‘হ্যালো’ শব্দটি এল যেভাবে

মোবাইল ফোন কিংবা টেলিফোন এমন একটি যন্ত্র যা ব্যক্তিগত, দৈনন্দিন মূলত সব কাজেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আবিষ্কারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফোন মানুষের যোগাযোগের বড় একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফোনের আবিষ্কার মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থাকেও দিয়েছে এক ভিন্ন গতি, দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা। এ যন্ত্রটির আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। যার কল্যাণে প্রায় ১৫০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয় টেলিফোন।

এরপর তারই প্রচেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আসতে শুরু করে। তিনি ১৮৮৫ সালে আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি অর্থাৎ টিঅ্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। টেলিফোন আবিষ্কারের পেছনে যে তথ্যটি জানা যায়, তা হলো গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দুজনই ছিলেন শ্রবণশক্তিহীন। সেই সমস্যাটি থেকে উত্তোরণের পদ্ধতি হিসেবে গ্রাহাম বেল শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত ডিভাইস নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করেন।

কিন্তু টেলিফোনে কথোপকথনের শুরুতে কেন ‘হ্যালো’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়? অথবা কী করে শুরু হলো এ শব্দটির প্রচলন? এর প্রচলনের পেছনে কারণ হিসেবে জানা যায় ‘হ্যালো’ হচ্ছে একটি মেয়ের নাম।

তিনি ছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মেয়েবন্ধু। তার পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো। টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার পর তিনি তার মেয়ে বন্ধুটিকে প্রথম ফোন করেছিলেন। আর তার প্রথম উচ্চারিত শব্দটি ছিল ‘হ্যালো’। তিনি তার মেয়ে বন্ধুটির নাম ধরেই সম্বোধন করেছিলেন।

সে থেকেই এ শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয় একটি শব্দ। এ থেকেই শুরু হয়ে গেল ‘হ্যালো’ বলার প্রচলন। শব্দটি এখন বিশ্বব্যাপী উচ্চারিত একটি শব্দ যা প্রত্যেক জাতি, ধর্ম ও ভাষার মানুষের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত শব্দ।

এসএইচ-২৭/০৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক)