দেশের ধনেপাতা চাষ হবে মহাকাশে!

প্রথমবারের মতো মহাকাশ অভিযানে বাংলাদেশের ধনে বীজের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও জাক্সার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আগামী দিনে মহাকাশ স্টেশনে ভেষজ খাদ্য রপ্তানির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণ আগামী দিনের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনলোজি।

মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে জাক্সার এক নভোচারী উৎফুল্ল মনে উদ্ভিদ গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২টি দেশের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশের নাম ও পাঠানো ধনেপাতার কথা উল্লেখ করায় দারুণভাবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের গবেষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনলোজি -এনআইবি সম্প্রতি জানায়, মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা।

বিজ্ঞানীরা জানান, মহাকাশে ধনেপাতা উৎপাদনের মাধ্যমে মহাকাশচারীরা নিজেদের মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক গবেষণায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সম্ভাবনার দ্বার যেমন উন্মোচিত হতে যাচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের ভেষজ উদ্ভিদের চাহিদাও নভোচারীদের বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির স্পেস সিস্টেম ল্যাবরেটরি প্রকৌশলী মিজানুল হক চৌধুরী জানান, নাসা ও জাক্সার বাংলাদেশের ধনেপাতাকে বাচাই করার একটা কারণ রয়েছে। ধনেপাতা খুব অল্প জায়গায় বেড়ে ওঠে, এর উপকারিতা অনেক বেশি।

এনআইবি প্রধান ড. মো. সলিমুল্লাহ জানান, পৃথিবীতে ফেরত আসা ধনে বীজের বাকি অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এর গুণগতমান পরিবর্তন, উৎপাদনসহ নানামুখী গবেষণা করবেন। যার ফলে ভবিষ্যতে নাসা ও জাক্সার সঙ্গে কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের।

এনআইবি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কেশব চন্দ্র দাস জানান, এ ফলে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হবে। এই আগ্রহ থেকেই মহাকাশ নিয়ে তাদের নতুন পরিকল্পনার কথা জানাবে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী মুসলিমা খাতুন জানান, কিছু বীজ দেশের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

২০২১ সালের ৭ মার্চ বিশ্বের ১২টি দেশে বিভিন্ন উদ্ভিদের সঙ্গে বাংলাদেশের ধনে বীজ গবেষণার জন্য প্রেরণ করা হয় মহাশূন্যে। ৬ মাস পর বীজগুলো পৃথিবীতে ফিরে আসে। এগুলো বর্তমানে জাপানে জাক্সার গবেষণাগারে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে বীজ পেতে দেরি হচ্ছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

এসএইচ-০৬/১১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)