন নতুন ভোটার ছিল, তাদের বড় অংশই তরুণ, যারা মাত্র তাদের ভোটাধিকার পেয়েছে।
এই তরুণ জনগোষ্ঠী তাদের প‚র্বপুরুষদের চেয়ে আধুনিকতাকে বেশি বোঝে এবং ভারতের আধুনিকায়নের জন্য তাদের মধ্যে আবেগও বেশি।

তরুণ জনগোষ্ঠী থেমে যেতে জানে না, তারা পরিবর্তনে সাহায্য করবে, যেটা ভারতের আশার জায়গা। এই জনগোষ্ঠি গভীরভাবে জাতীয়তাবাদে, বিশেষ করে হিন্দু জাতীয়তাবাদে উদ্দীপ্ত।

অন্যদিকে, ৬৮ বছর বয়সী শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচ বছরে আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন সেটা হলো কিভাবে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে ভারতের।

দুটো সমস্যা রয়েছে চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করে দিলে এবং সব রাজ্যের মধ্যে নীতির সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থনীতি ও চীনের সাথে বাণিজ্য সহযোগিতা গতিশীল হবে, বিশেষ করে যেখানে কিছু চীনা কোম্পানি বৈশ্বিক বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজছে। পাকিস্তানের সাথে জটিল সম্পর্কের কারণে চীনকে সবসময়ই ভিন্ন চোখে দেখেছে ভারত, যেটা অর্থনীতি ও বাণিজ্য সহযোগিতাকে ব্যাহত করেছে। চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভেও অংশ নেয়নি ভারত।

বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মোদি এজন্য বিজয়ী হননি যে, পাঁচ বছর আগের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো তিনি পূরণ করেছেন, বিশেষ করে উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যাপারে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো প‚রণ হয়নি। বরং নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা কার্ড খেলে এই বিজয় পেয়েছেন তিনি।

এসএইচ-১৬/৩০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)