বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে হংকংয়ের কোম্পানীগুলো

হংকংয়ের উদ্যোক্তা ফেলিক্স চ্যাং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে একটি চুলের জন্য প্রসাধনী তৈরির কারখানা নির্মাণ করেছেন। যেখানে বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। এই কারখানা তার কো¤পানির অর্জিত ৯০ শতাংশ মুনাফা এনে দেয়। অন্যদিকে বাকি ১০ শতাংশ লাভ আসে চীনে পরিচালিত তিনটি কারখানা থেকে। এইজিন সাইট

এই বিষয়ে এভারগ্রীন প্রোডাক্টস নামের ওই কো¤পানির চেয়ারম্যান ফেলিক্স চ্যাং জানান, ২০০৯ সালে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগ এবং কারখানা স্থাপনের জায়গা খোজার শুরু করি। কারণ এখন চীনে কারখানা পরিচালনার খরচ বাড়ছে। মজুরি, ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই দিক থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার বাড়তি কিছু সুবিধা রয়েছে।

‘সস্তা ও সহজলভ্য শ্রমিক এবং কম উৎপাদন খরচের কারণেই বাংলাদেশকেই বিনিয়োগের জন্য আদর্শস্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়। কারণ এখানে মজুরি এবং কারখানা স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ খরচও তুলনামূলক কম।’

তবে তিনি একা নন। বর্তমানে তার মতো অনেক উদ্যোক্তাই বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে এগিয়ে এসেছেন।

সাম্প্রতিককালে, হংকংভিত্তিক কো¤পানিগুলো বাংলাদেশে ১৫০টি প্রকল্পে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে হংকংয়ের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের অষ্টম বৃহৎ বিনিয়োগকারীতে পরিনত হয়েছেন। এর মাঝে সবচাইতে বেশি বিনিয়োগ এসেছে সেবামূলকখাতে, যার পরিমাণ ৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এরপরেই রয়েছে টেক্সটাইল শিল্প। এই খাতে হয়েছে ২৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাসায়নিক শিল্প, যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি ৩ লাখ ডলার।

বাংলাদেশে হংকংভিত্তিক কো¤পানিগুলোর বিনিয়োগ বৃদ্ধির পেছনে মূল অবদান রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ। এই বিষয়ে কার্যকর বাণিজ্য চুক্তি হলেও যে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এমন সম্ভাবনা নেই। ট্রাম্পের উত্তরসূরি মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক স¤পর্কের ধরন কেমন হবে তাও অনিশ্চিত। তাই আগামী দিনের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে অনেক চীনা কো¤পানি। যাদের অনেকেই স্বায়ত্তশাসিত হংকং থেকে ব্যবসায় পরিচালনা করে।

এসএইচ-২৫/০৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)