মৃত শুনেই প্রেমিকার মরদেহ ফেলে পালাল প্রেমিক

স্বামী-শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তরুণী। গত বছরের নভেম্বরে পালিয়ে প্রেমিকের কাছে চলে আসলেও খুব বেশিদিন থাকতে পারলেন তিনি। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালে তার মৃত্যুর পরই সেখান থেকে পালিয়ে যান প্রেমিক প্রসেন মণ্ডল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কুলতুলির বাসিন্দা সোনালী নস্করের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় শাসন এলাকার তরুণ প্রসেন মণ্ডলের। সেই পরিচয় একপর্যায়ে প্রেমে রূপ নেয়। কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্য পুলিশের এক সদস্যের সঙ্গে সোনালীর বিয়ে দিয়ে দেন তার পরিবারের লোকজন।

কিন্তু, সেই বিয়ে মানতে না পেরে একপর্যায়ে স্বামী-শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে প্রেমের টানে পালিয়ে যান সোনালী। এ নিয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সোনালীর স্বামী।

অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বাড়িভাড়া করে প্রসেনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সোনালী। তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় সোনালীকে বারুইপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রসেন ও তার পরিবার। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করতেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান প্রেমিক প্রসেন ও তার পরিবার। তারপর থেকে আর খোঁজ নেই তাদের।

ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে সোনালীর পরিবারের লোকজন। তারা প্রসেনের নামে খুনের অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ফোন করলেও সোনালীকে ফোন দিতেন না প্রসেন।

সোনালীর বাবার অভিযোগ, মেয়ে কীভাবে মারা গেছে, জানি না। শুনেছি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। তবে আমার মনে হয় এটা পরিকল্পিত খুন।

এসএইচ-১১/২৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক)