জীবিত নারীকে মৃত বলে মর্গে পাঠালো হাসপাতাল

৯০ বছরের এক নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে দিলেন ডেথ সার্টিফিকেট। নিয়ম অনুযায়ী, মরদেহ পাঠানো হয় মর্গে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা যাকে মৃত হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাকে মর্গে পাওয়া গেছে জীবিত অবস্থায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, শনিবার ব্রাজিলের সান জোসেতে শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম নরমা সিলভেরা ডি সিলভা। তার বয়স ৯০ বছর। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সিলভাকে মৃত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর মহিলাটিকে একটি বডি ব্যাগে করে মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ওই নারীর বন্ধু জেসিকা মার্টিনস পেরেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার নরমাকে সাও জোসের আঞ্চলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তিনি দীর্ঘদিন লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার বিকেলে তিনি সিলভাকে দেখতে যান। তখন দেখতে পান সিলভেরা একটি চোখ খুলেছেন এবং তার দিকে তাকিয়েছেন। তখন সিলভার ছেলেও তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু শনিবার রাতে তাদেরকে জানানো হয়, নরমা মারা গেছেন।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডি সিলভার প্রথম মৃত্যু সানদ ইস্যু করা হয় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, মহিলাটি ‘মূত্রনালীর সংক্রমণে’ মারা গিয়েছিলেন। তবে পেরেরার অভিযোগ মহিলার মরদেহ তার প্রিয়জনদের দেখার সুযোগ না দিয়েই, দ্রুত মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

পরে মৃত রোগীকে নিয়ে আসা মর্গের এক সদস্য মরদেহের ব্যাগটি খুলে দেখেন সিলভার শরীর তখনও গরম। তিনি শ্বাস নেয়ার জন্য হাসফাস করছেন। এমন ঘটনায় চমকে যান ওই সদস্য। তিনি দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে তাকে আবারও চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়। কিন্তু সোমবার সকালে সত্যি সত্যিই সিলভার মৃত্যু হয়।

পেরেরা বলেন, যে তার বয়স্ক বন্ধু বন্ধ থাকা ব্যাগের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা থাকায় ‘শ্বাসরোধে মারা গেছে।’ তবে দা সিলভা শেষ পর্যন্ত সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে- নাকি অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

৯০ বছর বয়সী ওই নারীর দ্বিতীয়বার মৃত ঘোষণা করার পর, তার নতুন মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণ বলা হয়েছে ‘সেপটিক শক’। এ ঘটনায় রোগীর পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এসএইচ-০৪/০২/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)