দ. আফ্রিকাকে ৩১২ রানের টার্গেট ইংল্যান্ডের

ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথমদিন লন্ডনের কেনিংটন ওভালে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিন আগে আগে ব্যাট করে বেন স্টোকসের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১১ রান করে ইংল্যান্ড। ফলে জয়ের জন্যে ৩১২ রান করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশেষ করে জো রুট ও জেসন রয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়ে যাওয়া রানের চাকা অচল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে ইংলিশ শিবিরে সেই শঙ্কা কাটিয়ে তোলেন দলীয় অধিনায়ক মরগান।

বেন স্টোকসের সঙ্গে জুটি বেধে তার যোগ করা ৫৭ রান দলকে দুইশ রান পূর্ণ করতে সহায়তা করে। মরগানের আউটের পর জস বাটলার যোগ দেন স্টোকসের সঙ্গে। এ সময় স্টোকসও দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির।

বিশ্বকাপের প্রথম বল এর আগে কখনোই কোনো স্পিনারকে দিয়ে করাননি কোনো অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসি লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়ে জন্ম দিলেন এই ইতিহাসের।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে চালকের আসনে বসান। জোড়া ফিফটি করে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফিরে যান।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি তুলে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রোকে ককের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পান।

এরপর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি তুলে নেন তিনি।

জেসন রয়ের বিদায়ের পর চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।

ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকসের অনবদ্য ব্যাটিং। ১ উইকেটে ১০৭ রান করা ইংল্যান্ড এরপর ৪ রানের ব্যবধানে হারায় দুই উইকেট। ১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন মরগান ও স্টোকস। তাদের ব্যাটিং কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরে।

চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তারা। জোড়া ফিফটি তুলে নেন মরগান ও বেন স্টোকস। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।

এসএইচ-১৭/৩০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)