পাঁচ বছরেই বনে গেলেন ৩০৪ কোটি টাকার মালিক

মানুষ সবসময়ই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এটি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রতিটি মানুষেরই আগ্রহ থাকে প্রচুর টাকা কামানোর। যেন জীবনের ঐশ্বর্যের কোনও কমতি না থাকে। কিন্তু টাকাই জীবনে সব কিছু নয়- এ কথাও শোনা যায় মানুষের মুখে। টাকা মানুষকে সুখ দিতে পারে না- এমন কথাও প্রচলন আছে সমাজে। আর এসবের একটি জ্বলন্ত প্রমাণ ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক। এত অল্প বয়সে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও সুখে নেই তিনি। বরং এই জীবন থেকে এখন মুক্তি পেতে চাইছেন তিনি।

এটি কোনও গল্প বা কাহিনি নয়। বাস্তবের ঘটনা এটি। ৩৫ বছরের ওই যুবক ব্রিটেনের নাগরিক। রেডিট-এ নিজের নাম প্রকাশ না করে তার এই উপলব্ধির কথা ব্যক্ত করেছেন যুবক।

শত কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে এসেছে তার। তাই আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ওই যুবক।

তিনি জানিয়েছেন, কোটিপতি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বিটকয়েন। ২০১৪ সালে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েন সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। তারপর থেকেই ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করা শুরু করেন। দেড় বছরের মধ্যে তার সঞ্চয়ের পুরো টাকাই বিনিয়োগ করেন।

২০১৭ সালে ২০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা) লাভ হয় তার। ২০১৯ সালে ডিজিটাল মুদ্রা থেকে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) আয় করেন। জীবনের সব শখ স্বাচ্ছন্দ্য মিটিয়েও এই বিপুল পরিমাণ টাকা শেষ করতে না পেরে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।

ওই যুবক জানিয়েছেন, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে একটি সংস্থায় মাসিক ২৯ লাখ টাকা বেতনে কাজ করতেন তিনি। বেতনের বেশির ভাগ টাকাই সঞ্চয় করতেন। ১০ বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরিজীবনে বিপুল টাকার মালিক এবং ঐশ্বর্যের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু যখন কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন, তখন বলছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকা তার জীবনে একঘেয়েমি এনে দিয়েছে।

এসএইচ-০৭/১৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক)