টুইটারে ঘোষণাপত্র দিয়ে ক্রাইস্টচার্চে হামলা

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। বন্দুকধারীর ওই হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ হামলা চালান অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত। এ হামলার আগেই হামলাকারী টুইটারে ৮৭ পাতার ইশতেহার (ঘোষণাপত্র) আপলোড করে হামলার ঘোষণা দেন।

তাতে তিনি বলছিলেন- এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই তিনি দিয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী এ যুবক।

হামলার পর পরই একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মসজিদের বিভিন্ন প্রান্তে মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এক কোনায় প্রায় ১৫টি মৃতদেহ স্তূপ হয়ে রয়েছে। হামলাকারী তাদের কাছে গিয়ে মৃতদেহের ওপর মুহুর্মুহ গুলি চালাচ্ছেন।

অতির্কিত এই হামলা থেকে একজন পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারী আরও হিংস্র হয়ে তাকে আরও বেশি গুলি শুরু করেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে এই হামলা চালানো হয়।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডানও এ হামলাকে সুপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, হামলাকারীর গাড়িতে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস যুক্ত করা ছিল।

এসএইচ-১১/১৫/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)