পিতার অবাধ্য হলেই সৌদি নারীরা গ্রেফতার

সম্প্রতি সৌদি আবর নারীদের অধিকার সংরক্ষণে বেশ কিছু নীতির পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু, এখনো দেশটিতে নারীদের প্রতি কিছু রক্ষণশীল আচরণ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে পিতার অব্যাধ্য হলেই মেয়েরা গ্রেফতার হতে পারেন। এখনো নারীদের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্তে পুরুষের অনুমতি লাগে। বিবিসি

পিতার অব্যাধ্য হলেই পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সচরাচর নেই। কিন্তু, সৌদিতে দেশটির নারীদের অনেক অধিকার এখনো পরিবারের পুরুষদের কাছে বন্দী।

সম্প্রতি নারীদের ওপর থেকে গাড়ি ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বিবাহ বিচ্ছেদের তথ্য নিশ্চিতকরণসহ বেশ কয়েকটি সুযোগ দেয়ার পরও তাদের খেলাধুলার নিষেধাজ্ঞাসহ স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

দেশটির পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণেই নারীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধিকার পরিবারের কর্তা তথা বাবা, স্বামী, ভাই ও সন্তানদের কাছে বন্দি। নারীদের পাসপোর্ট করা, বিদেশ ভ্রমন, বিদেশে পড়ালেখা, বিবাহ এমনকি কারাগার ত্যাগ করতেও পুরুষদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যদিও নারীদের অধিকার সংরক্ষণে জাতিসংঘের ২০০০ সালের নীতি অনুসরণে কোন ঘাটতি নেই বলে রিয়াদ কর্তৃপক্ষ দাবি করে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে একজন নারী তার বাবার নির্যাতনের কারণে আইনের আশ্রয় চাইলে পরিবারের পক্ষ্য থেকে পিতার অবাধ্যতার অভিযোগ করা হয়।

পরে তার ১০ বছর জেল হয় এবং নারী অধিকার কর্মীদের সহায়তায় ৭ বছর কারাবরণ শেষে মুক্তি পান বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে।

এসএইচ-১৪/০৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)