বিয়ে ঠেকানোয় কিশোরীর পবিবারকে ৫০ হাজার রূপি জরিমানা

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। বৃহস্পতিবার সেই বিয়ে আটকানো গেছে।

সহপাঠীর বিয়ের কথা জানতে পেরেই নবম শ্রেণির ওই কিশোরীর মনে হয়েছিলো কিছু একটা করা দরকার। স্কুলের শিক্ষকদের গিয়ে বলেছিলো সে। তাদের মাধ্যমে খবর পৌঁছে পুলিশ-প্রশাসনে।

কিন্তু তারপরই ঘনিয়েছে বিপদ। বছর পনেরোর যে-মেয়েটির সক্রিয়তায় বেআইনি এ বিয়ে আটকানো গেছে, সালিশি বসিয়ে সেই কিশোরীর পরিবারকেই ৫০ হাজার রূপি জরিমানা করা হয়।এ ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

বাল্যবিবাহ আটকাতে একের পর এক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার, অল্প বয়স থেকেই এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির প্রয়াস চলছে। তার পরও কেন এমন ঘটনা, প্রশ্ন সেখানেই।

গত রোববার সালিশি সভায় বড় অঙ্কের ওই জরিমানা ধার্য হওয়ায় বিপদে পড়েন ছাত্রীর বাবা। তিনি সামান্য চাষি। অত টাকা তার না থাকায় তিনি সোমবার পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তবে লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিক নালিশ জানান।

তাতেই পুলিশ সক্রিয় হয়। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তদের মঙ্গলবার কেশপুর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। পরে থানাতেও ডেকে পাঠানো হয়। মধ্যস্থতায় সমস্যা মিটেছে। অভিযুক্তেরা জানিয়েছে, তাদের ভুল হয়েছে।

এসএইচ-১৪/১৯/২০ (অনলাইন ডেস্ক)