দুই প্রতিমন্ত্রী পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ৫৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল আসন পেয়েও রাজ্যটির মাত্র দুই জন সাংসদকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন মোদি। তাদের দুজনও আবার পূর্ণ নন প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির ভেতরে চলছে তুমুল ক্ষোভ।

গতবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করলেও মোদির বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন। মমতার তৃণমূলকে দাবিয়ে এবার রাজ্যটির ৪২ লোকসভা আসনের ১৮টি আসন দখল করেছে বিজেপি। যার কারণেই বিজেপি একাই তিন শতাধিক আসনে জয়ী হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, এবার বাংলা থেকে ৫ থেকে ৬ জনকে মন্ত্রী বানাবেন মোদি।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যে দুজন শপথ নিয়েছেন তাদের একজন গত মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। তিনি হলেন আসানসোল আসনের সাংসদ ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তিনি ছাড়াও প্রথমবার সাংসদ হওয়া দেবশ্রী চৌধুরীকেও প্রতিমন্ত্রী করেছেন মোদি। আশা করা হচ্ছিল রাজ্যটি থেকে এবার অন্তত এজকজনকে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। অনেকে ভেবেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হয়তো পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রিত্বই দেয়া হয়নি।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নেতারা। বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো পাত্তাই পাচ্ছিল না বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই খরা অবশ্য অনেকটা কেটেছে। আগামী ২০২১ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যটি দখল করারও পরিকল্পনা করছে।

পশ্চিমবঙ্গে এবার বিজেপির গেরুয়া বাহিনীর যে উত্থান ঘটেছে তাতে নিজেদের অবদান আছে বলে করছে দলটির নেতারা। আর এমন সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে তারা মোদির মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কিছু মন্ত্রী দেয়া হবে বলে ধারণা করছিল। কিন্তু মাত্র দুজন মন্ত্রী পাওয়ার পর আবারও নিজেদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে।

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, মন্ত্রিসভায় অন্তত একজনকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাদের দাবি, এতে করে ২০২১ সালের আগে বিজেপির অবস্থান বাংলায় আরও দৃঢ় হতো।

তবে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একাংশ এখনই ভেঙে পড়তে নারাজ। মোদি সরকারের গত মন্ত্রিসভার উদাহরণ টেনে তারা যুক্তি দিচ্ছেন, ২০১৪ সালে সরকার গঠনের সময় ৪৫ জন মন্ত্রী শপথ নেয়। তবে পরে দেখা যায়, সেই সংখ্যা ৭৫ ছাড়িয়ে গেছে। আর এবার ৫৭ জন শপথ নিয়েছেন। এই সংখ্যাটাও বাড়বে বলে বিশ্বাস তাদের।

এসএইচ-৩৭/৩১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)