রাখাইন বিদ্রোহীদের দমনে চূড়ান্ত শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ সু চির

রাখাইন বিদ্রোহীদের হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্যের প্রাণহানির পর সেনাপ্রধান ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি। সোমবারের ওই বৈঠকে রাখাইন বিদ্রোহীদের দমনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের এই নেত্রী।

সরকারি এক মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের গুঁড়িয়ে দিতে সশস্ত্র বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অং সান সু চি।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের শুরুর দিক থেকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।

রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর জন্য রাখাইনের অধিকতর স্বায়ত্তশাসন চায় আরাকান আর্মি। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের এই প্রদেশের অধিকাংশ বাসিন্দাই জাতিগত বৌদ্ধ রাখাইন জনগোষ্ঠীর।

২০১৭ সালের নভেম্বরে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীদের হামলার পর রক্তাক্ত সামরিক অভিযান শুরু করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রাখাইন থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়েছেন।

মিয়ানমারের সরকারের মুখপাত্র জ্য হতেই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ন্ট, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সেনাবাহিনীর নেতা ও সেনাপ্রধান মি অং হ্লেইং, তার ডেপুটি এবং সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। বৈঠকে পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন তারা।

রাজধানী নেইপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্য হতেই বলেন, সন্ত্রাসীদের গুঁড়িয়ে দিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশটির চারটি পুলিশি চৌকিতে রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এতে আহত হয় আরো কমপক্ষে ৯ জন।

মিয়ানমারের বাইরে থাকা আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উত্তর রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক পরিসরে সামরিক অভিযান শুরুর করায় তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে দাবি করেছেন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ্য হতেই। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বাঁচাতে আরাকান আর্মির এই হামলা নিরাপত্তা বাহিনীকে আশ্চর্যান্বিত করেছে।

আরকান আর্মি রাখাইনে বছরের পর বছর ধরে অস্থিতিশীল করে রাখতে পারে। তাদের এই কাজে সহায়তা না করার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

এসএইচ-১১/০৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)