চুলে বাহারি ছাঁটে অ্যাডমিট কার্ড পেলো না ছাত্র

সময়ের সঙ্গে চুলের কাটে ভিন্নতা এনে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন কেউ কেউ। মাথা সুন্দর চুলই ছেলেদেরকে আকর্ষণীয় দেখাতে সাহায্য করে। তাই চুলকে কিভাবে আরও ফ্যাশেনেবল রাখা যায় সেই চেষ্টাই চালিয়ে যায় ছেলেরা। হাল ফ্যাশনের চুলের স্টাইল করছিল এক স্কুল শিক্ষার্থী।

সতর্ক করে কাজ না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ তৈরি হয়।

ভারতের বারাসত মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়ে। পরে তা স্কুলের শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কারও ঝাঁকড়া চুলে লাল-হলুদ রং করা কারও আবার একদিক ছেঁটে পরিষ্কার। এরা প্রত্যেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছাত্রদের এমন এমন বাহারি চুলের স্কুলের মান-মর্যাদা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, স্কুলের সম্মানের কথা মাথায় রেখে ছাত্রদের চুল কেটে আসার কথা বলা হয়েছিল। তবে, অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না এমন কথা বলা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মঙ্গলবার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো এদিন দুপুরে ছাত্ররা অ্যাডমিট কার্ড নিতে আসে।

ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের বাহারি চুল দেখে প্রধান শিক্ষক অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না বলে জানান। তাদেরকে চুল কেটে এসে অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ তৈরি হয়।

শেষ পর্যন্ত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, এদিন স্কুলের ৮০ শতাংশ ছাত্রকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক শুভেন্দুবিকাশ মাইতি জানিয়েছেন, আমাদের স্কুলের সুনাম রয়েছে। মাথায় বাহারি চুল নিয়ে অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রদের পাশাপাশি স্কুলের সুনামও নষ্ট হতে পারে।

তাই চুল কেটে এলে অ্যাডমিট কার্ড দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তা নাহলে বুধবার সকালে এসেও অ্যাডমিট কার্ড নিতে পারে। অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না একথা বলা হয়নি।

এসএইচ-১৪/০৪/২০ (অনলাইন ডেস্ক)