মসজিদে হামলায় সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা তদন্ত হবে

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।

১৫ই মার্চ মসজিদে হামলার ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আর কী করার ছিল – সে বিষয়ে খতিয়ে দেখবে রয়্যাল কমিশন। নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রয়্যাল কমিশন কোনো বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বাধীন তদন্ত করে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন তারা একটি ‘সার্বিক’ প্রতিবেদন তৈরি করবে।

সোমবার ওয়েলিংটনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসবাদী ঘটনা কীভাবে ঘটলো এবং আমরা কীভাবে এটি থামাতে পারতাম, তা যাচাই করার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি না রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, একটি প্রশ্ন মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ – আগে থেকে ঘটনার বিষয়ে আমাদের আরো বেশি জানা উচিত ছিল কিনা এবং আমরা জানতে পারতাম কিনা।

আরডার্ন বলেন, সেমি-অটোম্যাটিক অস্ত্রের সহজলভ্যতা এবং হামলায় সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকার বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে তদন্তে।

বন্দুক হামলার সাথে সংযোগ থাকার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন টারান্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তির বিধান দেয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পুনঃপ্রবর্তন করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আরডার্ন।

ক্রাইস্টচার্চে হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সেমি-অটোম্যাটিক ধাঁচের অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা সহ দেশটির অস্ত্র আইনে ব্যাপক সংস্কার করার পদক্ষেপ নেন।

এপ্রিলের ১১ তারিখ থেকে সংস্কার হওয়ার নতুন আইন কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাসিন্ডা আরডার্ন। খবর: বিবিসি বাংলা।

এসএইচ-২২/২৫/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)