শিস দিলেই কারাদণ্ড

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দেশটির জন্য নতুন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। আইন অনুযায়ী, যদি কেউ প্রকাশ্যে কোনো নারীকে উদ্দেশ্য করে শিষ দেয় কিংবা বিশ্রিভাবে তাকিয়ে থাকে কিংবা ইঙ্গিতমূলক ইশারা দেয়; তাহলে এ ধরনের সমস্ত যৌন হেনস্থামূলক আচরণ ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে।

সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে আইনটিতে স্বাক্ষর করেছেন। যদিও আইনটি গত এপ্রিলেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল কিন্তু প্রকাশ্যে তা জানানো হল তিন মাস পর।

প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই আইন কার্যকর হয়েছে। সদ্য চালু হওয়া এই আইনের নাম সেফ স্পেস অ্যাক্ট। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট দুতার্তের বিরুদ্ধেই অনেকবার যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। তিনি প্রকাশ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে অন্য নারীকে চুমু দিয়েও বিতর্কিত।

একবার নয় বেশ কয়েকবার এমন কাজ করেন তিনি। যৌন নিপীড়নের অপরাধে তার বিরুদ্ধে এর আগে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও উঠেছিল বেশ কয়েকবার। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।

এ ছাড়া তিনি যেসব নারীকে জনসম্মুখে চুমু দিতেন সেখানে তাদের স্বামীরাও উপস্থিত থাকতেন। এমনকি সম্প্রতি এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের স্ত্রীর সামনে তিনি বিধবাসহ কয়েকজন নারীকে চুমু দিয়ে বিতর্কিত হন।

যদি কোনো ব্যক্তি আইনে বর্ণিত আচরণ করেন তাহলে তাকে অপরাধী বলে গণ্য করা হবে। আর এজন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ পেসস (ফিলিপাইনের মুদ্রা) জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তির।

আইনটি চালু হওয়ার পর দেশটির একজন মানবাধিকার কর্মী দুতার্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, এমন আইন তিনি চালু করলেও ফিলিপাইনে কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন করে থাকেন তাহলে সেটা প্রেসিডেন্ট দুতার্তে।

এই আইনের অধীনে রাস্তা, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লিঙ্গভিত্তিক যেকোনো ধরনের যৌন নিপীড়নকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে নারীকে স্পর্শ করা, স্টক করা, মেয়েদের নিয়ে মজা করা এবং ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করাসহ এ ধরনের সমস্ত আচরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এসএইচ-০২/১৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)