‘সিভিল পার্টনারশিপ’ আইনে প্রথম দম্পতি লোট-বিয়েল

ব্রিটেনে নারী-পুরুষ বা বিপরীত লিঙ্গের ‘সিভিল পার্টনারশিপ’ সংক্রান্ত যুগান্তকারী আইনটি আগামী মে মাস থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। আর্লিংয়ের মার্টিন লোট এবং ক্লেয়ার বিয়েল জুটি প্রথম ‘সিভিল পার্টনার’ হচ্ছেন। গত মাসে পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে তারা প্রথম সিভিল পার্টনার হতে চান।

সিভিল পার্টনারশিপ সম্পর্কে বলা যায় দুজন মানুষের মধ্যকার এক বন্ধননামা। কিন্তু এটা গতানুগতিক বিয়ে নয়। তবে সিভিল পার্টনারশিপের মাধ্যমে দুজন বিয়ের আইনি দিকের অধিকাংশ সুবিধাই ভোগ করতে পারবেন।

ব্রিটেনের লেবার সরকার ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো সিভিল পার্টনারশিপ অ্যাক্ট চালু করে ১৬ বছরের অধিক বয়সী সমলিঙ্গের দম্পতিদের জন্যে। সমলিঙ্গের দুজন মানুষের বিয়ে সেখানে বৈধ ছিল না। তবে সমকামীদের একসঙ্গে থাকার আইনি অধিকার দেয়া হয় ‘সিভিল পার্টনারশিপ’ এর মাধ্যমে।

কিন্তু প্রথমবারের মতো নারী-পুরুষও সিভিল পার্টনার হিসেবে ঘর করতে পারবেন। কেবল লোট বা বিয়ালই নয়, অপেক্ষায় আছেন ওয়ালথাম্পস্টোর অ্যামি গ্রান্ট এবং বেন পিগট। কেন্টের মিডওয়ের ভিন্স ম্যাপল এবং মেরি টেটও বিপরীত লিঙ্গে সিভিল পার্টনার হতে চান।

এই জুটিদের ধারণা, তাদের অনুকরণে হাজারো নারী-পুরুষ জুটি সিভিল পার্টনারশিপ গ্রহণ করবেন। কারণ, এতদিন পর্যন্ত কেবল সমলিঙ্গের জুটিদের জন্যেই এটা প্রযোজ্য ছিল। তবে অপেক্ষারতদের আশা, আইল অব ম্যানে তাদের সিভিল পার্টনারশিপ গৃহিত হওয়ার পর তা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসেও ছড়িয়ে পড়বে।

ইক্যুয়াল সিভিল পার্টনারশিপ ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করছেন লোট। আর বিয়াল একজন সাংবাদিক। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। এরা দুজন প্রথমবার ব্রিটেনের প্রথম সিভিল পার্টনার হিসেবে তুলে ধরতে চান।

বিয়াল বলেন, আমরা বিয়ে করতে চাই না। কিন্তু মর্টগেজ লোন নিয়েছি। বাচ্চারাও রয়েছে। কাজেই আমাদের পরিবারের আইনি সুরক্ষা থাকা উচিত। তাই আমাদের এই সম্পর্ক আইনের দৃষ্টিতে বৈধ থাকা দরকার।

লোট বলেন, আমরা আসলে পুরোপুরি নতুন এক সামাজিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করছি। এটা কেবলই একটা সামাজিক চুক্তিনামা নয়। বরং এটা একটি বিস্তর পরিসরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিশানা।

এসএইচ-০৪/০৯/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)