সবার সামনে নগ্ন হতে ভালোবাসে!

সবার সামনে ন্যুড হওয়া বা নগ্ন হওয়ার এই প্রবনতার নাম ফ্রি বডি কালচার। জার্মানির কিছু মানুষ মনে করেন, নগ্ন হলে প্রকৃতির সঙ্গে ঐক্যতান হয়। ফলে তারা নগ্ন হয়ে সূর্য্যস্নান করে, এমনকী নানা রকম খেলাধুলাও করে।

যুক্তরাষ্ট্রে নগ্নতার সঙ্গে যৌনতার একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু জার্মানিতে বিষয়টা তেমন নয়। সেখানে অনেককেই দেখা যায় পার্কে নগ্ন হয়ে গায়ে রোদ লাগাচ্ছেন বা জন্মদিনের পোষাকে নেমে গেছেন সুইমিংপুলের পানিতে।

এমনকী পার্ক বা সমৃদ্রের তীরে নগ্ন হওয়া বার্লিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে বলা হয়, প্রথমবার নগ্ন হওয়ার অনুভূতি কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়।

বার্লিনের ফ্রেই ইউনিভার্সিটির আধুনিক ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক আর্দ বাউরকম্পার মনে করেন, পূর্ব জর্মানিতে ন্যুড হওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। ঊনিশ শতকের শেষ দিকে সেখানে এই প্রবনতা দেখা যায়।

বিংশ শতাব্দীতে জীবন বিষয়ে ধারণায় একটি দর্শন বেশ আলোচিত হয় যা বিশুদ্ধ বাতাস, জৈব খাদ্য, যৌন মুক্তি, বিকল্প চিকিৎসা এবং প্রকৃতির কাছাকাছি সহজ জীবনযাপনের পক্ষে ছিল।

“নু্ডিজমকে বা নগ্ন হওয়া কে এই বিস্তৃত আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে মনে করা হয়। এই আন্দোলন শিল্প আধুনিকতার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল।

উনিশ শতকের শেষদিকে যে নতুন সমাজের উত্থান হয়েছিল, এই আন্দোলন তার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল। এসব তথ্য প্রফেসর বাউরকাম্পার জানিয়েছেন।

এমনকী নগ্নতাকে উৎসাহিত করার জন্য ১৯২৬ সালে একটি স্কুলও খোলা হয়। এর নাম বার্লিন স্কুল অফ ন্যুডিজম। সেখানে বলা হতো, ঘরের বাইরে নগ্ন হলে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় হয়।

যাহোক, ১৯৯০ সালে দুই জার্মানি এক হওয়ার পর এফকেকে সংস্কৃতি কমে গেছে, মানে যেখানে সেখানে নগ্ন হওয়ার এই প্রবনতা কমে গেছে।

২০১৯ সালে, ফ্রি বডি কালচারের জন্য জার্মানি অ্যাসোসিয়েশন কেবল ত্রিশ হাজারের মতো নিবন্ধিত সদস্য পেয়েছিলো। এদের অনেকেই ৫০ কিংবা ষাটের দশকের।

এসএইচ-২৭/১৩/২০ (অনলাইন ডেস্ক)