কোয়ারেন্টাইন সইতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা

হোম কোয়ারেন্টাইন কিংবা সেলফ আইসোলেশন যাই বলা হোক না কেন- ১৯ মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ঘরে থাকা’র বিষয়ে সরকারি আদেশ কার্যকর করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ঘরে বসে থাকতে থাকতে মারাত্মকভাবে হতাশাও জড়িয়ে ধরছে মার্কিনিদের। তার বড় উদাহরণ, গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ায় জো ভিয়ান্নি স্মিথ নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর আত্মহত্যা।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্টকটনে তার নিজের বাড়িতেই মৃতদেহ পড়েছিল জো ভিয়ান্নি স্মিথের। ১৫ বছর বয়সী এই কিশোরির স্কুল ‘বিয়ার ক্রিক হাই স্কুলে’র ক্রীড়া শিক্ষক (কোচ) সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘরে বন্দি থাকার (কোয়ারেন্টাইন) ধকল এবং চাপ সইতে না পেরেই আত্মঘাতি হওয়ার মত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে ভিয়ান্নি।’ তার মা ড্যানিয়েলা হান্টও একই কথা বলছেন সাংবাদিকদের। যদিও তিনি এই ঘটনায় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

ফক্স ফরটিনকে দেয়া বক্তব্যে ড্যানিয়েলা হান্ট বলেন, ‘আমরা চিন্তাই করতে পারছি না যে আমাদের বাচ্চা এভাবে তার নিজের জীবন নিয়ে নেবে। সে যে ভেতরে ভেতরে ভালো ছিল না, এটাও বুঝতে পারিনি। আমি চিন্তা করছি, তার জন্য বাবা-মা হিসেবে যা করার প্রয়োজন সবই করেছি। তার সঙ্গে যোগাযোগটাও আগের চেয়ে বাড়িয়ে তুলেছিলাম।’

ড্যানিয়েলা হান্ট একই সঙ্গে জানান, মৃত্যুর আগে কোনো নোটও রেখে যায়নি জো ভিয়ান্নি। রেখে গেলে হয়তো প্রকৃত কারণটা জানা যেতো। নিজের মেয়ের উচ্চসিত প্রশংসাও করেন হান্ট। তিনি বলেন, ‘তার মত একটি মেয়েকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো আমি? আপনি যদি তার সঙ্গে একবার মিশতেন, তাহলে বুঝতে পারতেন আপনার জীবনে বড় একটা ছাপ সে রেখে দিতে পেরেছে।’

ভিয়ান্নি আসলেই কিছু গুনে গুনান্বিতা ছিলেন। নিজের স্কুলে এবার সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া স্কুলে স্টুডেন্ট অ্যাথলেট হিসেবেও বেশ নাম করেছিলেন। খেলতেন সফটবল, বাস্কেটবল এবং গানও গাইতেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় এখনও পর্যন্ত ২৪৪২১ জন আক্রান্ত হয়েছে করোনাভাইরাসে। মৃত্যুবরণ করেছে ৭৩১ জন।

এসএইচ-০২/১৫/২০ (অনলাইন ডেস্ক)