নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি

নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো এবং পত্রপত্রিকায় কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এমন অভিযোগ করা হয়।

ইসি বলেছে, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনি আচরণবিধি সংক্রান্ত ধারাগুলো তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ‘নির্বাচনি আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারের বিষয়ে আচরণ বিধিমালার নির্দেশনা রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রতিপালন করতে হবে। প্রার্থী দলের মনোনীত হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন।’

বিধিমালা অনুযায়ী কোনো দল বা প্রার্থী ২১ দিনের বেশি প্রচারের সময় পাবে না উল্লেখ করে বলা হয়, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন।

‘নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আচরণ বিধি অনুযায়ী ২১ দিন আগে (ভোট গ্রহণের) কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচার নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

‘১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর আগে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারেরও সুযোগ নেই।’

এসএইচ-০৫/০২/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)