সুন্দরী নারীদের কারণে সমকামী হননি প্রেসিডেন্ট

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে ফের শিরোনাম হলেন। তিনি এখন জাপানে অবস্থান করছেন। তিনি শিরোনাম হয়েছেন জাপানে একটি অনুষ্ঠানে নারীদের মঞ্চে ডেকে চুমু দেয়ার কারণে। তবে মজার বিষয়, সে সময় মঞ্চের পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এমনটা করেছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৮ মে জাপান সফরে যান দুতার্তে। রাজধানী টোকিওতে গত বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যান। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি স্ত্রীর সামনেই পাঁচ ফিলিপিনো নারীকে মঞ্চে ডেকে চুমু দেন।

দুতার্তের জাপান সফর উপলক্ষে টোকিওতে বসবাস করা ফিলিপাইনের নাগরিকরা বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ৭৪ বছর বয়সী দুতার্তে মঞ্চে তার আশেপাশে থাকা ‘স্বেচ্ছাসেবী সুন্দরী’ নারীদের তাকে চুমু দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করতে বলেন।

দুতার্তে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে চারজন স্বেচ্ছাসেবী নারীকে মঞ্চে ডেকে নেন। দুতার্তে যাদেরকে মঞ্চে আসার জন্য বলেন তাদের সবার শারীরিক গঠন প্রায় একই ধরনের। প্রত্যেকেই বেশ পাতলা, ত্বক খুব মসৃণ এবং সবার চুল বেশ লম্বা। পরে তিনি দর্শকদের মাঝ থেকে আরও এক বিধবাকেও ডেকে নেন।

প্রথম যে নারটি মঞ্চে ওঠেন তিনি দ্বিধার মুখে পড়ে যান। তিনি বেশ কিছুক্ষণ সময় নেন। তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না প্রেসিডেন্ট দুতার্তের ঠোঁটে নাকি গালে চুমু দেবেন। আচমকা প্রেসিডেন্টের গালে চুমু দিয়ে তিনি মঞ্চ ছেড়ে চলে আসেন।

সবাই প্রেসিডেন্টকে চুমু দেয়ার পর মঞ্চ থেকে নেমে গেলে দুতার্তে সবার উদ্দেশে বলেন, আর কেউ তাকে চুমু দিতে চায় কি না। কিন্তু কেউ তার এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। নারীদের প্রতি যে তিনি দূর্বল এ বিষয়ে এর আগেও খোলামেলা মন্তব্য করেন দুর্তার্তে।

ফিলিপাইনের সিনেটর অ্যান্তেনিও ট্রিলেন্স দুতার্তেকে একজন সমকামী হিসেবে অভিহিত করেন। দুতার্তে এর পরিপ্রেক্ষিতে জানান যে, তিনি যে সমকামী হতে গিয়েও সে পথ থেকে ফিরে এসেছেন তার প্রেরণা এসেছে নারীদের থেকে। নারীরাই তাতে ‘আরোগ্য’ লাভে সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত বছর জুনে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের এক প্রবাসী নারী শ্রমিকের ঠোঁটে চুমু দিয়েছিলেন দুতার্তে। সে অনুষ্ঠানটি আবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষজন দুতার্তের এরকম কাজের প্রশংসা করেছিল। যাদের অধিকাংশই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত ফিলিপাইনের শ্রমিক।

কিন্তু এই ঘটনাকে ‘একজন নারীবিদ্বেষী প্রেসিডেন্টের বিরক্তিকর নাটক’ বলে বর্ণনা করেন ফিলিপাইনের অধিকার আন্দোলন নিয়ে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী। তাছাড়া অনেক সক্রিয় অধিকারকর্মীও তাকে নিয়ে সমালোচনা করেন। তাদের দাবি, দুতার্তে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার একজন ঘোর বিরোধী।

এসএইচ-৩১/৩১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)